আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

১৮- তাহাজ্জুদ - নফল নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১০৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ১১২৬
৭১৯. তাহাজ্জুদ ও নফল ইবাদতের প্রতি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উৎসাহ প্রদান, অবশ্য তিনি তা ওয়াজিব করেন নি।
নবী (ﷺ) এক রাতে তাহাজ্জুদ নামাযে উৎসাহ দানের জন্য ফাতিমা ও আলী (রা.)-এর ঘরে গিয়েছিলেন।
১০৫৯। ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) ......... উম্মে সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) এক রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে বললেনঃ সুবহানাল্লাহ্! আজ রাতে কত না ফিতনা নাযিল করা হল! আজ রাতে কত না (রাহমাতের) ভাণ্ডারই নাযিল করা হল! কে জাগিয়ে দিবে হুজরাগুলোর বাসিন্দাদের? ওহে! শোন, দুনিয়ার অনেক বস্ত্র পরিহিতা আখিরাতে বিবস্ত্রা হয়ে যাবে।
بَابُ تَحْرِيضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى صَلاَةِ اللَّيْلِ وَالنَّوَافِلِ مِنْ غَيْرِ إِيجَابٍ وَطَرَقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاطِمَةَ وَعَلِيًّا عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ لَيْلَةً لِلصَّلاَةِ
1126 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ هِنْدٍ بِنْتِ الحَارِثِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَيْقَظَ لَيْلَةً، فَقَالَ: «سُبْحَانَ اللَّهِ مَاذَا أُنْزِلَ اللَّيْلَةَ مِنَ الفِتْنَةِ، مَاذَا أُنْزِلَ مِنَ الخَزَائِنِ، مَنْ يُوقِظُ صَوَاحِبَ الحُجُرَاتِ؟ يَا رُبَّ [ص:50] كَاسِيَةٍ فِي الدُّنْيَا عَارِيَةٍ فِي الآخِرَةِ»
হাদীস নং: ১০৬০
আন্তর্জাতিক নং: ১১২৭
৭১৯. তাহাজ্জুদ ও নফল ইবাদতের প্রতি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উৎসাহ প্রদান, অবশ্য তিনি তা ওয়াজিব করেন নি।
১০৬০। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক রাতে তাঁর কন্যা ফাতিমা (রাযিঃ) এর কাছে এসে বললেনঃ তোমরা কি নামায আদায় করছ না? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের আত্মাগুলো তো আল্লাহ্ পাকের হাতে রয়েছে। তিনি যখন আমাদের জাগাতে মর্জি করবেন, জাগিয়ে দিবেন। আমরা যখন একথা বললাম, তখন তিনি চলে গেলেন। আমার কথার কোন প্রত্যুত্তর করলেন না। পরে আমি শুনতে পেলাম যে, তিনি ফিরে যেতে যেতে আপন উরুতে করাঘাত করছিলেন এবং কুরআনের এ আয়াত তিলাওয়াত করছিলেন অর্থাৎঃ وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَىْءٍ جَدَلاً মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই বিতর্ক প্রিয়।
بَابُ تَحْرِيضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى صَلاَةِ اللَّيْلِ وَالنَّوَافِلِ مِنْ غَيْرِ إِيجَابٍ
1127 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ، أَخْبَرَهُ: أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَرَقَهُ وَفَاطِمَةَ بِنْتَ النَّبِيِّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ لَيْلَةً، فَقَالَ: «أَلاَ تُصَلِّيَانِ؟» فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنْفُسُنَا بِيَدِ اللَّهِ، فَإِذَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَنَا بَعَثَنَا، فَانْصَرَفَ حِينَ قُلْنَا ذَلِكَ وَلَمْ يَرْجِعْ إِلَيَّ شَيْئًا، ثُمَّ سَمِعْتُهُ وَهُوَ مُوَلٍّ يَضْرِبُ فَخِذَهُ، وَهُوَ يَقُولُ: {وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا} [الكهف: 54]
হাদীস নং: ১০৬১
আন্তর্জাতিক নং: ১১২৮
৭১৯. তাহাজ্জুদ ও নফল ইবাদতের প্রতি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উৎসাহ প্রদান, অবশ্য তিনি তা ওয়াজিব করেন নি।
১০৬১। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে আমল করা পছন্দ করতেন, সে আমল কোন কোন সময় এ আশঙ্কায় ছেড়ে দিতেন যে, লোকেরা সে আমল করতে থাকবে, ফলে তাদের উপর তা ফরয হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কখনো চাশতের নামায আদায় করেন নি।* আমি সে নামায আদায় করি।

*আয়িশা (রাযিঃ) এ কথা তাঁর জানা অনুসারে বলেছেন। উম্মে হানী (রাযিঃ) এর রিওয়ায়েতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চাশত আদায় প্রমাণিত আছে। - আইনী
بَابُ تَحْرِيضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى صَلاَةِ اللَّيْلِ وَالنَّوَافِلِ مِنْ غَيْرِ إِيجَابٍ
1128 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيَدَعُ العَمَلَ، وَهُوَ يُحِبُّ أَنْ يَعْمَلَ بِهِ خَشْيَةَ أَنْ يَعْمَلَ بِهِ النَّاسُ، فَيُفْرَضَ عَلَيْهِمْ، وَمَا سَبَّحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُبْحَةَ الضُّحَى قَطُّ وَإِنِّي لَأُسَبِّحُهَا»
হাদীস নং: ১০৬২
আন্তর্জাতিক নং: ১১২৯
৭১৯. তাহাজ্জুদ ও নফল ইবাদতের প্রতি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উৎসাহ প্রদান, অবশ্য তিনি তা ওয়াজিব করেন নি।
১০৬২। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক রাতে মসজিদে নামায আদায় করছিলেন, কিছু লোক তাঁর সঙ্গে নামায আদায় করলো। পরবর্তী রাতেও তিনি নামায আদায় করলেন এবং লোক আরো বেড়ে গেল। এরপর তৃতীয় কিংবা চতুর্থ রাতে লোকজন সমবেত হলেন, কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বের হলেন না। সকাল হলে তিনি বললেনঃ তোমাদের কার্যকলাপ আমি লক্ষ্য করেছি। তোমাদের কাছে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে শুধু এ আশঙ্কাই আমাকে বাধা দিয়েছে যে, তোমাদের উপর তা ফরয হয়ে যাবে। আর ঘটনাটি ছিল রমযান মাসের।
بَابُ تَحْرِيضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى صَلاَةِ اللَّيْلِ وَالنَّوَافِلِ مِنْ غَيْرِ إِيجَابٍ
1129 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ المُؤْمِنِينَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى ذَاتَ لَيْلَةٍ فِي المَسْجِدِ، فَصَلَّى بِصَلاَتِهِ نَاسٌ، ثُمَّ صَلَّى مِنَ القَابِلَةِ، فَكَثُرَ النَّاسُ، ثُمَّ اجْتَمَعُوا مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ، فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ: «قَدْ رَأَيْتُ الَّذِي صَنَعْتُمْ وَلَمْ يَمْنَعْنِي مِنَ الخُرُوجِ إِلَيْكُمْ إِلَّا أَنِّي خَشِيتُ أَنْ تُفْرَضَ عَلَيْكُمْ وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ»