আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
১৯- জানাযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ১২০৯
আন্তর্জাতিক নং: ১২৮৪
৮১৫. নবী (ﷺ)-এর বাণী: পরিজনের কান্নার কারণে মৃত ব্যক্তি কে আযাব দেওয়া হয়, যদি বিলাপ করা তার অভ্যাস হয়ে থাকে। কারণ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন: তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার পরিজনদের জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর। (সূরা তাহরীম: ৬) এবং নবী (সা:) বলেছেন: তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। কিন্তু তা যদি তার অভ্যাস না হয়ে থাকে তা হলে তার বিধান হবে যা আয়িশা (রা.) উদ্ধৃত করেছেন: নিজ বোঝা বহনকারী কোন ব্যক্তি অপরের বোঝা বহন করবে না (সূরা ফাতির : ১৮)। আর এ হলো আল্লাহ পাকের এ বাণীর ন্যায়- “কোন (গুনাহের) বোঝা বহনকারী ব্যক্তি যদি কাউকে তা বহন করতে আহবান করে তবে তা থেকে এর কিছুই বহন করা হবে না। (সূরা ফাতির: ১৮)। আর বিলাপ ছাড়া কান্নার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
নবী (সা:) বলেছেন: অন্যায়ভাবে কাউকে খুন করা হলে সে খুনের অপরাধের অংশ প্রথম আদম সন্তান (কাবিল) এর উপর বর্তাবে। আর তা এ কারণে যে, সেই প্রথম ব্যক্তি যে খুনের প্রবর্তন করেছে।
নবী (সা:) বলেছেন: অন্যায়ভাবে কাউকে খুন করা হলে সে খুনের অপরাধের অংশ প্রথম আদম সন্তান (কাবিল) এর উপর বর্তাবে। আর তা এ কারণে যে, সেই প্রথম ব্যক্তি যে খুনের প্রবর্তন করেছে।
১২০৯। আবদান ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এর কন্যা (যায়নাব) তাঁর খিদমতে লোক পাঠালেন যে, আমার এক পুত্র মুমূর্ষ অবস্থায় রয়েছে, তাই আপনি আমাদের এখানে আসুন। তিনি বলে পাঠালেন, (তাকে) সালাম দিবে এবং বলবেঃ আল্লাহরই অধিকারে যা কিছু তিনি নিয়ে যান আর তাঁরই অধিকারে যা কিছু তিনি দান করেন। তাঁর কাছে সব কিছুরই একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। কাজেই সে যেন সবর করে এবং সওয়াবের আশায় থাকে। তখন তিনি তাঁর কাছে কসম দিয়ে পাঠালেন, তিনি যেন অবশ্যই আসেন। তখন তিনি দাঁড়ালেন এবং তাঁর সাথে ছিলেন সা’দ ইবনে উবাদা, মু’আয ইবনে জাবাল, উবাই ইবনে কা’ব, যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) এবং আরও কয়েকজন। যখন শিশুটিকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে তুলে দেওয়া হল। তখন তার জান ছটফট করছিল। রাবী বলেন, আমার ধারণা যে, তিনি এ বলেছিলেন, যেন তার শ্বাস মশকের মত (আওয়াজ হচ্ছিল)। আর নবী (ﷺ) এর দু’ চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছিল। সা’দ (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! একি? তিনি বললেনঃ এ হচ্ছে রহমত, যা আল্লাহ পাক তাঁর বান্দার অন্তরে আমানত রেখেছেন। আর আল্লাহ পাক তো তাঁর দয়ালু বান্দাদের প্রতিই দয়া করেন।
بَابُ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُعَذَّبُ المَيِّتُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» إِذَا كَانَ النَّوْحُ مِنْ سُنَّتِهِ "لِقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {قُوا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا} [التحريم: 6] وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّكُمْ رَاعٍ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ» فَإِذَا لَمْ يَكُنْ مِنْ سُنَّتِهِ، فَهُوَ كَمَا قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: {لاَ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى} [الأنعام: 164] " وَهُوَ كَقَوْلِهِ: {وَإِنْ تَدْعُ مُثْقَلَةٌ} [فاطر: 18] ذُنُوبًا {إِلَى حِمْلِهَا لاَ يُحْمَلْ مِنْهُ شَيْءٌ} [فاطر: 18] «وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ تُقْتَلُ نَفْسٌ ظُلْمًا إِلَّا كَانَ عَلَى ابْنِ آدَمَ الأَوَّلِ كِفْلٌ مِنْ دَمِهَا» وَذَلِكَ لِأَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ سَنَّ القَتْلَ "
1284 - حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، وَمُحَمَّدٌ، قَالاَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: أَرْسَلَتِ ابْنَةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِ إِنَّ ابْنًا لِي قُبِضَ، فَأْتِنَا، فَأَرْسَلَ يُقْرِئُ السَّلاَمَ، وَيَقُولُ: «إِنَّ لِلَّهِ مَا أَخَذَ، وَلَهُ مَا أَعْطَى، وَكُلٌّ عِنْدَهُ بِأَجَلٍ مُسَمًّى، فَلْتَصْبِرْ، وَلْتَحْتَسِبْ» ، فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ تُقْسِمُ عَلَيْهِ لَيَأْتِيَنَّهَا، فَقَامَ وَمَعَهُ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ، وَمَعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَأُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ وَرِجَالٌ، فَرُفِعَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّبِيُّ وَنَفْسُهُ تَتَقَعْقَعُ - قَالَ: حَسِبْتُهُ أَنَّهُ قَالَ كَأَنَّهَا شَنٌّ - فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ، فَقَالَ سَعْدٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا هَذَا؟ فَقَالَ: «هَذِهِ رَحْمَةٌ جَعَلَهَا اللَّهُ فِي قُلُوبِ عِبَادِهِ، وَإِنَّمَا يَرْحَمُ اللَّهُ مِنْ عِبَادِهِ الرُّحَمَاءَ»
হাদীস নং: ১২১০
আন্তর্জাতিক নং: ১২৮৫
৮১৫. নবী (ﷺ)-এর বাণী: পরিজনের কান্নার কারণে মৃত ব্যক্তি কে আযাব দেওয়া হয়, যদি বিলাপ করা তার অভ্যাস হয়ে থাকে। ......আর বিলাপ ছাড়া কান্নার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
১২১০। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এক কন্যা [উম্মে কুলসুম (রাযিঃ)] এর জানাযায় উপস্থিত হলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কবরের পাশে বসেছিলেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি তাঁর চোখ থেকে পানি ঝরতে দেখলাম। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের মধ্যে কি এমন কেউ আছে, যে আজ রাতে স্ত্রী মিলন করেনি? আবু তালহা (রাযিঃ) বললেন, আমি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তাহলে তুমি (কবরে) অবতরণ কর। রাবী বলেন, তখন তিনি [আবু তালহা (রাযিঃ)] তাঁর কবরে অবতরণ করলেন।
بَابُ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُعَذَّبُ المَيِّتُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» إِذَا كَانَ النَّوْحُ مِنْ سُنَّتِهِ
1285 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: شَهِدْنَا بِنْتًا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ عَلَى القَبْرِ، قَالَ: فَرَأَيْتُ عَيْنَيْهِ تَدْمَعَانِ، قَالَ: فَقَالَ: «هَلْ مِنْكُمْ رَجُلٌ لَمْ يُقَارِفِ اللَّيْلَةَ؟» فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ: أَنَا، قَالَ: «فَانْزِلْ» قَالَ: فَنَزَلَ فِي قَبْرِهَا

তাহকীক:
হাদীস নং: ১২১১
আন্তর্জাতিক নং: ১২৮৬ - ১২৮৮
৮১৫. নবী (ﷺ)-এর বাণী: পরিজনের কান্নার কারণে মৃত ব্যক্তি কে আযাব দেওয়া হয়, যদি বিলাপ করা তার অভ্যাস হয়ে থাকে। ......আর বিলাপ ছাড়া কান্নার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
১২১১। আবদান (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইদুল্লাহ্ ইবনে আবু মুলাইকা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কায় উসমান (রাযিঃ) এর এক কন্যার ওফাত হল। আমরা সেখানে (জানাযায়) শরীক হওয়ার জন্য গেলাম। ইবনে উমর এবং ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)ও সেখানে হাযির হলেন। আমি তাদের দু’জনের মাঝে বসা ছিলাম, অথবা তিনি বলেছেন, আমি তাঁদের এক জনের পাশে গিয়ে বসলাম, পরে অন্য জন এসে আমার পাশে বসলেন। (কান্নার আওয়াজ শুনে) ইবনে উমর (রাযিঃ) আমর ইবনে উসমানকে বললেন, তুমি কেন কাঁদতে নিষেধ করছ না? কেননা, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তিকে তার পরিজনদের কান্নার কারণে আযাব দেওয়া হয়। তখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, উমর (রাযিঃ)ও এরকম কিছু বলতেন।
এরপর ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণনা করলেন, উমর (রাযিঃ) এর সাথে মক্কা থেকে ফিরছিলাম। আমরা বায়দা (নামক স্থানে) পৌঁছলে উমর (রাযিঃ) বাবলাগাছের ছায়ায় একটি কাফেলা দেখতে পেয়ে আমাকে বললেন, গিয়ে দেখোতো এ কাফেলা কার? ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমি গিয়ে দেখলাম সেখানে সুহাইব (রাযিঃ) রয়েছেন। আমি তাকে তা জানালাম। তিনি বললেন, তাকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে আস। আমি সুহাইব (রাযিঃ)-এর নিকটে আবার গেলাম এবং বললাম, চলুন, আমীরুল মু’মিনীনের সঙ্গে সাক্ষাত করুন। এরপর যখন উমর (রাযিঃ) (ঘাতকের আঘাতে) আহত হলেন, তখন সুহাইব (রাযিঃ) তাঁর কাছে এসে এ বলে কাঁদতে লাগলেন, হায় আমার ভাই! হায় আমার বন্ধু! এতে উমর (রাযিঃ) তাকে বললেন, তুমি আমার জন্য কাঁদছো? অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তির জন্য তার আপনজনের কোন কোন কান্নার কারণে অবশ্যই তাকে আযাব দেওয়া হয়।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, উমর (রাযিঃ)-এর ওফাতের পর আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে আমি উমর (রাযিঃ)-এর এ উক্তি উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ উমর (রাযিঃ)-কে রহম করুন। আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একথা বলেননি যে, আল্লাহ ঈমানদার (মৃত) ব্যক্তিকে, তার জন্য তার পরিজনের কান্নার কারণে আযাব দিবেন। তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা কাফিরদের আযাব বাড়িয়ে দেন, তার জন্য তার পরিজনের কান্নার কারণে। এরপর আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কুরআনই তোমাদের জন্য যথেষ্ট (ইরশাদ হয়েছেঃ) “বোঝা বহনকারী কোন ব্যক্তি অপরের বোঝা বহন করবেনা”। তখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহই (বান্দাকে) হাসান এবং কাঁদান। রাবী ইবনে আবু মুলাইকা (রাহঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! (একথা শুনে) ইবনে উমর (রাযিঃ) কোন মন্তব্য করলেন না।
এরপর ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণনা করলেন, উমর (রাযিঃ) এর সাথে মক্কা থেকে ফিরছিলাম। আমরা বায়দা (নামক স্থানে) পৌঁছলে উমর (রাযিঃ) বাবলাগাছের ছায়ায় একটি কাফেলা দেখতে পেয়ে আমাকে বললেন, গিয়ে দেখোতো এ কাফেলা কার? ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমি গিয়ে দেখলাম সেখানে সুহাইব (রাযিঃ) রয়েছেন। আমি তাকে তা জানালাম। তিনি বললেন, তাকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে আস। আমি সুহাইব (রাযিঃ)-এর নিকটে আবার গেলাম এবং বললাম, চলুন, আমীরুল মু’মিনীনের সঙ্গে সাক্ষাত করুন। এরপর যখন উমর (রাযিঃ) (ঘাতকের আঘাতে) আহত হলেন, তখন সুহাইব (রাযিঃ) তাঁর কাছে এসে এ বলে কাঁদতে লাগলেন, হায় আমার ভাই! হায় আমার বন্ধু! এতে উমর (রাযিঃ) তাকে বললেন, তুমি আমার জন্য কাঁদছো? অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তির জন্য তার আপনজনের কোন কোন কান্নার কারণে অবশ্যই তাকে আযাব দেওয়া হয়।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, উমর (রাযিঃ)-এর ওফাতের পর আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে আমি উমর (রাযিঃ)-এর এ উক্তি উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ উমর (রাযিঃ)-কে রহম করুন। আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একথা বলেননি যে, আল্লাহ ঈমানদার (মৃত) ব্যক্তিকে, তার জন্য তার পরিজনের কান্নার কারণে আযাব দিবেন। তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা কাফিরদের আযাব বাড়িয়ে দেন, তার জন্য তার পরিজনের কান্নার কারণে। এরপর আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কুরআনই তোমাদের জন্য যথেষ্ট (ইরশাদ হয়েছেঃ) “বোঝা বহনকারী কোন ব্যক্তি অপরের বোঝা বহন করবেনা”। তখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহই (বান্দাকে) হাসান এবং কাঁদান। রাবী ইবনে আবু মুলাইকা (রাহঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! (একথা শুনে) ইবনে উমর (রাযিঃ) কোন মন্তব্য করলেন না।
بَابُ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُعَذَّبُ المَيِّتُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» إِذَا كَانَ النَّوْحُ مِنْ سُنَّتِهِ
1286 - حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ: تُوُفِّيَتْ ابْنَةٌ لِعُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ بِمَكَّةَ، وَجِئْنَا لِنَشْهَدَهَا وَحَضَرَهَا ابْنُ عُمَرَ، وَابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَإِنِّي لَجَالِسٌ بَيْنَهُمَا - أَوْ قَالَ: جَلَسْتُ إِلَى أَحَدِهِمَا، ثُمَّ جَاءَ الآخَرُ فَجَلَسَ إِلَى جَنْبِي - فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا لِعَمْرِو بْنِ [ص:80] عُثْمَانَ: أَلاَ تَنْهَى عَنِ البُكَاءِ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ المَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» ،
1287 - فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: قَدْ كَانَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَقُولُ بَعْضَ ذَلِكَ، ثُمَّ حَدَّثَ، قَالَ: صَدَرْتُ مَعَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ مِنْ مَكَّةَ، حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْبَيْدَاءِ إِذَا هُوَ بِرَكْبٍ تَحْتَ ظِلِّ سَمُرَةٍ، فَقَالَ: اذْهَبْ، فَانْظُرْ مَنْ هَؤُلاَءِ الرَّكْبُ، قَالَ: فَنَظَرْتُ فَإِذَا صُهَيْبٌ، فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ: ادْعُهُ لِي، فَرَجَعْتُ إِلَى صُهَيْبٍ فَقُلْتُ: ارْتَحِلْ فَالحَقْ أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ، فَلَمَّا أُصِيبَ عُمَرُ دَخَلَ صُهَيْبٌ يَبْكِي يَقُولُ: وَا أَخَاهُ وَا صَاحِبَاهُ، فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: يَا صُهَيْبُ، أَتَبْكِي عَلَيَّ، وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ المَيِّتَ يُعَذَّبُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» ،
1288 - قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: فَلَمَّا مَاتَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، ذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَقَالَتْ: رَحِمَ اللَّهُ عُمَرَ، وَاللَّهِ مَا حَدَّثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ لَيُعَذِّبُ المُؤْمِنَ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» ، وَلَكِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ لَيَزِيدُ الكَافِرَ عَذَابًا بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» ، وَقَالَتْ: حَسْبُكُمُ القُرْآنُ: {وَلاَ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى} [الأنعام: 164] قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: «عِنْدَ ذَلِكَ وَاللَّهُ هُوَ أَضْحَكَ وَأَبْكَى» قَالَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ: «وَاللَّهِ مَا قَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا شَيْئًا»
1287 - فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: قَدْ كَانَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَقُولُ بَعْضَ ذَلِكَ، ثُمَّ حَدَّثَ، قَالَ: صَدَرْتُ مَعَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ مِنْ مَكَّةَ، حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْبَيْدَاءِ إِذَا هُوَ بِرَكْبٍ تَحْتَ ظِلِّ سَمُرَةٍ، فَقَالَ: اذْهَبْ، فَانْظُرْ مَنْ هَؤُلاَءِ الرَّكْبُ، قَالَ: فَنَظَرْتُ فَإِذَا صُهَيْبٌ، فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ: ادْعُهُ لِي، فَرَجَعْتُ إِلَى صُهَيْبٍ فَقُلْتُ: ارْتَحِلْ فَالحَقْ أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ، فَلَمَّا أُصِيبَ عُمَرُ دَخَلَ صُهَيْبٌ يَبْكِي يَقُولُ: وَا أَخَاهُ وَا صَاحِبَاهُ، فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: يَا صُهَيْبُ، أَتَبْكِي عَلَيَّ، وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ المَيِّتَ يُعَذَّبُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» ،
1288 - قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: فَلَمَّا مَاتَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، ذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَقَالَتْ: رَحِمَ اللَّهُ عُمَرَ، وَاللَّهِ مَا حَدَّثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ لَيُعَذِّبُ المُؤْمِنَ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» ، وَلَكِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ لَيَزِيدُ الكَافِرَ عَذَابًا بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» ، وَقَالَتْ: حَسْبُكُمُ القُرْآنُ: {وَلاَ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى} [الأنعام: 164] قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: «عِنْدَ ذَلِكَ وَاللَّهُ هُوَ أَضْحَكَ وَأَبْكَى» قَالَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ: «وَاللَّهِ مَا قَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا شَيْئًا»

তাহকীক:
হাদীস নং: ১২১২
আন্তর্জাতিক নং: ১২৮৯
৮১৫. নবী (ﷺ)-এর বাণী: পরিজনের কান্নার কারণে মৃত ব্যক্তি কে আযাব দেওয়া হয়, যদি বিলাপ করা তার অভ্যাস হয়ে থাকে। ......আর বিলাপ ছাড়া কান্নার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
১২১২। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... নবী (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক ইয়াহুদী মেয়েলোকের (কবরের) পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যার পরিবারের লোকেরা তার জন্য কান্নাকাটি করছিল। তখন তিনি বললেনঃ তারা তো তার জন্য কান্নাকাটি করছে। অথচ তাকে কবরে আযাব দেওয়া হচ্ছে।
بَابُ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُعَذَّبُ المَيِّتُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» إِذَا كَانَ النَّوْحُ مِنْ سُنَّتِهِ
1289 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا: سَمِعَتْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: إِنَّمَا مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى يَهُودِيَّةٍ يَبْكِي عَلَيْهَا أَهْلُهَا، فَقَالَ: «إِنَّهُمْ لَيَبْكُونَ عَلَيْهَا وَإِنَّهَا لَتُعَذَّبُ فِي قَبْرِهَا»

তাহকীক:
হাদীস নং: ১২১৩
আন্তর্জাতিক নং: ১২৯০
৮১৫. নবী (ﷺ)-এর বাণী: পরিজনের কান্নার কারণে মৃত ব্যক্তি কে আযাব দেওয়া হয়, যদি বিলাপ করা তার অভ্যাস হয়ে থাকে। ......আর বিলাপ ছাড়া কান্নার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
১২১৩। ইসমাঈল ইবনে খলীল (রাহঃ) ......... আবু বুরদার পিতা [আবু মুসা আশ’আরী (রাযিঃ)] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন উমর (রাযিঃ) আহত হলেন, তখন সুহাইব (রাযিঃ) হায়! আমার ভাই! বলতে লাগলেন। উমর (রাযিঃ) বললেন, তুমি কি জাননা যে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ জীবিতদের কান্নার কারণে অবশ্যই মৃতদের আযাব দেওয়া হয়।
بَابُ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُعَذَّبُ المَيِّتُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» إِذَا كَانَ النَّوْحُ مِنْ سُنَّتِهِ
1290 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ خَلِيلٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ وَهْوَ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: لَمَّا أُصِيبَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ جَعَلَ صُهَيْبٌ يَقُولُ: وَا أَخَاهُ، فَقَالَ عُمَرُ: أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ المَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ الحَيِّ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: