আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
১৮- তাহাজ্জুদ - নফল নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ১১৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ১২১৮
৭৭২. কিছু ঘটলে নামাযে হাত তোলা ।
১১৪৫। কুতাইবা (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এ সংবাদ পৌঁছল যে, কুবায় বনু আমর ইবনে আওফ গোত্রে কোন ব্যাপার ঘটেছে। তাদের মধ্যে মীমাংসার উদ্দেশ্যে তিনি কয়েকজন সাহাবীসহ বেরিয়ে গেলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেখানে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েন। ইতিমধ্যে নামাযের সময় হয়ে গেল। বিলাল (রাযিঃ) আবু বকর (রাযিঃ) এর কাছে এসে বলেন, হে আবু বকর! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কর্মব্যস্ত রয়েছেন। এদিকে নামাযের সময় উপস্থিত। আপনি কি লোকদের ইমামতী করবেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, যদি তুমি চাও। তখন বিলাল (রাযিঃ) নামাযের ইকামত বললেন এবং আবু বকর (রাযিঃ) এগিয়ে গেলেন এবং তাকবীর বললেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাশরীফ আনলেন এবং কাতার ফাঁক করে সামনে এগিয়ে গিয়ে কাতারে দাঁড়ালেন। মুসল্লীগণ তখন তাসফীহ করতে লাগলেন। সাহল (রাযিঃ) বললেন, তাসফীহ মানে তাসফীক (হাতে তালি দেওয়া)। তিনি আরো বললেন, আবু বকর (রাযিঃ) নামাযে এদিক সেদিক তাকাতেন না। মুসল্লীগণ বেশী (হাত চাপড়াতে শুরু) করলে, তিনি লক্ষ্য করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে দেখতে পেলেন। তিনি তাঁকে ইশারায় নামায আদায় করার আদেশ দিলেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর দু’হাত তুললেন এবং আল্লাহর হামদ বর্ণনা করলেন। তারপর পিছু হেঁটে পিছনে সরে এসে কাতারে দাঁড়ালেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সামনে এগিয়ে গেলেন এবং মুসল্লীগণকে নিয়ে নামায আদায় করলেন।
নামায শেষ করে তিনি মুসল্লীগণের দিকে মুখ করে বললেনঃ হে লোক সকল! তোমাদের কি হয়েছে? নামাযে কোন ব্যাপার ঘটলে তোমরা হাত চাপড়াতে শুরু করো কেন? হাত চাপড়ানো তো মেয়েদের জন্য। নামাযরত অবস্থায় কারো কিছু ঘটলে পুরুষরা সুবহানাল্লাহ বলবে। তারপর তিনি আবু বকর (রাযিঃ)-এর দিকে লক্ষ্য করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আবু বকর! তোমাকে আমি ইশারা করা সত্ত্বেও কিসে তোমাকে নামায আদায়ে বাঁধা দিল? আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সামনে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করা ইবনে আবু কুহাফার* জন্য সংগত নয়।
* আবু কুহাফা- আবু বকর (রাযিঃ) এর পিতা।
নামায শেষ করে তিনি মুসল্লীগণের দিকে মুখ করে বললেনঃ হে লোক সকল! তোমাদের কি হয়েছে? নামাযে কোন ব্যাপার ঘটলে তোমরা হাত চাপড়াতে শুরু করো কেন? হাত চাপড়ানো তো মেয়েদের জন্য। নামাযরত অবস্থায় কারো কিছু ঘটলে পুরুষরা সুবহানাল্লাহ বলবে। তারপর তিনি আবু বকর (রাযিঃ)-এর দিকে লক্ষ্য করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আবু বকর! তোমাকে আমি ইশারা করা সত্ত্বেও কিসে তোমাকে নামায আদায়ে বাঁধা দিল? আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সামনে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করা ইবনে আবু কুহাফার* জন্য সংগত নয়।
* আবু কুহাফা- আবু বকর (রাযিঃ) এর পিতা।
باب رَفْعِ الأَيْدِي فِي الصَّلاَةِ لأَمْرٍ يَنْزِلُ بِهِ
1218 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: بَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ بِقُبَاءٍ كَانَ بَيْنَهُمْ شَيْءٌ، فَخَرَجَ يُصْلِحُ بَيْنَهُمْ فِي أُنَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَحُبِسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحَانَتِ الصَّلاَةُ، فَجَاءَ بِلاَلٌ إِلَى أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَقَالَ: يَا أَبَا بَكْرٍ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ حُبِسَ، وَقَدْ حَانَتِ الصَّلاَةُ، فَهَلْ لَكَ أَنْ تَؤُمَّ النَّاسَ؟ قَالَ: نَعَمْ إِنْ شِئْتَ، فَأَقَامَ بِلاَلٌ الصَّلاَةَ وَتَقَدَّمَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَكَبَّرَ لِلنَّاسِ وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْشِي فِي الصُّفُوفِ يَشُقُّهَا شَقًّا، حَتَّى قَامَ فِي الصَّفِّ، فَأَخَذَ النَّاسُ فِي التَّصْفِيحِ - قَالَ سَهْلٌ: التَّصْفِيحُ: هُوَ التَّصْفِيقُ - قَالَ: وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لاَ يَلْتَفِتُ فِي صَلاَتِهِ، فَلَمَّا أَكْثَرَ النَّاسُ التَفَتَ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَشَارَ إِلَيْهِ يَأْمُرُهُ: «أَنْ يُصَلِّيَ» ، فَرَفَعَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَدَهُ فَحَمِدَ اللَّهَ، ثُمَّ رَجَعَ القَهْقَرَى وَرَاءَهُ حَتَّى قَامَ فِي الصَّفِّ، وَتَقَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَصَلَّى لِلنَّاسِ، فَلَمَّا فَرَغَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ، فَقَالَ: " يَا أَيُّهَا النَّاسُ، مَا لَكُمْ حِينَ نَابَكُمْ شَيْءٌ فِي الصَّلاَةِ أَخَذْتُمْ بِالتَّصْفِيحِ؟ إِنَّمَا التَّصْفِيحُ لِلنِّسَاءِ، مَنْ نَابَهُ شَيْءٌ فِي صَلاَتِهِ فَلْيَقُلْ: سُبْحَانَ اللَّهِ " ثُمَّ التَفَتَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: «يَا أَبَا بَكْرٍ، مَا مَنَعَكَ أَنْ تُصَلِّيَ لِلنَّاسِ حِينَ أَشَرْتُ إِلَيْكَ؟» قَالَ أَبُو بَكْرٍ: مَا كَانَ يَنْبَغِي لِابْنِ أَبِي قُحَافَةَ أَنْ يُصَلِّيَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ