আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
১৯- জানাযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ১২৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪৭ - ১৩৪৮
৮৫৮. কবরে প্রথম কাকে রাখা হবে।
আবু আব্দুল্লাহ (ইমাম বুখারী রাহঃ) বলেন, একদিকে ঢালু করে গর্ত করা হয় বলে ‘লাহদ’ নামকরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক যালিমই মুলহিদ সীমালঙ্ঘনকারী (ঝগড়াটে), مُلْتَحَدًا অর্থ হল পাশ কাটিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয়ার স্থান। আর কবর সমান হলে তাকে বলা হয় ‘যারীহ’ (সিন্দুক কবর)।
আবু আব্দুল্লাহ (ইমাম বুখারী রাহঃ) বলেন, একদিকে ঢালু করে গর্ত করা হয় বলে ‘লাহদ’ নামকরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক যালিমই মুলহিদ সীমালঙ্ঘনকারী (ঝগড়াটে), مُلْتَحَدًا অর্থ হল পাশ কাটিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয়ার স্থান। আর কবর সমান হলে তাকে বলা হয় ‘যারীহ’ (সিন্দুক কবর)।
১২৬৬। ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উহুদের শহীদগণের দু’ দু’জনকে একই কাপড়ে (কবরে) একত্রে দাফন করার ব্যবস্থা করে জিজ্ঞাসা করলেন, তাঁদের মধ্যে কে কুরআন সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত? যখন তাঁদের একজনের দিকে ইশারা করা হত, তখন তিনি তাকে প্রথমে কবরে রাখতেন আর বলতেনঃ আমি তাদের জন্য সাক্ষী হব (কিয়ামতে)। তিনি তাদের রক্তমাখা অবস্থায় দাফন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং তিনি তাদের জানাযার নামাযও আদায় করেননি। তাদের গোসলও দেননি।
রাবী ইবনুল মুবারক (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) সূত্রে জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উহুদ যুদ্ধের শহীদগণের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন, তাদের মাঝে কুরআন সম্পর্কে কে অধিক জ্ঞাত? কোন একজনের দিকে ইশারা করা হলে, তিনি তাকে তার সঙ্গীর আগে কবরে রাখতেন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমার পিতা ও চাচাকে একখানি পশমের তৈরী নকশা করা কাপড়ে কাফন দেওয়া হয়েছিল।
আর সুলাইমান ইবনে কাসীর (রাহঃ) যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমার নিকট এমন এক ব্যক্তি হাদীস বর্ণনা করেছেন, যিনি জাবির (রাযিঃ) থেকে শুনেছেন।
রাবী ইবনুল মুবারক (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) সূত্রে জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উহুদ যুদ্ধের শহীদগণের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন, তাদের মাঝে কুরআন সম্পর্কে কে অধিক জ্ঞাত? কোন একজনের দিকে ইশারা করা হলে, তিনি তাকে তার সঙ্গীর আগে কবরে রাখতেন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমার পিতা ও চাচাকে একখানি পশমের তৈরী নকশা করা কাপড়ে কাফন দেওয়া হয়েছিল।
আর সুলাইমান ইবনে কাসীর (রাহঃ) যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমার নিকট এমন এক ব্যক্তি হাদীস বর্ণনা করেছেন, যিনি জাবির (রাযিঃ) থেকে শুনেছেন।
باب مَنْ يُقَدَّمُ فِي اللَّحْدِ وَسُمِّيَ اللَّحْدَ لأَنَّهُ فِي نَاحِيَةٍ، وَكُلُّ جَائِرٍ مُلْحِدٌ. (مُلْتَحَدًا) مَعْدِلاً، وَلَوْ كَانَ مُسْتَقِيمًا كَانَ ضَرِيحًا
1347 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَجْمَعُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ مِنْ قَتْلَى أُحُدٍ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ، ثُمَّ يَقُولُ: «أَيُّهُمْ أَكْثَرُ أَخْذًا لِلْقُرْآنِ؟» ، فَإِذَا أُشِيرَ لَهُ إِلَى أَحَدِهِمَا قَدَّمَهُ فِي اللَّحْدِ، وَقَالَ: «أَنَا شَهِيدٌ عَلَى هَؤُلاَءِ» وَأَمَرَ بِدَفْنِهِمْ بِدِمَائِهِمْ، وَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِمْ، وَلَمْ يُغَسِّلْهُمْ،
1348 - وَأَخْبَرَنَا ابْنُ المُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِقَتْلَى أُحُدٍ: «أَيُّ هَؤُلاَءِ أَكْثَرُ أَخْذًا لِلْقُرْآنِ؟» فَإِذَا أُشِيرَ لَهُ إِلَى رَجُلٍ قَدَّمَهُ فِي اللَّحْدِ قَبْلَ صَاحِبِهِ، وَقَالَ جَابِرٌ: فَكُفِّنَ أَبِي وَعَمِّي فِي نَمِرَةٍ وَاحِدَةٍ، وَقَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنِي مَنْ سَمِعَ جَابِرًا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
1348 - وَأَخْبَرَنَا ابْنُ المُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِقَتْلَى أُحُدٍ: «أَيُّ هَؤُلاَءِ أَكْثَرُ أَخْذًا لِلْقُرْآنِ؟» فَإِذَا أُشِيرَ لَهُ إِلَى رَجُلٍ قَدَّمَهُ فِي اللَّحْدِ قَبْلَ صَاحِبِهِ، وَقَالَ جَابِرٌ: فَكُفِّنَ أَبِي وَعَمِّي فِي نَمِرَةٍ وَاحِدَةٍ، وَقَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنِي مَنْ سَمِعَ جَابِرًا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ