আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

১৬- সিজদায়ে তিলাওয়াতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১০১৬
আন্তর্জাতিক নং: ১০৭৭
৬৯২. যাঁরা অভিমত প্রকাশ করেন যে, আল্লাহ্ তাআলা তিলাওয়াতের সিজদা ওয়াজিব করেন নি।
ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, যে ব্যক্তি সিজদার আয়াত শুনল কিন্তু এর জন্য সে বসেনি (তার কি সিজদা দিতে হবে?) তিনি বললেন, তুমি কি মনে কর সে যদি তা শোনার জন্য বসতো, (তা হলে কি) তাকে সিজদা করতে হত? (বুখারী (রাহঃ) বলেন) যেন তিনি তার জন্য সিজদা ওয়াজিব মনে করেন না।
সালমান (ফারিসী) (রাযিঃ) বলেছেন, আমরা এর জন্য (সিজদার আয়াত শোনার জন্য) আসিনি।
উসমান (ইবনে আফফান) (রাযিঃ) বলেছেন, যে মনোযাগসহ সিজদার আয়াত শোনে, শুধু তার উপর সিজদা ওয়াজিব।
যুহরী (রাহঃ) বলেছেন, পবিত্র অবস্থা ছাড়া সিজদা করবে না। যদি তুমি আবাসে থেকে সিজদা কর, তবে কিবলামুখী হবে। যদি তুমি সওয়ার অবস্থায় হও, তবে যে দিকেই তোমার মুখ হোক না কেন, তাতে তোমার কোন দোষ নাই।
আর সাঈব ইবনে ইয়াযীদ (রাযিঃ) বক্তার বক্তৃতায় সিজদার আয়াত শোনে সিজদা করতেন না।
১০১৬। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) ......... উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি এক জুমু্’আর দিন মিম্বরে দাঁড়িয়ে সূরা নাহল তিলাওয়াত করেন। এতে যখন সিজদার আয়াত এল, তখন তিনি মিম্বর থেকে নেমে সিজদা করলেন এবং লোকেরাও সিজদা করল। এভাবে যখন পরবর্তী জুম’আ এল, তখন তিনি সে সূরা পাঠ করেন। এতে যখন সিজদার আয়াত এল, তখন তিনি বললেন, হে লোক সকল! আমরা যখন সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করি, তখন যে সিজদা করবে সে ঠিকই করবে, যে সিজদা করবে না তার কোন গুনাহ নেই। তার বর্ণনায় (বর্ণনাকারী বলেন) আর উমর (রাযিঃ) সিজদা করেন নি।
নাফি’ (রাহঃ) ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে আরো বলেছেন, আল্লাহ তাআলা সিজদা ফরয করেন নি, তবে আমরা ইচ্ছা করলে সিজদা করতে পারি।
بَابُ مَنْ رَأَى أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمْ يُوجِبِ السُّجُودَ وَقِيلَ لِعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ: «الرَّجُلُ يَسْمَعُ السَّجْدَةَ وَلَمْ يَجْلِسْ لَهَا» ، قَالَ [ص:42]: «أَرَأَيْتَ لَوْ قَعَدَ لَهَا كَأَنَّهُ لاَ يُوجِبُهُ عَلَيْهِ» وَقَالَ سَلْمَانُ: «مَا لِهَذَا غَدَوْنَا» وَقَالَ عُثْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «إِنَّمَا السَّجْدَةُ عَلَى مَنِ اسْتَمَعَهَا» وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: «لاَ يَسْجُدُ إِلَّا أَنْ يَكُونَ طَاهِرًا، فَإِذَا سَجَدْتَ وَأَنْتَ فِي حَضَرٍ، فَاسْتَقْبِلِ القِبْلَةَ، فَإِنْ كُنْتَ رَاكِبًا فَلاَ عَلَيْكَ حَيْثُ كَانَ وَجْهُكَ» وَكَانَ السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ: «لاَ يَسْجُدُ لِسُجُودِ القَاصِّ»
1077 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ أَخْبَرَهُمْ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ التَّيْمِيِّ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الهُدَيْرِ التَّيْمِيِّ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ: وَكَانَ رَبِيعَةُ مِنْ خِيَارِ النَّاسِ، عَمَّا حَضَرَ رَبِيعَةُ مِنْ عُمَرَ بْنِ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَرَأَ يَوْمَ الجُمُعَةِ عَلَى المِنْبَرِ بِسُورَةِ النَّحْلِ حَتَّى إِذَا جَاءَ السَّجْدَةَ نَزَلَ، فَسَجَدَ وَسَجَدَ النَّاسُ حَتَّى إِذَا كَانَتِ الجُمُعَةُ القَابِلَةُ قَرَأَ بِهَا، حَتَّى إِذَا جَاءَ السَّجْدَةَ، قَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا نَمُرُّ بِالسُّجُودِ، فَمَنْ سَجَدَ، فَقَدْ أَصَابَ وَمَنْ لَمْ يَسْجُدْ، فَلاَ إِثْمَ عَلَيْهِ وَلَمْ يَسْجُدْ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ» وَزَادَ نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، «إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَفْرِضِ السُّجُودَ إِلَّا أَنْ نَشَاءَ»