আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

১৪- বৃষ্টি প্রার্থনার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৯৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ১০৩৩
৬৫৮. বৃষ্টিতে কেউ এমনভাবে ভিজে যাওয়া যে, দাড়ি বেয়ে পানি ঝরলো।
৯৭৬। মুহাম্মাদ ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে একবার লোকেরা অনাবৃষ্টিতে পতিত হল। সে সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদিন মিম্বরে দাঁড়িয়ে জুম’আর খুতবা দিচ্ছিলেন। তখন এক বেদুঈন দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! (অনাবৃষ্টিতে) ধন সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে, পরিবার-পরিজন ক্ষুধার্ত। আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করুন, তিনি যেন আমাদের বৃষ্টি দান করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (দুআর জন্য) তাঁর দু’হাত তুললেন। সে সময় আকাশে একখণ্ড মেঘও ছিলনা। বর্ণনাকারী বলেন, হঠাৎ পাহাড়ের মত বহু মেঘ একত্রিত হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মিম্বর থেকে অবতরণের পূর্বে বৃষ্টি শুরু হল। এমনকি আমি দেখলাম, নবী (ﷺ) এর দাঁড়ি মুবারক বেয়ে বৃষ্টির পানি ঝরছে।
বর্ণনাকারী আরো বলেন, সেদিন, তার পরের দিন, তার পরবর্তী দিন এবং পরবর্তী জুম’আ পর্যন্ত বৃষ্টি হল। তারপর সে বেদুঈন বা অন্য কেউ দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! (অতি বৃষ্টিতে) ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেল, সম্পদ ডুবে গেল, আপনি আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য দু'আ করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন তাঁর দু’হাত তুলে বললেনঃ হে আল্লাহ! আমাদের আশেপাশে, আমাদের উপর নয়। এরপর তিনি হাত দিয়ে আকাশের যেদিকে ইঙ্গিত করলেন, সে দিকের মেঘ কেটে গেল। এতে সমগ্র মদীনার আকাশ মেঘমুক্ত চালের মত হয়ে গেল এবং কানাত উপত্যকায় একমাস ধরে বৃষ্টি প্রবাহিত হতে থাকে। বর্ণনাকারী বলেন, তখন যে অঞ্চল থেকে লোক আসত, কেবল এ অতিবৃষ্টির কথাই বলাবলি করত।
باب مَنْ تَمَطَّرَ فِي الْمَطَرِ حَتَّى يَتَحَادَرَ عَلَى لِحْيَتِهِ
1033 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ المُبَارَكِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ: أَصَابَتِ النَّاسَ سَنَةٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ عَلَى المِنْبَرِ يَوْمَ الجُمُعَةِ قَامَ أَعْرَابِيٌّ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلَكَ المَالُ، وَجَاعَ العِيَالُ، فَادْعُ اللَّهَ لَنَا أَنْ يَسْقِيَنَا، قَالَ: فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ وَمَا فِي السَّمَاءِ قَزَعَةٌ، قَالَ: فَثَارَ سَحَابٌ أَمْثَالُ الجِبَالِ، ثُمَّ لَمْ يَنْزِلْ عَنْ مِنْبَرِهِ حَتَّى رَأَيْتُ المَطَرَ يَتَحَادَرُ عَلَى لِحْيَتِهِ، قَالَ: فَمُطِرْنَا يَوْمَنَا ذَلِكَ، وَفِي الغَدِ، وَمِنْ بَعْدِ الغَدِ، وَالَّذِي يَلِيهِ إِلَى الجُمُعَةِ الأُخْرَى، فَقَامَ ذَلِكَ الأَعْرَابِيُّ - أَوْ رَجُلٌ غَيْرُهُ - فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَهَدَّمَ البِنَاءُ وَغَرِقَ المَالُ، فَادْعُ اللَّهَ لَنَا، فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ، وَقَالَ: «اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا، وَلاَ عَلَيْنَا» قَالَ: فَمَا جَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُشِيرُ بِيَدِهِ إِلَى نَاحِيَةٍ مِنَ السَّمَاءِ إِلَّا تَفَرَّجَتْ، حَتَّى صَارَتِ المَدِينَةُ فِي مِثْلِ الجَوْبَةِ حَتَّى سَالَ الوَادِي، وَادِي قَنَاةَ شَهْرًا، قَالَ: فَلَمْ يَجِئْ أَحَدٌ مِنْ نَاحِيَةٍ إِلَّا حَدَّثَ بِالْجَوْدِ