আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
২১- হজ্জ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ১৪৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৬০
৯৯৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ "হজ্জ হয় সুবিদিত মাসগুলোতে। তারপর যে কেউ এ মাসগুলোতে হজ্জ করা স্থির করে, তার জন্য হজ্জের সময়ে স্ত্রী সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও কলহ বিবাদ বিধেয় নয়।" (২ঃ ১৯৭) এবং (তার বাণীঃ) "নতুন চাঁদ সম্পর্কে লোকেরা আপনাকে প্রশ্ন করে, বলুন, তা মানুষ এবং হজ্জের জন্য সময় নির্দেশক।" (২ঃ ১৮৯)
ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, হজ্জ এর মাসগুলো হলঃ শাওয়াল, যিলক্বদ, এবং যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, সুন্নত হল, হজ্জের মাসগুলোতেই যেন হজ্জের ইহরাম বাঁধা হয়। কিরমান ও খুরাসান থেকে ইহরাম বেঁধে বের হওয়া উসমান (রাযিঃ) অপছন্দ করেন।
ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, হজ্জ এর মাসগুলো হলঃ শাওয়াল, যিলক্বদ, এবং যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, সুন্নত হল, হজ্জের মাসগুলোতেই যেন হজ্জের ইহরাম বাঁধা হয়। কিরমান ও খুরাসান থেকে ইহরাম বেঁধে বের হওয়া উসমান (রাযিঃ) অপছন্দ করেন।
১৪৬৬। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজ্জ এর মাসে, হজ্জ-এর দিনগুলোতে, হজ্জ-এর মৌসুমে আমরা নবী (ﷺ) এর সাথে (হজ্জে) বের হয়ে সারিফ নামক স্থানে আমরা অবতরণ করলাম। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) তাঁর সাহাবাগণের কাছে বেরিয়ে ঘোষণা করলেনঃ যার সাথে কুরবানীর পশু নেই এবং যে এ ইহরাম উমরার ইহরামে পরিণত করতে আগ্রহী, সে তা করতে পারবে। আর যার সাথে কুরবানীর পশু আছে সে তা পারবে না। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, কয়েকজন সাহাবী উমরা করলেন, আর কয়েকজন তা করলেন না। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) ও তাঁর কয়েকজন সাহাবী (দীর্ঘ ইহরাম রাখতে) সক্ষম ছিলেন এবং তাঁদের সাথে কুরবানীর পশুও ছিল। তাই তাঁরা (শুধু) উমরা করতে (ও পরে হালাল হয়ে যেতে) সক্ষম হলেন না।
তিনি আরো বলেন, আমি কাঁদছিলাম, এমন সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকট উপস্থিত হয়ে বললেনঃ ওহে কাঁদছ কেন? আমি বললাম, আপনি সাহাবাদের যা বলেছেন, আমি তা শুনেছি, কিন্তু আমার পক্ষে উমরা করা সম্ভব নয়। তিনি বললেনঃ তোমার কি হয়েছে? আমি বললাম, আমি নামায আদায় করতে পারছি না (আমি ঋতুবতী)। তিনি বললেনঃ এতে তোমার কোন ক্ষতি নেই, তুমি আদম-সন্তানের এক মহিলা। সকল নারীর জন্য আল্লাহ যা নির্ধারণ করেছেন, তোমার জন্যও তাই নির্ধারণ করেছেন। কাজেই তুমি হজ্জ-এর ইহরাম অবস্থায় থাক। আল্লাহ তোমাকে উমরা করার সুযোগও দিতে পারেন।
তিনি বলেন, আমরা হজ্জ এর জন্য বের হয়ে মিনায় পৌঁছলাম। সে সময় আমি পবিত্র হলাম। পরে মিনা থেকে ফিরে (বায়তুল্লাহ পৌঁছে) তাওয়াফে যিয়ারত আদায় করি। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি নবী (ﷺ) এর সাথে সর্বশেষ দলে বের হলাম। তিনি মুহাসসাব নামক স্থানে অবতরণ করেন, আমি তাঁর সাথে অবতরণ করলাম। এখানে এসে নবী (ﷺ) আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রাযিঃ) কে ডেকে বললেনঃ তোমার বোন (আয়িশা) কে নিয়ে হারাম সীমারেখা হতে বেরিয়ে যাও। সেখান থেকে সে উমরার ইহরাম বেঁধে মক্কা থেকে উমরা সমাধা করলে তাঁকে নিয়ে এখানে ফিরে আসবে। আমি তোমাদের আগমন পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকব।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমরা বের হয়ে গেলাম এবং আমি ও আমার ভাই তাওয়াফ সমাধা করে ফিরে এসে প্রভাত হওয়ার আগেই নবী (ﷺ) এর নিকট পৌঁছে গেলাম। তিনি বললেনঃ কাজ সমাধা করেছ কি? আমি বললাম জ্বী, হ্যাঁ। তখন তিনি রওয়ানা হওয়ার ঘোষণা দিলেন। সকলেই মদীনার দিকে রওয়ানা করলেন।
আবু আব্দুল্লাহ [ইমাম বুখারী (রাহঃ)] বলেন, يَضِيرُ শব্দটি ضَارَ - يَضِيرُ - ضَيْرًا (ক্ষতিকর) শব্দ থেকে উদগত। এমনই ভাবে ضَارَ يَضُورُ ضَوْرًا ও ضَرَّ يَضُرُّ ضَرًّا একই অর্থ বোঝায়।
তিনি আরো বলেন, আমি কাঁদছিলাম, এমন সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকট উপস্থিত হয়ে বললেনঃ ওহে কাঁদছ কেন? আমি বললাম, আপনি সাহাবাদের যা বলেছেন, আমি তা শুনেছি, কিন্তু আমার পক্ষে উমরা করা সম্ভব নয়। তিনি বললেনঃ তোমার কি হয়েছে? আমি বললাম, আমি নামায আদায় করতে পারছি না (আমি ঋতুবতী)। তিনি বললেনঃ এতে তোমার কোন ক্ষতি নেই, তুমি আদম-সন্তানের এক মহিলা। সকল নারীর জন্য আল্লাহ যা নির্ধারণ করেছেন, তোমার জন্যও তাই নির্ধারণ করেছেন। কাজেই তুমি হজ্জ-এর ইহরাম অবস্থায় থাক। আল্লাহ তোমাকে উমরা করার সুযোগও দিতে পারেন।
তিনি বলেন, আমরা হজ্জ এর জন্য বের হয়ে মিনায় পৌঁছলাম। সে সময় আমি পবিত্র হলাম। পরে মিনা থেকে ফিরে (বায়তুল্লাহ পৌঁছে) তাওয়াফে যিয়ারত আদায় করি। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি নবী (ﷺ) এর সাথে সর্বশেষ দলে বের হলাম। তিনি মুহাসসাব নামক স্থানে অবতরণ করেন, আমি তাঁর সাথে অবতরণ করলাম। এখানে এসে নবী (ﷺ) আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রাযিঃ) কে ডেকে বললেনঃ তোমার বোন (আয়িশা) কে নিয়ে হারাম সীমারেখা হতে বেরিয়ে যাও। সেখান থেকে সে উমরার ইহরাম বেঁধে মক্কা থেকে উমরা সমাধা করলে তাঁকে নিয়ে এখানে ফিরে আসবে। আমি তোমাদের আগমন পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকব।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমরা বের হয়ে গেলাম এবং আমি ও আমার ভাই তাওয়াফ সমাধা করে ফিরে এসে প্রভাত হওয়ার আগেই নবী (ﷺ) এর নিকট পৌঁছে গেলাম। তিনি বললেনঃ কাজ সমাধা করেছ কি? আমি বললাম জ্বী, হ্যাঁ। তখন তিনি রওয়ানা হওয়ার ঘোষণা দিলেন। সকলেই মদীনার দিকে রওয়ানা করলেন।
আবু আব্দুল্লাহ [ইমাম বুখারী (রাহঃ)] বলেন, يَضِيرُ শব্দটি ضَارَ - يَضِيرُ - ضَيْرًا (ক্ষতিকর) শব্দ থেকে উদগত। এমনই ভাবে ضَارَ يَضُورُ ضَوْرًا ও ضَرَّ يَضُرُّ ضَرًّا একই অর্থ বোঝায়।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {الحَجُّ أَشْهُرٌ مَعْلُومَاتٌ، فَمَنْ فَرَضَ فِيهِنَّ الحَجَّ فَلاَ رَفَثَ، وَلاَ فُسُوقَ وَلاَ جِدَالَ فِي الحَجِّ} [البقرة: 197] وَقَوْلِهِ {يَسْأَلُونَكَ عَنِ الأَهِلَّةِ، قُلْ: هِيَ مَوَاقِيتُ لِلنَّاسِ وَالحَجِّ} [البقرة: 189] وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: " أَشْهُرُ الحَجِّ: شَوَّالٌ، وَذُو القَعْدَةِ، وَعَشْرٌ مِنْ ذِي الحَجَّةِ " وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: " مِنَ السُّنَّةِ: أَنْ لاَ يُحْرِمَ بِالحَجِّ إِلَّا فِي أَشْهُرِ الحَجِّ " وَكَرِهَ عُثْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «أَنْ يُحْرِمَ مِنْ خُرَاسَانَ، أَوْ كَرْمَانَ»
1560 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرٍ الحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا أَفْلَحُ بْنُ حُمَيْدٍ، سَمِعْتُ القَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَشْهُرِ الحَجِّ، وَلَيَالِي الحَجِّ، وَحُرُمِ الحَجِّ، فَنَزَلْنَا بِسَرِفَ، قَالَتْ: فَخَرَجَ إِلَى أَصْحَابِهِ، فَقَالَ: «مَنْ لَمْ يَكُنْ مِنْكُمْ مَعَهُ هَدْيٌ، فَأَحَبَّ أَنْ يَجْعَلَهَا عُمْرَةً فَلْيَفْعَلْ، وَمَنْ كَانَ مَعَهُ الهَدْيُ فَلاَ» قَالَتْ: فَالْآخِذُ بِهَا، وَالتَّارِكُ لَهَا مِنْ أَصْحَابِهِ قَالَتْ: فَأَمَّا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجَالٌ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَكَانُوا أَهْلَ قُوَّةٍ وَكَانَ مَعَهُمُ الهَدْيُ، فَلَمْ يَقْدِرُوا عَلَى العُمْرَةِ، قَالَتْ: فَدَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَبْكِي، فَقَالَ: «مَا يُبْكِيكِ يَا هَنْتَاهُ؟» قُلْتُ: سَمِعْتُ قَوْلَكَ لِأَصْحَابِكَ فَمُنِعْتُ العُمْرَةَ، قَالَ: «وَمَا شَأْنُكِ؟» قُلْتُ: لاَ أُصَلِّي، قَالَ: «فَلاَ يَضِيرُكِ، إِنَّمَا أَنْتِ امْرَأَةٌ مِنْ بَنَاتِ آدَمَ، كَتَبَ اللَّهُ عَلَيْكِ مَا كَتَبَ عَلَيْهِنَّ، فَكُونِي فِي حَجَّتِكِ، فَعَسَى اللَّهُ أَنْ يَرْزُقَكِيهَا» قَالَتْ: فَخَرَجْنَا فِي حَجَّتِهِ حَتَّى قَدِمْنَا مِنًى، فَطَهَرْتُ، ثُمَّ خَرَجْتُ مِنْ مِنًى، فَأَفَضْتُ بِالْبَيْتِ، قَالَتْ: ثُمَّ خَرَجَتْ مَعَهُ فِي النَّفْرِ الآخِرِ، حَتَّى نَزَلَ المُحَصَّبَ، وَنَزَلْنَا مَعَهُ، فَدَعَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ، فَقَالَ: «اخْرُجْ بِأُخْتِكَ مِنَ الحَرَمِ، فَلْتُهِلَّ بِعُمْرَةٍ، ثُمَّ افْرُغَا، ثُمَّ ائْتِيَا هَا هُنَا، فَإِنِّي أَنْظُرُكُمَا حَتَّى تَأْتِيَانِي» قَالَتْ: فَخَرَجْنَا، حَتَّى إِذَا فَرَغْتُ، وَفَرَغْتُ مِنَ الطَّوَافِ، ثُمَّ جِئْتُهُ بِسَحَرَ، فَقَالَ: «هَلْ فَرَغْتُمْ؟» فَقُلْتُ: نَعَمْ، فَآذَنَ بِالرَّحِيلِ فِي أَصْحَابِهِ، فَارْتَحَلَ النَّاسُ، فَمَرَّ مُتَوَجِّهًا إِلَى المَدِينَةِ " ضَيْرِ: مِنْ ضَارَ يَضِيرُ ضَيْرًا، وَيُقَالُ: ضَارَ يَضُورُ ضَوْرًا، وَضَرَّ يَضُرُّ ضَرًّا "

তাহকীক: