আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

২০- যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১৩৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪১৯
৮৯২. সুস্থ কৃপণের সাদ্‌কা দেওয়ার ফযীলত।
এ পর্যায়ে আল্লাহর বাণীঃ আমি তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তোমরা তা হতে ব্যয় করবে তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বে ….. শেষ পর্যন্ত। (৬৩:১০)
আরো ইরশাদ হয়েছেঃ হে মু’মিনগণ! আমি যা তোমাদেরকে দিয়েছি তা থেকে তোমরা ব্যয় কর সেদিন আসার পূর্বে যেদিন ক্রয়-বিক্রয়, বন্ধুত্ব এবং সুপারিশ থাকবেনা….. শেষ পর্যন্ত। (২:২৫৪)
১৩৩৬। মুসা ইবনে ইসমা‘ঈল (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সাহাবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোন সাদ্‌কার সাওয়াব বেশী পাওয়া যায়? তিনি বললেনঃ কৃপণ অবস্থায় তোমার সাদ্‌কা করা, যখন তুমি দারিদ্রের আশঙ্কা করবে ও ধনী হওয়ার আশা রাখবে। সাদ্‌কা করতে দেরী করবে না। অবশেষে যখন প্রাণবায়ু কন্ঠাগত হবে, আর তুমি বলতে থাকবে, অমুকের জন্য এতটুকু, অমুকের জন্য এতটুকু, অথচ তা অমুকের জন্য হয়ে গেছে।
بَابُ فَضْلِ صَدَقَةِ الشَّحِيحِ الصَّحِيحِ لِقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {وأنفقوا مما رَزَقْنَاكُمْ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ}. الآية /المنافقون: 10/. وقوله: {يا أيها الَّذِينَ آمَنُوا أَنْفِقُوا مِمَّا رَزَقْنَاكُمْ مِنْ قَبْلِ أن يأتي يوم لا بيع فيه}. الآية /البقرة: 254/.
1419 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَاحِدِ، حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ القَعْقَاعِ، حَدَّثَنَا أَبُو زُرْعَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّ الصَّدَقَةِ أَعْظَمُ أَجْرًا؟ قَالَ: «أَنْ تَصَدَّقَ وَأَنْتَ صَحِيحٌ شَحِيحٌ تَخْشَى الفَقْرَ، وَتَأْمُلُ الغِنَى، وَلاَ تُمْهِلُ حَتَّى إِذَا بَلَغَتِ الحُلْقُومَ، قُلْتَ لِفُلاَنٍ كَذَا، وَلِفُلاَنٍ كَذَا وَقَدْ كَانَ لِفُلاَنٍ»
হাদীস নং: ১৩৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২০
৮৯২. সুস্থ কৃপণের সাদ্‌কা দেওয়ার ফযীলত।
১৩৩৭। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, কোন নবী সহধর্মিণী নবী (ﷺ) কে বললেন, আমাদের মধ্য থেকে সবার আগে (মৃত্যুর পর) আপনার সাথে কে মিলিত হবে? তিনি বললেনঃ যার হাত দীর্ঘতর। তাঁরা একটি বাঁশের কাঠির সাহায্যে হাত মেপে দেখতে লাগলেন। সাওদার হাত সকলের হাতের চেয়ে দীর্ঘতর বলে প্রমাণিত হল। পরে আমরা অনুধাবন করতে পারলাম যে, সাদ্‌কার আধিক্য তাঁর হাত দীর্ঘ করে দিয়েছিল। আমাদের মাঝে তিনি সবার আগে রাসূল (ﷺ) এর সাথে মিলিত হন। তিনি সাদ্‌কা করা ভালোবাসতেন।*

*নির্ভরযোগ্য ইতিহাস অনুসারে হযরত যয়নব (রাযিঃ) সবার আগে ইন্তিকাল করেন। সাওদা (রাযিঃ)-এর কথা হাদীসে যুক্ত হওয়া কোন এক রাবীর অসাবধানতার কারণে। যয়নাব (রাযিঃ)-এর ইন্তিকাল হয় উমর (রাযিঃ)-এর খিলাফতকালে আর সাওদা (রাযিঃ)-এর ইন্তিকাল হয় মু'আবিয়া (রাযিঃ)-এর খিলাফতকালে ৫৪ হিজরীতে।
بَابُ فَضْلِ صَدَقَةِ الشَّحِيحِ الصَّحِيحِ
1420 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: أَنَّ بَعْضَ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قُلْنَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّنَا أَسْرَعُ بِكَ لُحُوقًا؟ قَالَ: «أَطْوَلُكُنَّ يَدًا» ، فَأَخَذُوا قَصَبَةً يَذْرَعُونَهَا، فَكَانَتْ سَوْدَةُ أَطْوَلَهُنَّ يَدًا، فَعَلِمْنَا بَعْدُ أَنَّمَا كَانَتْ طُولَ يَدِهَا الصَّدَقَةُ، وَكَانَتْ أَسْرَعَنَا لُحُوقًا بِهِ وَكَانَتْ تُحِبُّ الصَّدَقَةَ