আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

২১- হজ্জ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১৫৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫০
১০৪১. ঋতুবতী নারীর পক্ষে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ব্যতীত হজ্জের অন্য সকল কার্য সম্পন্ন করা এবং বিনা উযুতে সাফা ও মারওয়ার মধ্যে সা’য়ী করা
১৫৪৭। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মক্কায় আসার পর ঋতুবতী হওয়ার কারণে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা ও মারওয়া সা’ঈ করতে পারিনি। তিনি বলেন, আমি রাসূল (ﷺ) এর নিকট এ অসুবিধার কথা জানালে তিনি বললেনঃ পবিত্র হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ব্যতীত অন্য সকল কাজ অপর হাজীদের ন্যায় সম্পন্ন করে নাও।
باب تَقْضِي الْحَائِضُ الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا إِلاَّ الطَّوَافَ بِالْبَيْتِ ، وَإِذَا سَعَى عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ
1650 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ القَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ: قَدِمْتُ مَكَّةَ وَأَنَا حَائِضٌ، وَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ وَلاَ بَيْنَ الصَّفَا وَالمَرْوَةِ قَالَتْ: فَشَكَوْتُ ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «افْعَلِي كَمَا يَفْعَلُ الحَاجُّ غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِي بِالْبَيْتِ حَتَّى تَطْهُرِي»
হাদীস নং: ১৫৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫১
১০৪১. ঋতুবতী নারীর পক্ষে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ব্যতীত হজ্জের অন্য সকল কার্য সম্পন্ন করা এবং বিনা উযুতে সাফা ও মারওয়ার মধ্যে সা’য়ী করা
১৫৪৮। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও খলীফা (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ হজ্জ-এর ইহরাম বাঁধেন, তাঁদের মাঝে কেবল নবী (ﷺ) ও তালহা (রাযিঃ) ব্যতীত অন্য কারো সঙ্গে কুরবানীর পশু ছিল না, আলী (রাযিঃ) ইয়ামান থেকে আগমন করেন, তাঁর সঙ্গে কুরবানীর পশু ছিল। তিনি [আলী (রাযিঃ)] বললেন, নবী (ﷺ) যেরূপ ইহরাম বেধেছেন, আমিও সেরূপ ইহরাম বেঁধেছি। নবী (ﷺ) সাহাবীগণের মধ্যে যাদের নিকট কুরবানীর পশু ছিল না, তাঁদের ইহরামকে উমরায় পরিণত করার নির্দেশ দিলেন, তাঁরা যেন তাওয়াফ করে, চুল ছেটে অথবা মাথা মুণ্ডিয়ে হালাল হয়ে যায়। তাঁরা বলাবলি করতে লাগলেন, (যদি হালাল হয়ে যাই তা হলে) স্ত্রীর সাথে মিলনের পরপরই আমাদের পক্ষে মিনায় যাওয়াটা কেমন হবে! তা অবগত হয়ে নবী (ﷺ) বললেনঃ আমি পরে যা জানতে পেরেছি তা যদি আগে জানতে পারতাম, তাহলে কুরবানীর পশু সাথে আনতাম না। আমার সাথে কুরবানীর পশু না থাকলে অবশ্যই ইহরাম ভঙ্গ করতাম। (হজ্জ এর সফরে) আয়িশা (রাযিঃ) ঋতুবতী হওয়ার কারণে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ব্যতীত হজ্জের অন্য সকল কাজ সম্পন্ন করে নেন। পবিত্র হওয়ার পর তাওয়াফ আদায় করেন, (ফিরার পথে) আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সকলেই হজ্জ ও উমরা উভয়টি আদায় করে ফিরছে, আর আমি কেবল হজ্জ আদায় করে ফিরছি, তখন নবী (ﷺ) আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রাযিঃ) কে নির্দেশ দিলেন, যেন আয়িশা (রাযিঃ) কে নিয়ে তানঈমে চলে যান (যেখানে যেয়ে উমরার ইহরাম বাঁধবেন) আয়িশা (রাযিঃ) হজ্জের পর উমরা আদায় করে নিলেন।
باب تَقْضِي الْحَائِضُ الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا إِلاَّ الطَّوَافَ بِالْبَيْتِ ، وَإِذَا سَعَى عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ
1651 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَهَّابِ، قَالَ: ح وَقَالَ لِي خَلِيفَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَهَّابِ، حَدَّثَنَا حَبِيبٌ المُعَلِّمُ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: أَهَلَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ وَأَصْحَابُهُ بِالحَجِّ، وَلَيْسَ مَعَ أَحَدٍ مِنْهُمْ هَدْيٌ غَيْرَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَطَلْحَةَ، وَقَدِمَ عَلِيٌّ مِنَ اليَمَنِ وَمَعَهُ هَدْيٌ [ص:160]، فَقَالَ: أَهْلَلْتُ بِمَا أَهَلَّ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَجْعَلُوهَا عُمْرَةً، وَيَطُوفُوا ثُمَّ يُقَصِّرُوا وَيَحِلُّوا إِلَّا مَنْ كَانَ مَعَهُ الهَدْيُ، فَقَالُوا: نَنْطَلِقُ إِلَى مِنًى وَذَكَرُ أَحَدِنَا يَقْطُرُ، فَبَلَغَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «لَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ مَا أَهْدَيْتُ، وَلَوْلاَ أَنَّ مَعِي الهَدْيَ لَأَحْلَلْتُ» ، وَحَاضَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا فَنَسَكَتْ المَنَاسِكَ كُلَّهَا، غَيْرَ أَنَّهَا لَمْ تَطُفْ بِالْبَيْتِ، فَلَمَّا طَهُرَتْ طَافَتْ بِالْبَيْتِ، قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَنْطَلِقُونَ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ وَأَنْطَلِقُ بِحَجٍّ؟ فَأَمَرَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ أَنْ يَخْرُجَ مَعَهَا إِلَى التَّنْعِيمِ، فَاعْتَمَرَتْ بَعْدَ الحَجِّ
হাদীস নং: ১৫৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫২
১০৪১. ঋতুবতী নারীর পক্ষে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ব্যতীত হজ্জের অন্য সকল কার্য সম্পন্ন করা এবং বিনা উযুতে সাফা ও মারওয়ার মধ্যে সা’য়ী করা
১৫৪৯। মুআম্মাল ইবনে হিশাম (রাহঃ) ......... হাফসা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আমাদের যুবতীদেরকে বের হতে নিষেধ করতাম। এক মহিলা বনু খালিফা-এর দুর্গে এলেন। তিনি বর্ণনা করেন যে, তাঁর বোন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এক সাহাবীর সহধর্মিণী ছিলেন। যিনি রাসূল (ﷺ) এর সঙ্গে বারটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, (সেগুলোর মধ্যে) ছয়টি যুদ্ধে আমার বোনও স্বামীর সঙ্গে ছিলেন। তাঁর বোন বলেন, আমরা আহত যোদ্ধা ও অসুস্থ সৈনিকদের সেবা করতাম। আমার বোন নবী (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আমাদের মধ্যে যার (শরীর উত্তমরূপে আবৃত করার মত) চাদর নেই, সে বের না হলে অন্যায় হবে কি? নবী (ﷺ) বললেনঃ তোমাদের একজন অপরজনকে তাঁর প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাঁদরটি দিয়ে দেওয়া উচিত এবং কল্যাণমূলক কাজে ও মু’মিনদের দুআয় বের হওয়া উচিত।
উম্মে আতিয়্যা (রাযিঃ) আসলে এ বিষয়ে তাঁর নিকট আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথা بيبا (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি আমার পিতা উৎসর্গ হউন) উল্লেখ ব্যতীত কখনও উচ্চারণ করতেন না। আমি তাঁকে বললাম, আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এরূপ বলতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। আমার পিতা উৎসর্গ হউন। তিনি বললেনঃ যুবতী ও পর্দানশীন মহিলাদেরও বের হওয়া উচিত। অথবা বললেনঃ পর্দানশীন যুবতী ও ঋতুবতীদেরও বের হওয়া উচিত। তাঁরা কল্যাণমূলক কাজে এবং মুসলমানদের দুআয় যথাস্থানে উপস্থিত হবে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ঋতুবতী মহিলাও কি? তিনি বললেনঃ (কেন উপস্থিত হবে না?) তাঁরা কি আরাফার ময়দানে এবং অমুক অমুক স্থানে উপস্থিত হবে না?
باب تَقْضِي الْحَائِضُ الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا إِلاَّ الطَّوَافَ بِالْبَيْتِ ، وَإِذَا سَعَى عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ
1652 - حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حَفْصَةَ قَالَتْ: كُنَّا نَمْنَعُ عَوَاتِقَنَا أَنْ يَخْرُجْنَ، فَقَدِمَتِ امْرَأَةٌ فَنَزَلَتْ قَصْرَ بَنِي خَلَفٍ، فَحَدَّثَتْ أَنَّ أُخْتَهَا كَانَتْ تَحْتَ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَدْ غَزَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ غَزْوَةً، وَكَانَتْ أُخْتِي مَعَهُ فِي سِتِّ غَزَوَاتٍ، قَالَتْ: كُنَّا نُدَاوِي الكَلْمَى، وَنَقُومُ عَلَى المَرْضَى، فَسَأَلَتْ أُخْتِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: هَلْ عَلَى إِحْدَانَا بَأْسٌ إِنْ لَمْ يَكُنْ لَهَا جِلْبَابٌ أَنْ لاَ تَخْرُجَ، قَالَ: «لِتُلْبِسْهَا صَاحِبَتُهَا مِنْ جِلْبَابِهَا، وَلْتَشْهَدِ الخَيْرَ وَدَعْوَةَ المُؤْمِنِينَ» فَلَمَّا قَدِمَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا سَأَلْنَهَا، - أَوْ قَالَتْ: سَأَلْنَاهَا -، فَقَالَتْ: وَكَانَتْ لاَ تَذْكُرُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَدًا إِلَّا قَالَتْ: بِأَبِي، فَقُلْنَا أَسَمِعْتِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: كَذَا وَكَذَا، قَالَتْ: نَعَمْ بِأَبِي فَقَالَ: «لِتَخْرُجِ العَوَاتِقُ ذَوَاتُ الخُدُورِ - أَوِ العَوَاتِقُ وَذَوَاتُ الخُدُورِ -، وَالحُيَّضُ فَيَشْهَدْنَ الخَيْرَ وَدَعْوَةَ المُسْلِمِينَ، وَيَعْتَزِلُ الحُيَّضُ المُصَلَّى» فَقُلْتُ: أَلْحَائِضُ؟ فَقَالَتْ: أَوَلَيْسَ تَشْهَدُ عَرَفَةَ، وَتَشْهَدُ كَذَا وَتَشْهَدُ كَذَا
tahqiq

তাহকীক: