আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

১৯- জানাযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১২৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৩২২
৮৩৯. জানাযার নামাযের নিয়ম।
নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জানাযার নামায আদায় করবে..... । তিনি (ﷺ) বলেন, তোমরা তোমাদের সঙ্গীর জন্য (জানাযার) নামায আদায় কর। আরো বলেছেনঃ তোমরা নাজাশী বাদশাহর জন্য (জানাযার) নামায আদায় কর।
নবী (ﷺ) একে নামায বলেছেন, (অথচ) এর মধ্যে রুকূ’ ও সিজদা নেই এবং এতে কথা বলা যায় না, এতে রয়েছে তাকবীর ও তাসলীম।
ইবনে উমর (রাযিঃ) পবিত্রতা ছাড়া (জানাযার) নামায আদায় করতেন না। এবং সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তকালে এ নামায আদায় করতেন না। (তাকবীর কালে) দু’ হাত উত্তোলন করতেন।
হাসান (বসরী) (রাহঃ) বলেন, আমি সাহাবীগণকে এ অবস্থায় পেয়েছি যে, তাদের জানাযার নামাযের (ইমামতের) জন্য তাকেই অধিকতর যোগ্য মনে করা হত, যাকে তাদের ফরয নামাযসমূহে (ইমামতের) জন্য তাঁরা পছন্দ করতেন। ঈদের দিন (নামায কালে) বা জানাযার নামায আদায় কালে কারো উযু নষ্ট হয়ে গেলে, তিনি পানি তালাশ করতেন, তায়াম্মুম করতেন না। কেউ জানাযার কাছে পৌছে লোকদের নামাযরত দেখলে তাকবীর বলে তাতে শামীল হয়ে যেতেন।
সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) বলেছেন, দিনে হোক বা রাতে, বিদেশে হোক কিংবা দেশে, (জানাযার নামাযে) চার তাকবীরই বলবে।
আনাস (রাযিঃ) বলেছেন, (প্রথম) এক তাকবীর হল নামাযের উদ্বোধন।
আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন: তাদের (মুনাফিকদের) কেউ মারা গেলে কখনও তার জন্য নামায (জানাযা) আদায় করবে না। (সূরা তাওবাঃ৮৪) এ ছাড়াও জানাযার নামাযে রয়েছে একাধিক কাতার ও ইমাম (থাকার বিধান)।
১২৪৩। সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) ......... শা’বী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এমন এক সাহাবী আমাকে খবর দিয়েছেন, যিনি তোমাদের নবী (ﷺ) এর সঙ্গে একটি পৃথক কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি (নবী ﷺ) ইমামতি করলেন, আমরা তাঁর পিছনে কাতার করলাম এবং নামায আদায় করলাম।
(শায়বানী (রাহঃ) বলেন,) আমরা (শা’বীকে) জিজ্ঞাসা করলাম, হে আবু আমর! আপনাকে এ হাদীস কে বর্ণনা করেছেন? তিনি বললেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)।
بَابُ سُنَّةِ الصَّلاَةِ عَلَى الجَنَازَةِ وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى عَلَى الجَنَازَةِ» وَقَالَ: «صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ» وَقَالَ: «صَلُّوا عَلَى النَّجَاشِيِّ» سَمَّاهَا صَلاَةً لَيْسَ فِيهَا رُكُوعٌ، وَلاَ سُجُودٌ، وَلاَ يُتَكَلَّمُ فِيهَا وَفِيهَا تَكْبِيرٌ وَتَسْلِيمٌ " وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ: «لاَ يُصَلِّي إِلَّا طَاهِرًا، وَلاَ يُصَلِّي عِنْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ، وَلاَ غُرُوبِهَا، وَيَرْفَعُ يَدَيْهِ» وَقَالَ الحَسَنُ: «أَدْرَكْتُ النَّاسَ وَأَحَقُّهُمْ بِالصَّلاَةِ عَلَى جَنَائِزِهِمْ مَنْ رَضُوهُمْ لِفَرَائِضِهِمْ، وَإِذَا أَحْدَثَ يَوْمَ العِيدِ أَوْ عِنْدَ الجَنَازَةِ يَطْلُبُ المَاءَ وَلاَ يَتَيَمَّمُ، وَإِذَا انْتَهَى إِلَى الجَنَازَةِ وَهُمْ يُصَلُّونَ يَدْخُلُ مَعَهمْ بِتَكْبِيرَةٍ» وَقَالَ ابْنُ المُسَيِّبِ: «يُكَبِّرُ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَالسَّفَرِ وَالحَضَرِ أَرْبَعًا» وَقَالَ أَنَسٌ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «التَّكْبِيرَةُ الوَاحِدَةُ اسْتِفْتَاحُ الصَّلاَةِ» وَقَالَ: {وَلاَ تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا} [التوبة: 84] وَفِيهِ صُفُوفٌ وَإِمَامٌ
1322 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَنْ مَرَّ مَعَ نَبِيِّكُمْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى قَبْرٍ مَنْبُوذٍ «فَأَمَّنَا، فَصَفَفْنَا خَلْفَهُ» ، فَقُلْنَا: يَا أَبَا عَمْرٍو، مَنْ حَدَّثَكَ؟ قَالَ: ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا