আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
২০- যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ১৩৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২৬
৯০০. প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকা ব্যতীত সাদ্কা না করা।
যে ব্যক্তি সাদ্কা করতে চায়; অথচ সে নিজে দরিদ্র বা তার পরিবার-পরিজন অভাবগ্রস্ত অথবা সে ঋণগ্রস্ত, এ অবস্থায় তার জন্য সাদ্কা করা, গোলাম আযাদ করা ও দান করার চেয়ে ঋণ পরিশোধ করা কর্তব্য। এরূপ সাদ্কা করা আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। অন্যের সম্পদ বিনষ্ট করার অধিকার তার নেই।
নবী (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি বিনষ্ট করার ইচ্ছায় অন্যের সম্পদ হস্তগত করে, আল্লাহ তাকে ধংস করে দিবেন।
[ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন,] তবে এ ধরনের ব্যক্তি যদি ধৈর্যশীল বলে পরিচিত হয় তথা নিজের দারিদ্র উপেক্ষা করে অন্যকে নিজের উপর প্রাধান্য দেয়, তাহলে সে সাদ্কা করতে পারে। যেমন আবু বকর (রাযিঃ)-এর (অমর) কীর্তি, তিনি সমুদয় সম্পদ সাদ্কা করে দিয়েছিলেন। তেমনিভাবে আনসারী সাহাবাগণ মুহাজির সাহাবাদেরকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন।
নবী (ﷺ) সম্পদ বিনষ্ট করতে নিষেধ করেছেন। কাজেই (ঋণ পরিশোধ না করে) সাদ্কা করার বাহানায় অন্যের সম্পদ বিনষ্ট করার কোন অধিকার কারো নেই।
কা‘ব ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেন, আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার সম্পদ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উদ্দেশ্যে সাদ্কা করে আপন তওবা সম্পূর্ণ করতে চাই। তিনি বললেন, তোমার কিছু মাল নিজের জন্য রেখে দিবে। আর এটাই তোমার জন্য শ্রেয়। আমি বললাম, আমি খায়বরে প্রাপ্ত অংশটুকু রেখে দিব।
যে ব্যক্তি সাদ্কা করতে চায়; অথচ সে নিজে দরিদ্র বা তার পরিবার-পরিজন অভাবগ্রস্ত অথবা সে ঋণগ্রস্ত, এ অবস্থায় তার জন্য সাদ্কা করা, গোলাম আযাদ করা ও দান করার চেয়ে ঋণ পরিশোধ করা কর্তব্য। এরূপ সাদ্কা করা আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। অন্যের সম্পদ বিনষ্ট করার অধিকার তার নেই।
নবী (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি বিনষ্ট করার ইচ্ছায় অন্যের সম্পদ হস্তগত করে, আল্লাহ তাকে ধংস করে দিবেন।
[ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন,] তবে এ ধরনের ব্যক্তি যদি ধৈর্যশীল বলে পরিচিত হয় তথা নিজের দারিদ্র উপেক্ষা করে অন্যকে নিজের উপর প্রাধান্য দেয়, তাহলে সে সাদ্কা করতে পারে। যেমন আবু বকর (রাযিঃ)-এর (অমর) কীর্তি, তিনি সমুদয় সম্পদ সাদ্কা করে দিয়েছিলেন। তেমনিভাবে আনসারী সাহাবাগণ মুহাজির সাহাবাদেরকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন।
নবী (ﷺ) সম্পদ বিনষ্ট করতে নিষেধ করেছেন। কাজেই (ঋণ পরিশোধ না করে) সাদ্কা করার বাহানায় অন্যের সম্পদ বিনষ্ট করার কোন অধিকার কারো নেই।
কা‘ব ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেন, আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার সম্পদ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উদ্দেশ্যে সাদ্কা করে আপন তওবা সম্পূর্ণ করতে চাই। তিনি বললেন, তোমার কিছু মাল নিজের জন্য রেখে দিবে। আর এটাই তোমার জন্য শ্রেয়। আমি বললাম, আমি খায়বরে প্রাপ্ত অংশটুকু রেখে দিব।
১৩৪৩। আবদান (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থেকে সাদ্কা করা উত্তম। যাদের ভরণ-পোষণ তোমার দায়িত্বে, প্রথমে তাদেরকে দিবে।
بَابُ لاَ صَدَقَةَ إِلَّا عَنْ ظَهْرِ غِنًى «وَمَنْ تَصَدَّقَ وَهُوَ مُحْتَاجٌ، أَوْ أَهْلُهُ مُحْتَاجٌ، أَوْ عَلَيْهِ دَيْنٌ، فَالدَّيْنُ أَحَقُّ أَنْ يُقْضَى مِنَ الصَّدَقَةِ، وَالعِتْقِ وَالهِبَةِ، وَهُوَ رَدٌّ عَلَيْهِ لَيْسَ لَهُ أَنْ يُتْلِفَ أَمْوَالَ النَّاسِ» وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَخَذَ أَمْوَالَ النَّاسِ يُرِيدُ إِتْلاَفَهَا، أَتْلَفَهُ اللَّهُ» إِلَّا أَنْ يَكُونَ مَعْرُوفًا بِالصَّبْرِ، فَيُؤْثِرَ عَلَى نَفْسِهِ وَلَوْ كَانَ بِهِ خَصَاصَةٌ «كَفِعْلِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ،» حِينَ تَصَدَّقَ بِمَالِهِ «وَكَذَلِكَ آثَرَ الأَنْصَارُ المُهَاجِرِينَ وَنَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ إِضَاعَةِ المَالِ» فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُضَيِّعَ أَمْوَالَ النَّاسِ بِعِلَّةِ الصَّدَقَةِ " وَقَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ مِنْ تَوْبَتِي أَنْ أَنْخَلِعَ مِنْ مَالِي صَدَقَةً إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «أَمْسِكْ عَلَيْكَ بَعْضَ مَالِكَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ» ، قُلْتُ: فَإِنِّي أُمْسِكُ سَهْمِي الَّذِي بِخَيْبَرَ
1426 - حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ المُسَيِّبِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خَيْرُ الصَّدَقَةِ مَا كَانَ عَنْ ظَهْرِ غِنًى، وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ»
হাদীস নং: ১৩৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২৭ - ১৪২৮
৯০০. প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকা ব্যতীত সাদ্কা না করা।
১৩৪৪। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... হাকীম ইবনে হিযাম (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উপরের হাত (দাতার হাত) নীচের হাত (গ্রহীতার হাত) অপেক্ষা উত্তম। প্রথমে তাদেরকে দিবে, যাদের ভরণ-পোষণ তোমার দায়িত্বে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থেকে সাদ্কা করা উত্তম। যে ব্যক্তি (পাপ ও ভিক্ষা করা থেকে) পবিত্র থাকতে চায়, আল্লাহ তাকে পবিত্র রাখেন এবং যে পরমুখাপেক্ষিতা থেকে বেঁচে থাকতে চায়, আল্লাহ তাকে স্বাবলম্বী করে দেন।
উহাইব (রাহঃ)............... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
উহাইব (রাহঃ)............... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
بَابُ لاَ صَدَقَةَ إِلَّا عَنْ ظَهْرِ غِنًى
1427 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اليَدُ العُلْيَا خَيْرٌ مِنَ اليَدِ السُّفْلَى، وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ، وَخَيْرُ الصَّدَقَةِ عَنْ ظَهْرِ غِنًى، وَمَنْ يَسْتَعْفِفْ يُعِفَّهُ اللَّهُ، وَمَنْ يَسْتَغْنِ يُغْنِهِ اللَّهُ» .
1428 - وَعَنْ وُهَيْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَذَا
1428 - وَعَنْ وُهَيْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَذَا
হাদীস নং: ১৩৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২৯
৯০০. প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকা ব্যতীত সাদ্কা না করা।
১৩৪৫। আবু নু‘মান (রাহঃ) ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার মিম্বরের উপর থাকা অবস্থায় সাদ্কা করা ও ভিক্ষা করা থেকে বেঁচে থাকা ও ভিক্ষা করা সম্পর্কে উল্লেখ করে বলেনঃ উপরের হাত নীচের হাত অপেক্ষা উত্তম। উপরের হাত দাতার, আর নীচের হাত হলো ভিক্ষুকের।
بَابُ لاَ صَدَقَةَ إِلَّا عَنْ ظَهْرِ غِنًى
1429 - حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَهُوَ عَلَى المِنْبَرِ، وَذَكَرَ الصَّدَقَةَ، وَالتَّعَفُّفَ، وَالمَسْأَلَةَ: " اليَدُ العُلْيَا خَيْرٌ مِنَ اليَدِ السُّفْلَى، فَاليَدُ العُلْيَا: هِيَ المُنْفِقَةُ، وَالسُّفْلَى: هِيَ السَّائِلَةُ "