আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

১৮- তাহাজ্জুদ - নফল নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১১৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ১২১১
৭৬৭. নামাযে থাকাকালে পশু ছুটে গেলে।
কাতাদা (রাহঃ) বলেন, কাপড় যদি (চুরি করে) নিয়ে যাওয়া হয়, তবে নামায ছেড়ে দিয়ে চোরকে অনুসরণ করবে।
১১৩৮। আদম (রাহঃ) ......... আযরাক ইবনে কায়স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আহওয়ায শহরে হারুরী (খারিজী) সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ছিলাম। যখন আমরা নহরের তীরে ছিলাম তখন সেখানে এক ব্যক্তি এসে নামায আদায় করতে লাগল আর তার বাহনের লাগাম তার হাতে রয়েছে। বাহনটি (ছুটে যাওয়ার জন্য) টানাটানি করতে লাগল, তিনিও তার অনুসরণ করতে লাগলেন। রাবী শু’বা (রাহঃ) বলেন, তিনি ছিলেন (সাহাবী) আবু বারযা আসলামী (রাযিঃ)। এ অবস্থা দেখে এক খারিজী বলে উঠলো, ইয়া আল্লাহ! এ বৃদ্ধকে কিছু করুন। বৃদ্ধ নামায শেষ করে বললেন, আমি তোমাদের কথা শুনেছি। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ছয়, সাত কিংবা আট যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি এবং আমি তাঁর সহজীকরণ লক্ষ্য করেছি। আমার বাহনটির সাথে আগ-পিছ হওয়া বাহনটিকে তার চরণ ভূমিতে ছেড়ে দেওয়ার চাইতে আমার কাছে অধিক প্রিয়। কেননা, তাতে আমাকে কষ্টভোগ করতে হতো।
باب إِذَا انْفَلَتَتِ الدَّابَّةُ فِي الصَّلاَةِ وَقَالَ قَتَادَةُ إِنْ أُخِذَ ثَوْبُهُ يَتْبَعُ السَّارِقَ وَيَدَعُ الصَّلاَةَ
1211 - حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا الأَزْرَقُ بْنُ قَيْسٍ، قَالَ: كُنَّا بِالأَهْوَازِ نُقَاتِلُ الحَرُورِيَّةَ، فَبَيْنَا أَنَا عَلَى جُرُفِ نَهَرٍ إِذَا رَجُلٌ يُصَلِّي، وَإِذَا لِجَامُ دَابَّتِهِ بِيَدِهِ، فَجَعَلَتِ الدَّابَّةُ تُنَازِعُهُ وَجَعَلَ يَتْبَعُهَا - قَالَ شُعْبَةُ: هُوَ [ص:65] أَبُو بَرْزَةَ الأَسْلَمِيُّ - فَجَعَلَ رَجُلٌ مِنَ الخَوَارِجِ يَقُولُ: اللَّهُمَّ افْعَلْ بِهَذَا الشَّيْخِ، فَلَمَّا انْصَرَفَ الشَّيْخُ، قَالَ: إِنِّي سَمِعْتُ قَوْلَكُمْ «وَإِنِّي غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتَّ غَزَوَاتٍ - أَوْ سَبْعَ غَزَوَاتٍ - وَثَمَانِيَ وَشَهِدْتُ تَيْسِيرَهُ» ، وَإِنِّي إِنْ كُنْتُ أَنْ أُرَاجِعَ مَعَ دَابَّتِي أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَدَعَهَا تَرْجِعُ إِلَى مَأْلَفِهَا فَيَشُقُّ عَلَيَّ
হাদীস নং: ১১৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ১২১২
৭৬৭. নামাযে থাকাকালে পশু ছুটে গেলে।
১১৩৯। মুহাম্মাদ ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার সূর্যগ্রহণ হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (নামাযে) দাঁড়ালেন এবং দীর্ঘ সূরা পাঠ করলেন, এরপর রুকু’ করলেন, আর তা দীর্ঘ করলেন। তারপর রুকু’ থেকে মাথা তুলেন এবং অন্য একটি সূরা পাঠ করতে শুরু করলেন। পরে রুকু’ সমাপ্ত করে সিজদা করলেন। দ্বিতীয় রাকআতেও এরূপ করলেন। তারপর বললেনঃ এ দু’টি (চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ) আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। তোমরা তা দেখলে গ্রহণ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত নামায আদায় করবে। আমি আমার এ স্থানে দাঁড়িয়ে, আমাকে যা ওয়াদা করা হয়েছে তা সবই দেখতে পেয়েছি। এমন কি যখন তোমরা আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে দেখেছিলে তখন আমি দেখলাম যে, জান্নাতের একটি (আঙুর) গুচ্ছ নেয়ার ইচ্ছা করছি। আর যখন তোমরা আমাকে পিছনে সরে আসতে দেখেছিলে, আমি দেখলাম জাহান্নাম,যার একাংশ অন্য অংশকে ভেঙ্গে ফেলছে, সেখানে আমর ইবনে লুহাইকে দেখলাম যে সায়িবাহ* প্রথা প্রবর্তন করেছিল।

* السَّوَائِبَ বহুবচন, একবচনে السائِبة অর্থ বিমুক্ত, পরিত্যাক্ত, বাঁধনমুক্ত। জাহিলী যুগে দেব-দেবীর নামে উট ছেড়ে দেওয়ার কু-প্রথা ছিল। এসব উটের দুধ পান করা এবং তাকে বাহনরূপে ব্যবহার করা অবৈধ মনে করা হত।
باب إِذَا انْفَلَتَتِ الدَّابَّةُ فِي الصَّلاَةِ
1212 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: خَسَفَتِ الشَّمْسُ، فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَرَأَ سُورَةً طَوِيلَةً، ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ، ثُمَّ اسْتَفْتَحَ بِسُورَةٍ أُخْرَى، ثُمَّ رَكَعَ حَتَّى قَضَاهَا وَسَجَدَ، ثُمَّ فَعَلَ ذَلِكَ فِي الثَّانِيَةِ، ثُمَّ قَالَ: «إِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَصَلُّوا، حَتَّى يُفْرَجَ عَنْكُمْ، لَقَدْ رَأَيْتُ فِي مَقَامِي هَذَا كُلَّ شَيْءٍ وُعِدْتُهُ، حَتَّى لَقَدْ رَأَيْتُ أُرِيدُ أَنْ آخُذَ قِطْفًا مِنَ الجَنَّةِ، حِينَ رَأَيْتُمُونِي جَعَلْتُ أَتَقَدَّمُ، وَلَقَدْ رَأَيْتُ جَهَنَّمَ يَحْطِمُ بَعْضُهَا بَعْضًا، حِينَ رَأَيْتُمُونِي تَأَخَّرْتُ، وَرَأَيْتُ فِيهَا عَمْرَو بْنَ لُحَيٍّ وَهُوَ الَّذِي سَيَّبَ السَّوَائِبَ»