আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

১৮- তাহাজ্জুদ - নফল নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১০৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ১১৬২
৭৩৯. নফল নামায দু’রাকাআত করে আদায় করা।
মুহাম্মাদ (ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন, বিষয়টি আম্মার (রাযিঃ), আবু যর (রাযিঃ), আনাস (রাযিঃ) এবং জাবির ইবনে যায়দ, ইকরিমা ও যুহরী (রাহঃ) থেকেও উল্লেখিত হয়েছে।
ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ আনসারী (রাহঃ) বলেছেন, আমাদের শহরের (মদীনার) ফকীহগণকে দিনের নামাযে প্রতি দু’রাকাআত শেষে সালাম ফেরাতে দেখেছি।
১০৯৩। কুতাইবা (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের সব কাজে ইস্তিখারা* শিক্ষা দিতেন, যেমন পবিত্র কুরআনের সূরা আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরয নয় এমন দু’রাকআত (নফল) নামায আদায় করার পর এ দুআ পড়েঃ
“ইয়া আল্লাহ্! আমি আপনার ইলমের উসীলায় আপনার কাছে (উদ্দীষ্ট বিষয়ের) কল্যাণ চাই এবং আপনার কুদরতের ওসীলায় আপনার কাছে শক্তি চাই আর আপনার কাছে চাই আপনার মহান অনুগ্রহ। কেননা, আপনিই (সব কিছুতে) ক্ষমতা রাখেন, আমি কোন ক্ষমতা রাখি না; আপনিই (সব বিষয়ে) অবগত আর আমি অবগত নই; আপনিই গায়েব সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত। ইয়া আল্লাহ্! আমার দ্বীন, আমার জীবন-জীবিকা ও আমার কাজের পরিণাম বিচারে, অথবা বলেছেন, আমার কাজের আশু ও শেষ পরিণতি হিসাবে যদি এ কাজটি আমার জন্য কল্যাণকর বলে জানেন, তা হলে আমার জন্য তার ব্যবস্থা করে দিন। আর তা আমার জন্য সহজ করে দিন। তারপর আমার জন্য তাতে বরকত দান করুন।
আর যদি এ কাজটি আমার দ্বীন, আমার জীবন-জীবিকা ও আমার কাজের পরিণাম অথবা বলেছেন, আমার কাজের আশু ও শেষ পরিণতি হিসাবে আমার জন্য ক্ষতি হয় বলে জানেন; তা হলে আপনি তা আমার থেকে সরিয়ে নিন এবং আমাকে তা থেকে ফিরিয়ে রাখুন আর আমার জন্য কল্যাণ নির্ধারিত রাখুন; তা যেখানেই হোক। এরপর সে বিষয়ে আমাকে রাজী থাকার তৌফিক দিন। তিনি ইরশাদ করেন هَذَا الأَمْر এর স্থলে তার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করবে।

*নামায ও দু'আর মাধ্যমে উদ্দিষ্ট বিষয়ের কল্যাণ চাওয়া।
بَابُ مَا جَاءَ فِي التَّطَوُّعِ مَثْنَى مَثْنَى وَيُذْكَرُ ذَلِكَ عَنْ عَمَّارٍ وَأَبِي ذَرٍّ وَأَنَسٍ وَجَابِرِ بْنِ زَيْدٍ وَعِكْرِمَةَ وَالزُّهْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ مَا أَدْرَكْتُ فُقَهَاءَ أَرْضِنَا إِلاَّ يُسَلِّمُونَ فِي كُلِّ اثْنَتَيْنِ مِنَ النَّهَارِ
1162 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي المَوَالِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ المُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ: " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ العَظِيمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ، وَأَنْتَ عَلَّامُ الغُيُوبِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي، ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ، وَاقْدُرْ لِي الخَيْرَ حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ أَرْضِنِي " قَالَ: «وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ»
হাদীস নং: ১০৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ১১৬৩
৭৩৯. নফল নামায দু’রাকাআত করে আদায় করা।
১০৯৪। মক্কী ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আবু কাতাদা ইবনে রিবঈ আনসারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে দু’রাকআত নামায (তাহিয়্যাতুল-মসজিদ) আদায় করার আগে বসবে না।
بَابُ مَا جَاءَ فِي التَّطَوُّعِ مَثْنَى مَثْنَى
1163 - حَدَّثَنَا المَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيِّ، سَمِعَ أَبَا قَتَادَةَ بْنَ رِبْعِيٍّ الأنْصَارِيَّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ المَسْجِدَ، فَلاَ يَجْلِسْ حَتَّى يُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ»
হাদীস নং: ১০৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ১১৬৪
৭৩৯. নফল নামায দু’রাকাআত করে আদায় করা।
১০৯৫। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিয়ে দু’রাকআত নামায আদায় করলেন, তারপর চলে গেলেন।
بَابُ مَا جَاءَ فِي التَّطَوُّعِ مَثْنَى مَثْنَى
1164 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «صَلَّى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ انْصَرَفَ»
হাদীস নং: ১০৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ১১৬৫
৭৩৯. নফল নামায দু’রাকাআত করে আদায় করা।
১০৯৬। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে যোহরের আগে দু’রাকআত*, যুহরের পরে দু’রাকআত, জুমআর পরে দু’রাকআত, মাগরিবের পরে দু’রাকআত এবং ইশার পরে দু’রাকআত (সুন্নত) নামায আদায় করেছি।

*কোন কোন রিওয়ায়াতে যোহর ও জুমু'আর ফরযের আগে চার রাক'আত বর্ণিত হয়েছে, সে অনুসাবে হানাফী মাযহাব মতে যোহর ও জুমু'আর ফরযের আগে চার রাক'আত আদায় করা হয়। তবে, এ দু' রাক'আত তাহিয়্যাতুল মসজিদ হতে পারে। কারণ সুন্নত নামায প্রিয় নবী (ﷺ) গৃহে আদায় করে থাকতেন।
بَابُ مَا جَاءَ فِي التَّطَوُّعِ مَثْنَى مَثْنَى
1165 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَالِمٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الظُّهْرِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الجُمُعَةِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ المَغْرِبِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ العِشَاءِ»
হাদীস নং: ১০৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ১১৬৬
৭৩৯. নফল নামায দু’রাকাআত করে আদায় করা।
১০৯৭। আদম (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর খুতবা প্রদানকালে ইরশাদ করলেনঃ তোমরা কেউ এমন সময় মসজিদে উপস্থিত হলে, যখন ইমাম (জুম’আর) খুতবা দিচ্ছেন, কিংবা মিম্বরে আরোহণের জন্য (হুজরা থেকে) বেরিয়ে পড়েছেন, তাহলে সে তখন যেন দু’রাকআত নামায আদায় করে নেয়।
بَابُ مَا جَاءَ فِي التَّطَوُّعِ مَثْنَى مَثْنَى
1166 - حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، قَالَ: سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَخْطُبُ: «إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ أَوْ قَدْ خَرَجَ، فَلْيُصَلِّ رَكْعَتَيْنِ»
হাদীস নং: ১০৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ১১৬৭
৭৩৯. নফল নামায দু’রাকাআত করে আদায় করা।
১০৯৮। আবু নু’আইম (রাহঃ) ......... মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি ইবনে উমর (রাযিঃ) এর বাড়ীতে এসে তাঁকে খবর দিল, এই মাত্র রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কাবা শরীফে প্রবেশ করলেন। ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, আমি অগ্রসর হলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কাবা ঘর থেকে বের হয়ে পড়েছেন। বিলাল (রাযিঃ) দরজার কাছে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আমি বললাম, হে বিলাল! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কাবা শরীফের ভিতরে নামায আদায় করেছেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কোন স্থানে? তিনি বললেন, দু’স্তম্ভের মাঝখানে।* এরপর তিনি বেরিয়ে এসে কাবার সামনে দু’রাকআত নামায আদায় করলেন।
ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেছেন, নবী (ﷺ) আমাকে দু’রাকআত সালাতুয-যুহা (চাশত-এর নামায) এর আদেশ করেছেন।
ইতবান (ইবনে মালিক আনসারী) (রাযিঃ) বলেন, একদিন বেশ বেলা হলে নবী (ﷺ) আবু বকর এবং উমর (রাযিঃ) আমার এখানে আগমন করলেন। আমরা তাঁর পিছনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়ালাম আর তিনি (আমাদের নিয়ে) দু’রাকআত নামায (চাশত) আদায় করলেন।

*কা'বা শরীফের অভ্যন্তরের সারিতে ছয়টি স্তম্ভ রয়েছে। সামনের সারিতে দু'টি স্তম্ভ ডানে এবং একটি স্তম্ভ বামে রেখে দাঁড়ালে তা দরজা বরাবর সামনের দু' স্তম্ভের মাঝখানে হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দরজা বরাবর অগ্রসর হয়ে দেওয়ালের কাছে নামায আদায় করেছিলেন।
بَابُ مَا جَاءَ فِي التَّطَوُّعِ مَثْنَى مَثْنَى
1167 - حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَيْفُ بْنُ سُلَيْمَانَ، سَمِعْتُ مُجَاهِدًا، يَقُولُ: أُتِيَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فِي مَنْزِلِهِ فَقِيلَ لَهُ: هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ دَخَلَ الكَعْبَةَ، قَالَ: فَأَقْبَلْتُ فَأَجِدُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ خَرَجَ، وَأَجِدُ بِلاَلًا عِنْدَ البَابِ قَائِمًا، فَقُلْتُ: يَا بِلاَلُ أَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الكَعْبَةِ؟ قَالَ: نَعَمْ، قُلْتُ: فَأَيْنَ؟ قَالَ: «بَيْنَ هَاتَيْنِ الأُسْطُوَانَتَيْنِ، ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فِي وَجْهِ الكَعْبَةِ» قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «أَوْصَانِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَكْعَتَيِ الضُّحَى» وَقَالَ عِتْبَانُ بْنُ مَالِكٍ: «غَدَا عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ بَعْدَ مَا امْتَدَّ النَّهَارُ، وَصَفَفْنَا وَرَاءَهُ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ»