আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

১৮- তাহাজ্জুদ - নফল নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১০৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ১১৪১
৭২৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ইবাদতে রাত্রি জাগরণ এবং তাঁর ঘুমানো ও রাত জাগার যতটুকু রহিত করা হয়েছে।
মহান আল্লাহর বাণীঃ “হে বস্ত্রাবৃত! (ইবাদতে) রাত জাগুণ কিছু অংশ ব্যতীত, অর্ধেক রাত অথবা তার কিছু কম সময়। অথবা এর চাইতেও কিছু বাড়িয়ে নিন। আর কুরআন তিলাওয়াত করুন, ধীরে ধীরে, স্পষ্ট ও সুন্দর করে। আমি আপনার প্রতি নাযিল করছি গুরুভার বাণী, অবশ্য রাতের ইবাদত প্রবৃত্তি দলনে প্রবলতর এবং বাক্যপূরণে সঠিক। দিবাভাগে রয়েছে আপনার জন্য দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা। (৭৩: ১-৭)
এবং তাঁর বাণীঃ তিনি (আল্লাহ্) জানেন যে, তোমরা এর সঠিক হিসাব রাখতে পার না। অতএব, আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি ক্ষমাপরবশ হয়েছেন। কাজেই কুরআনের যতটুকু তিলাওয়াত করা তোমাদের জন্য সহজ ততটুকু তিলাওয়াত কর। আল্লাহ্ জানেন যে, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়বে, কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশভ্রমণ করবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। কাজেই, কুরআন থেকে যতটুকু সহজসাধ্য, তিলাওয়াত কর। নামায কায়িম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহকে দাও উত্তম ঋণ। তোমরা তোমাদের আত্মার মঙ্গলের জন্য ভাল যা কিছু অগ্রীম পাঠাবে তোমরা তা পাবে আল্লাহর নিকট। এটিই উৎকৃষ্টতর এবং পুরস্কার হিসেবে মহান। অতএব, তোমরা আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৭৩ : ২০)।
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, হাব্শী ভাষার نشأ শব্দটির অর্থ قام (উঠে দাড়াল) আর وطاء শব্দের অর্থ হল مُوَاطَأَةَ القُرْآنِ (কুরআনের অধিক অনুকূল) অর্থাৎ তাঁর কান, চোখ এবং হৃদয়ের বেশী অনুকূল এবং তাই তা কুরআনের মর্ম অনুধাবনে অধিকতর উপযোগী। ليواطئوا শব্দের অর্থ হল ‘যাতে তারা সামঞ্জস্য বিধান করতে পারে’।
১০৭৪। আব্দুল আযীয ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন কোন মাসে রোযা পালন করতেন না। এমন কি আমরা ধারণা করতাম যে, সে মাসে তিনি রোযা পালন করবেন না। আবার কোন কোন মাসে রোযা পালন করতে থাকতেন, এমনকি আমাদের ধারণা হত যে, সে মাসে তিনি রোযা ছাড়বেন না। তাঁকে তুমি নামাযরত অবস্থায় দেখতে চাইলে তাই দেখতে পেতে এবং ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে চাইলে তাও দেখতে পেতে।
সুলাইমান ও আবু খালিদ আহমার (রাহঃ) হুমাইদ (রাহঃ) থেকে হাদীস বর্ণনায় মুহাম্মাদ ইবনে জাফর (রাহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।
بَابُ قِيَامِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِاللَّيْلِ مِنْ نَوْمِهِ، وَمَا نُسِخَ مِنْ قِيَامِ اللَّيْلِوَقَوْلُهُ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا المُزَّمِّلُ، قُمِ اللَّيْلَ إِلَّا قَلِيلًا، نِصْفَهُ أَوِ انْقُصْ مِنْهُ قَلِيلًا، أَوْ زِدْ عَلَيْهِ، وَرَتِّلِ القُرْآنَ تَرْتِيلًا، إِنَّا سَنُلْقِي عَلَيْكَ قَوْلًا ثَقِيلًا} [المزمل: 2] . (إِنَّ نَاشِئَةَ اللَّيْلِ هِيَ أَشَدُّ وِطَاءً وَأَقْوَمُ قِيلًا) {إِنَّ لَكَ فِي النَّهَارِ سَبْحًا طَوِيلًا} [المزمل: 7] وَقَوْلُهُ: {عَلِمَ أَنْ لَنْ تُحْصُوهُ فَتَابَ عَلَيْكُمْ، فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ القُرْآنِ، عَلِمَ أَنْ سَيَكُونُ مِنْكُمْ مَرْضَى وَآخَرُونَ يَضْرِبُونَ فِي الأَرْضِ يَبْتَغُونَ مِنْ فَضْلِ اللَّهِ، وَآخَرُونَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ وَأَقِيمُوا الصَّلاَةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَأَقْرِضُوا اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا، وَمَا تُقَدِّمُوا لِأَنْفُسِكُمْ مِنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِنْدَ اللَّهِ هُوَ خَيْرًا وَأَعْظَمَ أَجْرًا} قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: " نَشَأَ: قَامَ بِالحَبَشِيَّةِ { (وِطَاءً) } قَالَ: مُوَاطَأَةَ القُرْآنِ، أَشَدُّ مُوَافَقَةً لِسَمْعِهِ وَبَصَرِهِ وَقَلْبِهِ، {لِيُوَاطِئُوا} : لِيُوَافِقُوا "
1141 - حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُفْطِرُ مِنَ الشَّهْرِ حَتَّى نَظُنَّ أَنْ لاَ يَصُومَ مِنْهُ، وَيَصُومُ حَتَّى نَظُنَّ أَنْ لاَ يُفْطِرَ مِنْهُ شَيْئًا، وَكَانَ لاَ تَشَاءُ أَنْ تَرَاهُ مِنَ اللَّيْلِ مُصَلِّيًا إِلَّا رَأَيْتَهُ، وَلاَ نَائِمًا إِلَّا رَأَيْتَهُ» تَابَعَهُ سُلَيْمَانُ، وَأَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ حُمَيْدٍ