আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

১৯- জানাযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১৩০৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৮৯
৮৭৯. নবী (ﷺ), আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) এর কবরের বর্ণনা।
(আল্লাহর বাণীঃ) فَأَقْبَرَهُ তাকে কবরস্থ করলেন। أَقْبَرْتُ الرَّجُلَ أُقْبِرُهُ তখন বলবে যখন তুমি কারো জন্য কবর তৈরী করবে। قَبَرْتُهُ: دَفَنْتُهُ অর্থাৎ কবরস্থ করা। كِفَاتًا অর্থাৎ জীবিতাবস্থায় ভূপৃষ্ঠে অবস্থান করবে ও মৃত্যুর পর এর মধ্যে সমাহিত হবে।
১৩০৬। ইসমাঈল ও মুহাম্মাদ ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রোগশয্যায় (স্ত্রীগণের নিকট অবস্থানের) পালার সময় কাল জানতে চাইতেন। আমার অবস্থান আজ কোথায় হবে? আগামীকাল কোথায় হবে? আয়িশা (রাযিঃ) এর পালা বিলম্বিত হচ্ছে বলে ধারণা করেই এ প্রশ্ন করতেন। (আয়িশা (রাযিঃ) বলেন) যেদিন আমার পালা আসলো, সেদিন আল্লাহ তাঁকে আমার কণ্ঠদেশ ও বক্ষের মাঝে (হেলান দেওয়া অবস্থায়) রূহ কবয করলেন এবং আমার ঘরে তাঁকে দাফন করা হয়।
بَابُ مَا جَاءَ فِي قَبْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبِي بَكْرٍ، وَعُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {فَأَقْبَرَهُ} [عبس: 21] : أَقْبَرْتُ الرَّجُلَ أُقْبِرُهُ إِذَا جَعَلْتَ لَهُ قَبْرًا، وَقَبَرْتُهُ: دَفَنْتُهُ {كِفَاتًا} [المرسلات: 25] : يَكُونُونَ فِيهَا أَحْيَاءً، وَيُدْفَنُونَ فِيهَا أَمْوَاتًا
1389 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ، عَنْ هِشَامٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ يَحْيَى بْنُ أَبِي زَكَرِيَّاءَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيَتَعَذَّرُ فِي مَرَضِهِ: «أَيْنَ أَنَا اليَوْمَ، أَيْنَ أَنَا غَدًا» اسْتِبْطَاءً لِيَوْمِ عَائِشَةَ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمِي، قَبَضَهُ اللَّهُ بَيْنَ سَحْرِي وَنَحْرِي وَدُفِنَ فِي بَيْتِي
হাদীস নং: ১৩০৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৯০
৮৭৯. নবী (ﷺ), আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) এর কবরের বর্ণনা।
১৩০৭। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অন্তিম রোগশয্যায় বলেন, ইয়াহুদী ও নাসারাদের প্রতি আল্লাহর লা’নত হোক। কারণ, তারা নিজেদের নবীগণের কবরকে সিজদার স্থানে পরিণত করেছে। (রাবী উরওয়া বলেন) এরূপ আশঙ্কা না থাকলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কবরকে (ঘরের বেষ্টনীতে সংরক্ষিত না রেখে) খোলা রাখা হতো। কিন্তু তিনি (নবী ﷺ) আশঙ্কা করেন বা আশঙ্কা করা হয় যে, পরবর্তীতে একে মসজিদে পরিণত করা হবে।
রাবী হিলাল (রাহঃ) বলেন, উরওয়া আমাকে (আবু আমর) কুনিয়াতে ভূষিত করেন আর তখন পর্যন্ত আমি কোন সন্তানের পিতা হইনি।
باب مَا جَاءَ فِي قَبْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ ـ رضى الله عنهما
1390 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ هِلاَلٍ هُوَ الوَزَّانُ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَرَضِهِ الَّذِي لَمْ يَقُمْ مِنْهُ: «لَعَنَ اللَّهُ اليَهُودَ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ» ، لَوْلاَ ذَلِكَ أُبْرِزَ قَبْرُهُ [ص:103] غَيْرَ أَنَّهُ خَشِيَ - أَوْ خُشِيَ - أَنَّ يُتَّخَذَ مَسْجِدًا وَعَنْ هِلاَلٍ، قَالَ: «كَنَّانِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَلَمْ يُولَدْ لِي»...............
হাদীস নং: ১৩০৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৯০
৮৭৯. নবী (ﷺ), আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) এর কবরের বর্ণনা।
১৩০৮। মুহাম্মাদ ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) ......... সুফিয়ান তাম্মার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি নবী (ﷺ) এর কবর উটের কুঁজের ন্যায় (উঁচু) দেখেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي قَبْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ ـ رضى الله عنهما
1390 - ......... حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ سُفْيَانَ التَّمَّارِ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ: «أَنَّهُ رَأَى قَبْرَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُسَنَّمًا»
হাদীস নং: ১৩০৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৯০ - ১৩৯১
৮৭৯. নবী (ﷺ), আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) এর কবরের বর্ণনা।
১৩০৯। ফারওয়া (রাহঃ) ......... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ওয়ালীদ ইবনে আব্দুল মালিক এর শাসনামলে যখন (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কবরের) বেষ্টনী দেওয়াল ধ্বসে পড়ে, তখন তাঁরা সংস্কার করতে আরম্ভ করলে একটি পা প্রকাশ পায়, তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কদম মুবারক বলে ধারণা করার কারণে লোকেরা খুব ঘাবড়ে যায়। শনাক্ত করার মত কাউকে তারা পায় নি। অবশেষে উরওয়া (রাযিঃ) তাদের বললেন, আল্লাহর কসম! এ নবী (ﷺ) এর কদম মুবারক নয় বরং এতো উমর (রাযিঃ) এর পা।
(ইমাম বুখারী বলেন) হিশাম (রাহঃ) তার পিতা সূত্রে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) কে অসিয়্যাত করেছিলেন, আমাকে তাঁদের (নবী (ﷺ) ও তাঁর দু’সাহাবী) পাশে দাফন করবে না। বরং আমাকে আমার সঙ্গিনী (অন্যান্য উম্মুল মু’মিনীন)-দের সাথে জান্নাতুল বাকীতে দাফন করবে। (নবী ﷺ) এর পাশে সমাহিত হওয়ার কারণে আমি যেন বিশেষ প্রশংসিত না হই।
باب مَا جَاءَ فِي قَبْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ ـ رضى الله عنهما
1390 - ......... حَدَّثَنَا فَرْوَةُ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، لَمَّا سَقَطَ عَلَيْهِمُ الحَائِطُ فِي زَمَانِ الوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ المَلِكِ، أَخَذُوا فِي بِنَائِهِ فَبَدَتْ لَهُمْ قَدَمٌ، فَفَزِعُوا وَظَنُّوا أَنَّهَا قَدَمُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَا وَجَدُوا أَحَدًا يَعْلَمُ ذَلِكَ حَتَّى قَالَ لَهُمْ عُرْوَةُ: «لاَ وَاللَّهِ مَا هِيَ قَدَمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَا هِيَ إِلَّا قَدَمُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ»
1391 - وَعَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: أَنَّهَا أَوْصَتْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا «لاَ تَدْفِنِّي مَعَهُمْ وَادْفِنِّي مَعَ صَوَاحِبِي بِالْبَقِيعِ لاَ أُزَكَّى بِهِ أَبَدًا»
হাদীস নং: ১৩১০
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৯২
৮৭৯. নবী (ﷺ), আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) এর কবরের বর্ণনা।
১৩১০। কুতাইবা (রাহঃ) ......... আমর ইবনে মায়মুন আওদী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমর (রাযিঃ) কে দেখেছি, তিনি আপন পুত্র আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) কে ডেকে বললেন, তুমি উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) কে গিয়ে বল, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) আপনাকে সালাম জানিয়েছেন। এরপর আমাকে আপন সাথীদ্বয় (নবী (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ)) এর পাশে দাফন করতে তিনি রাজি আছেন কি না?** আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, আমি পূর্ব থেকেই নিজের জন্য এর আশা পোষণ করতাম, কিন্তু আজ উমর (রাযিঃ) কে নিজের উপর প্রাধান্য দিচ্ছি। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) ফিরে এলে উমর (রাযিঃ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কি বার্তা নিয়ে এলে? তিনি বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! তিনি [আয়িশা (রাযিঃ)] আপনার জন্য অনুমতি প্রদান করেছেন। উমর (রাযিঃ) বললেন, সেখানে শয্যা লাভ করাই আমার কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মৃত্যুর পর আমার শবদেহ বহন করে (আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত করে) তাঁকে সালাম জানিয়ে বলবে, উমর ইবনে খাত্তাব (পুনরায়) আপনার অনুমতি প্রার্থনা করেছেন। তিনি অনুমতি দিলে, সেখানে আমাকে দাফন করবে। অন্যথায় মুসলমানদের সাধারণ কবরস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।
তারপর উমর (রাযিঃ) বলেন, এ কয়েকজন ব্যক্তি যাঁদের সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মৃত্যু পর্যন্ত সন্তুষ্ট ছিলেন, তাঁদের অপেক্ষা অন্য কাউকে আমি এ খিলাফতের (দায়িত্ব পালনে) অধিক যোগ্য বলে মনে করি না। তাই আমার পর তাঁরা (তাঁদের মধ্য থেকে) যাঁকে খলীফা মনোনীত করবেন তিনি খলীফা হবেন। তোমরা সকলেই তাঁর আদেশ মেনে চলবে, তাঁর আনুগত্য করবে। এ বলে তিনি উসমান, আলী, তালহা, যুবাইর, আব্দুর রহমান ইবনে আওফ ও সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) এর নাম উল্লেখ করলেন।
এ সময় এক আনসারী যুবক উমর (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললো, হে আমীরুল মু’মিনীন! আল্লাহ প্রদত্ত সুসংবাদ গ্রহণ করুন। আপনি ইসলামের ছায়াতলে দীর্ঘদিন অতিবাহিত করার সৌভাগ্য লাভ করেছেন যা আপনিও জানেন। এরপর আপনাকে খলীফা নিযুক্ত করা হয় এবং আপনি ন্যায়বিচার করেছেন। সর্বোপরি আপনি শাহাদাত লাভ করছেন। উমর (রাযিঃ) বললেন, হে ভাতিজা! যদি তা আমার জন্য লাভ লোকসানের না হয়ে বরাবর হয়, তবে কতই না ভাল হবে। (তিনি বললেন) আমার পরবর্তী খলীফাকে ওয়াসিয়্যাত করে যাচ্ছি, তিনি যেন প্রথম দিকের মুহাজিরদের ব্যাপারে যত্নবান হন, তাঁদের হক আদায় করে চলেন, যেন তাদের যথাযথ সম্মান করেন। আমি তাঁকে আনসারদের ব্যাপারেও সদাচারের উপদেশ দেই, যারা ঈমান ও মদীনাকে আঁকড়ে ধরে রয়েছেন, যেন তাঁদের মধ্যকার সৎকর্মশীলদের কাজের স্বীকৃতি প্রদান করা হয় এবং তাঁদের মধ্যকার (লঘু) অপরাধীকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। সর্বশেষ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দায়িত্বভূক্ত (সর্বস্তরের মু’মিনদের সম্পর্কে) সতর্ক করে দিচ্ছি, যেন মু’মিনদের সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করা হয়, তাদের রক্ষার জন্য যুদ্ধ করা হয় এবং সাধ্যাতীত কোন দায়িত্ব তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া না হয়।

** রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর রাওযা মুবারক আয়িশা (রা.)-এর ঘর বিধায় এর মালিকানা তাঁর থাকায় উমর (রা.)-এর দাফনে অনুমতির প্রয়োজন ছিল।
باب مَا جَاءَ فِي قَبْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ ـ رضى الله عنهما
1392 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الحَمِيدِ، حَدَّثَنَا حُصَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ الأَوْدِيِّ، قَالَ: رَأَيْتُ عُمَرَ بْنَ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، اذْهَبْ إِلَى أُمِّ المُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَقُلْ: يَقْرَأُ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ عَلَيْكِ السَّلاَمَ، ثُمَّ سَلْهَا، أَنْ أُدْفَنَ مَعَ صَاحِبَيَّ، قَالَتْ: كُنْتُ أُرِيدُهُ لِنَفْسِي فَلَأُوثِرَنَّهُ اليَوْمَ عَلَى نَفْسِي، فَلَمَّا أَقْبَلَ، قَالَ: لَهُ مَا لَدَيْكَ؟ قَالَ: أَذِنَتْ لَكَ يَا أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ، قَالَ: " مَا كَانَ شَيْءٌ أَهَمَّ إِلَيَّ مِنْ ذَلِكَ المَضْجَعِ، فَإِذَا قُبِضْتُ فَاحْمِلُونِي، ثُمَّ سَلِّمُوا، ثُمَّ قُلْ: يَسْتَأْذِنُ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ، فَإِنْ أَذِنَتْ لِي، فَادْفِنُونِي، وَإِلَّا فَرُدُّونِي إِلَى مَقَابِرِ المُسْلِمِينَ، إِنِّي لاَ أَعْلَمُ أَحَدًا أَحَقَّ بِهَذَا الأَمْرِ مِنْ هَؤُلاَءِ النَّفَرِ الَّذِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَنْهُمْ رَاضٍ، فَمَنِ اسْتَخْلَفُوا بَعْدِي فَهُوَ الخَلِيفَةُ فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا، فَسَمَّى عُثْمَانَ، وَعَلِيًّا، وَطَلْحَةَ، وَالزُّبَيْرَ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ، وَسَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، وَوَلَجَ عَلَيْهِ شَابٌّ مِنَ الأَنْصَارِ، فَقَالَ: أَبْشِرْ يَا أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ بِبُشْرَى اللَّهِ، كَانَ لَكَ مِنَ القَدَمِ فِي الإِسْلاَمِ مَا قَدْ عَلِمْتَ، ثُمَّ اسْتُخْلِفْتَ فَعَدَلْتَ، ثُمَّ الشَّهَادَةُ بَعْدَ هَذَا كُلِّهِ، فَقَالَ: لَيْتَنِي يَا ابْنَ أَخِي وَذَلِكَ كَفَافًا لاَ عَلَيَّ وَلاَ لِي، أُوصِي الخَلِيفَةَ مِنْ بَعْدِي بِالْمُهَاجِرِينَ الأَوَّلِينَ خَيْرًا، أَنْ يَعْرِفَ لَهُمْ حَقَّهُمْ، وَأَنْ يَحْفَظَ لَهُمْ حُرْمَتَهُمْ، وَأُوصِيهِ بِالأَنْصَارِ خَيْرًا الَّذِينَ تَبَوَّءُوا الدَّارَ وَالإِيمَانَ أَنْ يُقْبَلَ مِنْ مُحْسِنِهِمْ، وَيُعْفَى عَنْ مُسِيئِهِمْ، وَأُوصِيهِ بِذِمَّةِ اللَّهِ، وَذِمَّةِ رَسُولِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُوفَى لَهُمْ بِعَهْدِهِمْ، وَأَنْ يُقَاتَلَ مِنْ وَرَائِهِمْ وَأَنْ [ص:104] لاَ يُكَلَّفُوا فَوْقَ طَاقَتِهِمْ "