আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

১৫- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৯৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ১০৪৬
৬৬৭. সূর্যগ্রহণের সময় ইমামের খুতবা।
আয়িশা ও আসমা (রাযিঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) খুতবা দিচ্ছিলেন।
৯৮৯। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর ও আহমদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) ......... নবী (ﷺ) এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এর জীবৎকালে একবার সূর্যগ্রহণ হয়। তখন তিনি মসজিদে গমন করেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর লোকেরা তাঁর পেছনে সারিবদ্ধ হল। তিনি তাকবীর বললেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দীর্ঘ কিরাআত পাঠ করলেন। এরপর তাকবীর বললেন এবং দীর্ঘক্ষণ রুকু’তে থাকলেন। এরপর سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলে দাঁড়ালেন এবং সিজদায় না গিয়েই আবার দীর্ঘক্ষণ কিরাআত পাঠ করলেন। তবে তা প্রথম কিরাআতের চাইতে অল্পস্থায়ী। তারপর তিনি আল্লাহু আকবার’ বললেন এবং দীর্ঘ রুকু’ করলেন, তবে তা প্রথম রুকুর চাইতে অল্পস্থায়ী ছিল। তারপর তিনি বললেনঃ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ এরপর সিজদায় গেলেন। তারপর তিনি পরবর্তী রাক'আতেও অনুরূপ করলেন এবং এভাবে চার সিজদার সাথে চার রাকআত পুর্ণ করলেন। তাঁর নামায শেষ করার পূর্বেই সুর্যগ্রহণ মুক্ত হয়ে গেল।
এরপর তিনি দাঁড়িয়ে আল্লাহর যথাযোগ্য প্রশংসা করলেন এবং বললেনঃ সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ আল্লাহর নিদর্শনসমুহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন মাত্র। কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে গ্রহণ হয় না। কাজেই যখনই তোমরা গ্রহণ হতে দেখবে, তখনই ভীত হয়ে নামাযের দিকে গমন করবে।
রাবী বর্ণনা করেন, কাসীর ইবনে আব্বাস (রাহঃ) বলতেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সুর্যগ্রহণ সম্পর্কে উরওয়া (রাহঃ) সূত্রে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তাই আমি উরওয়াকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার ভাই (আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর) তো মদীনায় যেদিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, সেদিন ফজরের নামাযের ন্যায় দু’রাক'আত নামায আদায়ের অতিরিক্ত কিছু করেননি। তিনি বললেন, তা ঠিক, তবে তিনি নিয়ম অনুসারে ভুল করেছেন।
باب خُطْبَةِ الإِمَامِ فِي الْكُسُوفِ وَقَالَتْ عَائِشَةُ وَأَسْمَاءُ خَطَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
1046 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، ح وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عُرْوَةُ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَخَرَجَ إِلَى المَسْجِدِ، فَصَفَّ النَّاسُ وَرَاءَهُ، فَكَبَّرَ فَاقْتَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً، ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا، ثُمَّ قَالَ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، فَقَامَ وَلَمْ يَسْجُدْ، وَقَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً هِيَ أَدْنَى مِنَ القِرَاءَةِ الأُولَى، ثُمَّ كَبَّرَ وَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا وَهُوَ أَدْنَى مِنَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ، ثُمَّ قَالَ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، رَبَّنَا وَلَكَ الحَمْدُ، ثُمَّ سَجَدَ، ثُمَّ قَالَ فِي الرَّكْعَةِ الآخِرَةِ مِثْلَ ذَلِكَ، فَاسْتَكْمَلَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ، وَانْجَلَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ يَنْصَرِفَ، ثُمَّ قَامَ، فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ: «هُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَافْزَعُوا إِلَى الصَّلاَةِ» وَكَانَ يُحَدِّثُ كَثِيرُ بْنُ عَبَّاسٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، كَانَ يُحَدِّثُ يَوْمَ خَسَفَتِ الشَّمْسُ، بِمِثْلِ حَدِيثِ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، فَقُلْتُ لِعُرْوَةَ: " إِنَّ أَخَاكَ يَوْمَ خَسَفَتْ بِالْمَدِينَةِ لَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ مِثْلَ الصُّبْحِ؟ قَالَ: أَجَلْ، لِأَنَّهُ أَخْطَأَ السُّنَّةَ "