আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
১- ঈমানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫৭
৪২. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ দ্বীন হল কল্যাণ কামনা করা আল্লাহর রেজামন্দির জন্য, তাঁর রাসুলের জন্য, মুসলিম নেতৃবৃন্দের জন্য এবং সকল মুসলিমের জন্য।
আল্লাহ্ তাআলার বাণীঃ إِذَا نَصَحُوا لِلَّهِ وَرَسُولِهِ ‘যদি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের প্রতি তাদের অবিমিশ্র অনুরাগ থাকে। (সূরা তাওবাঃ ৯১)
আল্লাহ্ তাআলার বাণীঃ إِذَا نَصَحُوا لِلَّهِ وَرَسُولِهِ ‘যদি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের প্রতি তাদের অবিমিশ্র অনুরাগ থাকে। (সূরা তাওবাঃ ৯১)
৫৫। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূল (ﷺ) এর হাতে বায়আত গ্রহণ করেছি নামায কায়েম করার, যাকাত দেওয়ার এবং সকল মুসলিমের কল্যাণ কামনা করার।
بَابُ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الدِّينُ النَّصِيحَةُ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ وَلأَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَعَامَّتِهِمْ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {إِذَا نَصَحُوا لِلَّهِ وَرَسُولِهِ} [التوبة: 91]
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنِي قَيْسُ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ بَايَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى إِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالنُّصْحِ لِكُلِّ مُسْلِمٍ.
হাদীস নং: ৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮
৪২. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ দ্বীন হল কল্যাণ কামনা করা আল্লাহর রেজামন্দির জন্য, তাঁর রাসুলের জন্য, মুসলিম নেতৃবৃন্দের জন্য এবং সকল মুসলিমের জন্য।
৫৬। আবু নু‘মান (রাহঃ) ......... যিয়াদ ইবনে ইলাকা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ মুগীরা ইবনে শু’বা (রাযিঃ) যেদিন ইন্তিকাল করেন সেদিন আমি জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এর কাছ থেকে শুনেছি, তিনি (মিম্বরে) দাঁড়িয়ে আল্লাহর হামদ ও সানা বর্ণনা করে বললেন, তোমরা ভয় কর এক আল্লাহকে যাঁর কোন শরীক নাই, এবং নতুন কোন আমীর না আসা পর্যন্ত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখ, অনতিবিলম্বে তোমাদের আমীর আসবেন। এরপর জারীর (রাযিঃ) বললেন, তোমাদের আমীরের জন্য মাগফিরাত কামনা কর, কেননা তিনি ক্ষমা করা ভালবাসতেন। তারপর বললেন, একবার আমি রাসূল (ﷺ) এর কাছে এসে বললাম, আমি আপনার কাছে ইসলামের বায়আত গ্রহণ করতে চাই। তিনি (অন্যান্য বিষয়ের সাথে) আমার উপর শর্ত আরোপ করলেনঃ আর সকল মুসলমানের কল্যাণ কামনা করবে। তারপর আমি তাঁর কাছে এ শর্তের উপর বায়আত গ্রহণ করলাম। এ মসজিদের রবের কসম! আমি তোমাদের কল্যাণকামী। এরপর তিনি আল্লাহর কাছে মাগফিরাত কামনা করলেন এবং (মিম্বর থেকে) নেমে গেলেন।
بَابُ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الدِّينُ النَّصِيحَةُ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ وَلأَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَعَامَّتِهِمْ
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، قَالَ سَمِعْتُ جَرِيرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ يَوْمَ مَاتَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ قَامَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَقَالَ عَلَيْكُمْ بِاتِّقَاءِ اللَّهِ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، وَالْوَقَارِ وَالسَّكِينَةِ حَتَّى يَأْتِيَكُمْ أَمِيرٌ، فَإِنَّمَا يَأْتِيكُمُ الآنَ، ثُمَّ قَالَ اسْتَعْفُوا لأَمِيرِكُمْ، فَإِنَّهُ كَانَ يُحِبُّ الْعَفْوَ. ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ أُبَايِعُكَ عَلَى الإِسْلاَمِ. فَشَرَطَ عَلَىَّ وَالنُّصْحِ لِكُلِّ مُسْلِمٍ. فَبَايَعْتُهُ عَلَى هَذَا، وَرَبِّ هَذَا الْمَسْجِدِ إِنِّي لَنَاصِحٌ لَكُمْ. ثُمَّ اسْتَغْفَرَ وَنَزَلَ.