আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
১৫- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৯৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫৩
৬৭৩. সূর্যগ্রহণের সময় পুরুষদের সঙ্গে মহিলাদের নামায।
৯৯৫। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... আসমা বিনতে আবু বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের সময় আমি নবী (ﷺ) এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট গেলাম। তখন লোকজন দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিল। তখন আয়িশা (রাযিঃ)ও নামাযে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম লোকদের কি হয়েছে? তখন তিনি হাত দিয়ে আসমানের দিকে ইশারা করলেন এবং ‘সুবহানাল্লাহ’ বললেন। আমি বললাম, এ কি কোন নিদর্শন? তখন তিনি ইশারায় বললেন, হ্যাঁ। আসমা (রাযিঃ) বলেন, আমিও দাঁড়িয়ে গেলাম। এমনকি (দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ানোর ফলে) আমি প্রায় বেহুঁশ হয়ে পড়লাম এবং মাথায় পানি ঢালতে লাগলাম।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন নামায শেষ করলেন, তখন আল্লাহর হামদ ও সানা বর্ণনা করলেন। তারপর তিনি বললেনঃ আমি এ স্থান থেকে দেখতে পেলাম, যা এর আগে দেখিনি, এমনকি জান্নাত এবং জাহান্নাম। আর আমার নিকট ওহী পাঠানো হয়েছে যে, নিশ্চয়ই তোমাদেরকে কবরের মধ্যে দাজ্জালের ফিতনার ন্যায় অথবা বলেছেন তার কাছাকাছি ফিতনায় লিপ্ত করা হবে। বর্ণনাকারী বলেন, (‘মিসলা’ ও ‘কারীবান’) দুটির মধ্যে কোনটি আসমা (রাযিঃ) বলেছেন, তা আমার মনে নেই। তোমাদের এক একজনকে উপস্থিত করা হবে এবং তাকে প্রশ্ন করা হবে। এ ব্যক্তি সম্পর্কে কি জান? তখন মু’মিন (ঈমানদার) অথবা ‘মুকিন’ (বিশ্বাসী) বলবেন —বর্ণনাকারী বলেন যে, আসমা (রাযিঃ) মু’মিন শব্দ বলেছিলেন, না মুকিন তা আমার স্মরণ নেই— তিনি হলেন মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ﷺ), সুস্পষ্ট দলীল ও হিদায়াত নিয়ে আমাদের কাছে এসেছিলেন এবং আমরা এতে সাড়া দিয়ে ঈমান এনেছি ও তাঁর অনুসরণ করেছি। এরপর তাঁকে বলা হবে, তুমি নেককার বান্দা হিসেবে ঘুমিয়ে থাক। আমরা অবশ্যই জানতাম যে, নিশ্চিতই তুমি দৃঢ়বিশ্বাস স্থাপনকারী ছিলে। আর মুনাফিক কিংবা সন্দেহকারী —বর্ণনাকারী বলেন, আসমা (রাযিঃ) ‘মুনাফিক’ না ‘সন্দেহকারী’ বলেছিলেন তা আমার মনে নেই— সে শুধু বলবে, আমি কিছুই জানিনা। আমি মানুষকে কিছু বলতে শুনেছি এবং আমিও তাই বলেছি।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন নামায শেষ করলেন, তখন আল্লাহর হামদ ও সানা বর্ণনা করলেন। তারপর তিনি বললেনঃ আমি এ স্থান থেকে দেখতে পেলাম, যা এর আগে দেখিনি, এমনকি জান্নাত এবং জাহান্নাম। আর আমার নিকট ওহী পাঠানো হয়েছে যে, নিশ্চয়ই তোমাদেরকে কবরের মধ্যে দাজ্জালের ফিতনার ন্যায় অথবা বলেছেন তার কাছাকাছি ফিতনায় লিপ্ত করা হবে। বর্ণনাকারী বলেন, (‘মিসলা’ ও ‘কারীবান’) দুটির মধ্যে কোনটি আসমা (রাযিঃ) বলেছেন, তা আমার মনে নেই। তোমাদের এক একজনকে উপস্থিত করা হবে এবং তাকে প্রশ্ন করা হবে। এ ব্যক্তি সম্পর্কে কি জান? তখন মু’মিন (ঈমানদার) অথবা ‘মুকিন’ (বিশ্বাসী) বলবেন —বর্ণনাকারী বলেন যে, আসমা (রাযিঃ) মু’মিন শব্দ বলেছিলেন, না মুকিন তা আমার স্মরণ নেই— তিনি হলেন মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ﷺ), সুস্পষ্ট দলীল ও হিদায়াত নিয়ে আমাদের কাছে এসেছিলেন এবং আমরা এতে সাড়া দিয়ে ঈমান এনেছি ও তাঁর অনুসরণ করেছি। এরপর তাঁকে বলা হবে, তুমি নেককার বান্দা হিসেবে ঘুমিয়ে থাক। আমরা অবশ্যই জানতাম যে, নিশ্চিতই তুমি দৃঢ়বিশ্বাস স্থাপনকারী ছিলে। আর মুনাফিক কিংবা সন্দেহকারী —বর্ণনাকারী বলেন, আসমা (রাযিঃ) ‘মুনাফিক’ না ‘সন্দেহকারী’ বলেছিলেন তা আমার মনে নেই— সে শুধু বলবে, আমি কিছুই জানিনা। আমি মানুষকে কিছু বলতে শুনেছি এবং আমিও তাই বলেছি।
باب صَلاَةِ النِّسَاءِ مَعَ الرِّجَالِ فِي الْكُسُوفِ
1053 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ امْرَأَتِهِ فَاطِمَةَ بِنْتِ المُنْذِرِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّهَا قَالَتْ: أَتَيْتُ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ خَسَفَتِ الشَّمْسُ، فَإِذَا النَّاسُ قِيَامٌ يُصَلُّونَ وَإِذَا هِيَ قَائِمَةٌ تُصَلِّي، فَقُلْتُ: مَا لِلنَّاسِ، فَأَشَارَتْ بِيَدِهَا إِلَى السَّمَاءِ، وَقَالَتْ: سُبْحَانَ اللَّهِ، فَقُلْتُ: آيَةٌ؟ فَأَشَارَتْ: أَيْ نَعَمْ، قَالَتْ: فَقُمْتُ حَتَّى تَجَلَّانِي الغَشْيُ، فَجَعَلْتُ أَصُبُّ فَوْقَ رَأْسِي المَاءَ، فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " مَا مِنْ شَيْءٍ كُنْتُ لَمْ أَرَهُ إِلَّا قَدْ رَأَيْتُهُ فِي مَقَامِي هَذَا، حَتَّى الجَنَّةَ وَالنَّارَ، وَلَقَدْ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّكُمْ تُفْتَنُونَ فِي القُبُورِ مِثْلَ - أَوْ قَرِيبًا مِنْ - فِتْنَةِ الدَّجَّالِ - لاَ أَدْرِي أَيَّتَهُمَا قَالَتْ أَسْمَاءُ - يُؤْتَى أَحَدُكُمْ، فَيُقَالُ لَهُ: مَا عِلْمُكَ بِهَذَا الرَّجُلِ؟ فَأَمَّا المُؤْمِنُ - أَوِ المُوقِنُ، لاَ أَدْرِي أَيَّ ذَلِكَ قَالَتْ [ص:38] أَسْمَاءُ - فَيَقُولُ: مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَنَا بِالْبَيِّنَاتِ وَالهُدَى، فَأَجَبْنَا وَآمَنَّا وَاتَّبَعْنَا، فَيُقَالُ لَهُ: نَمْ صَالِحًا، فَقَدْ عَلِمْنَا إِنْ كُنْتَ لَمُوقِنًا، وَأَمَّا المُنَافِقُ - أَوِ المُرْتَابُ لاَ أَدْرِي أَيَّتَهُمَا قَالَتْ أَسْمَاءُ - فَيَقُولُ: لاَ أَدْرِي، سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُولُونَ شَيْئًا فَقُلْتُهُ "

তাহকীক: