আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

১৯- জানাযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১২২৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৩০১
৮২৪. মুসীবতের সময় দুঃখ প্রকাশ না করা।
মুহাম্মাদ ইবনে কা’ব (রাহঃ) বলেন, অস্থিরতা হচ্ছে মন্দ বাক্য উচ্চারণ করা, কুধারণা পোষণ করা।
ইয়াকুব (আলাইহিস সালাম) বলেছেনঃ আমি আমার অসহনীয় বেদনা ও আমার দুঃখ শুধু আল্লাহর নিকট নিবেদন করছি।
১২২৩। বিশর ইবনে হাকাম (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু তালহা (রাযিঃ) এর এক পুত্র অসুস্থ হয়ে পড়ল। রাবী বলেন, সে মারা গেল। তখন আবু তালহা (রাযিঃ) বাড়ীর বাইরে ছিলেন। তাঁর স্ত্রী যখন দেখলেন যে, ছেলেটি মারা গেছে, তখন তিনি কিছু প্রস্তুতি নিলেন।* এবং ছেলেটিকে ঘরের এক কোনে রেখে দিলেন। আবু তালহা (রাযিঃ) বাড়ীতে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, ছেলের অবস্থা কেমন? স্ত্রী জওয়াব দিলেন, তার আত্মা শান্ত হয়েছে এবং আশা করি সে এখন আরাম পাচ্ছে। আবু তালহা (রাযিঃ) ভাবলেন, তাঁর স্ত্রী সত্য বলেছেন**। রাবী বলেন, তিনি রাত যাপন করলেন এবং ভোরে গোসল করলেন। তিনি বাইরে যেতে উদ্যত হলে স্ত্রী তাঁকে জানালেন ছেলেটি মারা গেছে। এরপর তিনি নবী (ﷺ) এর সঙ্গে (ফজরের) নামায আদায় করলেন। তারপর নবী (ﷺ) কে তাঁদের রাতের ঘটনা জানালেন। তখন রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করলেনঃ আশা করা যায়, আল্লাহ পাক তোমাদের এ রাতে বরকত দিবেন। সুফিয়ন (রাহঃ) বলেন, এক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন, আমি (আবু তালহা (রাযিঃ) দম্পতির নয়জন সন্তান দেখেছি, তাঁরা সবাই কুরআন সম্পর্কে দক্ষ ছিলেন।

*যাতে স্বামী ব্যাপারটি বুঝতে না পারেন তজ্জন্য তিনি নিজেই শিশুটিকে গোসল ও কাফনের ব্যবস্থা করলেন, অথবা স্বামীর খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করলেন, অথবা স্বামীর সংগলাভের জন্য সাজ-সজ্জার প্রস্তুতি নিলেন।

** এখানে তাঁর স্ত্রী মিথ্যা বলেছেন, এটা উদ্দেশ্য নয়।
بَابُ مَنْ لَمْ يُظْهِرْ حُزْنَهُ عِنْدَ المُصِيبَةِ وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ القُرَظِيُّ: " الجَزَعُ: القَوْلُ السَّيِّئُ وَالظَّنُّ السَّيِّئُ "، وَقَالَ يَعْقُوبُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ: {إِنَّمَا أَشْكُو بَثِّي وَحُزْنِي إِلَى اللَّهِ} [يوسف: 86]
1301 - حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الحَكَمِ [ص:83]، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: اشْتَكَى ابْنٌ لِأَبِي طَلْحَةَ، قَالَ: فَمَاتَ، وَأَبُو طَلْحَةَ خَارِجٌ، فَلَمَّا رَأَتِ امْرَأَتُهُ أَنَّهُ قَدْ مَاتَ هَيَّأَتْ شَيْئًا، وَنَحَّتْهُ فِي جَانِبِ البَيْتِ، فَلَمَّا جَاءَ أَبُو طَلْحَةَ قَالَ: كَيْفَ الغُلاَمُ، قَالَتْ: قَدْ هَدَأَتْ نَفْسُهُ، وَأَرْجُو أَنْ يَكُونَ قَدِ اسْتَرَاحَ، وَظَنَّ أَبُو طَلْحَةَ أَنَّهَا صَادِقَةٌ، قَالَ: فَبَاتَ، فَلَمَّا أَصْبَحَ اغْتَسَلَ، فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ أَعْلَمَتْهُ أَنَّهُ قَدْ مَاتَ، فَصَلَّى مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ أَخْبَرَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا كَانَ مِنْهُمَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُبَارِكَ لَكُمَا فِي لَيْلَتِكُمَا» قَالَ سُفْيَانُ: فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ: فَرَأَيْتُ لَهُمَا تِسْعَةَ أَوْلاَدٍ كُلُّهُمْ قَدْ قَرَأَ القُرْآنَ