আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৯- আযান-ইকামতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৭৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৮২৭
৫৩৬. তাশাহহুদে বসার পদ্ধতি।
উম্মে দারদা (রা.) তাঁর নামাযে পুরুষের মত বসতেন, তিনি ছিলেন দ্বীন সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞানী।
উম্মে দারদা (রা.) তাঁর নামাযে পুরুষের মত বসতেন, তিনি ছিলেন দ্বীন সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞানী।
৭৮৯। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) কে নামাযে আসনপিড়ি করে বসতে দেখেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, আমি সে সময় অল্প বয়স্ক ছিলাম। আমিও সেরূপ করলাম। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) আমাকে নিষেধ করলেন এবং তিনি বললেন, নামাযে (বসার) সুন্নত তরীকা হল তুমি ডান পা খাড়া করবে এবং বাঁ পা বিছিয়ে রাখবে। তখন আমি বললাম, আপনি কি এরূপ করেন? তিনি বললেন, আমার দু’পা আমার ভার বহন করতে পারে না।
بَاب سُنَّةِ الْجُلُوسِ فِي التَّشَهُّدِ وَكَانَتْ أُمُّ الدَّرْدَاءِ تَجْلِسُ فِي صَلاَتِهَا جِلْسَةَ الرَّجُلِ، وَكَانَتْ فَقِيهَةً
827 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ القَاسِمِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ: أَنَّهُ كَانَ يَرَى عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، يَتَرَبَّعُ فِي الصَّلاَةِ إِذَا جَلَسَ، فَفَعَلْتُهُ وَأَنَا يَوْمَئِذٍ حَدِيثُ السِّنِّ، فَنَهَانِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَقَالَ: «إِنَّمَا سُنَّةُ الصَّلاَةِ أَنْ تَنْصِبَ رِجْلَكَ اليُمْنَى وَتَثْنِيَ اليُسْرَى» ، فَقُلْتُ: إِنَّكَ تَفْعَلُ ذَلِكَ، فَقَالَ: إِنَّ رِجْلَيَّ لاَ تَحْمِلاَنِي
হাদীস নং: ৭৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৮২৮
৫৩৬. তাশাহহুদে বসার পদ্ধতি।
৭৯০। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর এবং লাঈস (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী (ﷺ) এর একদল সাহাবীর সঙ্গে বসা ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ) এর নামায সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তখন আবু হুমাইদ সাঈদী (রাযিঃ) বলেন, আমিই তোমাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায সম্পর্কে বেশী স্মরণ রেখেছি। আমি তাঁকে দেখেছি (নামায শুরু করার সময়) তিনি তাকবীর বলে দু’হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন। আর যখন রুকূ’ করতেন তখন দু’ হাত দিয়ে হাঁটু শক্ত করে ধরতেন এবং পিঠ সমান করে রাখতেন। তারপর রুকূ’ থেকে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন যাতে মেরুদন্ডের হাড়গুলো স্ব-স্ব স্থানে ফিরে আসত। এরপর যখন সিজদা করতেন তখন দু’ হাত সম্পূর্ণভাবে মাটির উপর বিছিয়ে দিতেন না, আবার গুটিয়েও রাখতেন না। এবং তাঁর উভয় পায়ের অঙ্গুলীর মাথা কিবলামুখী করে দিতেন। যখন দু' রাকাআতের পর বসতেন তখন বাঁ পা-এর উপর বসে ডান পা খাড়া করে দিতেন এবং যখন শেষ রাক'আতে বসতেন তখন বাঁ পা এগিয়ে দিয়ে ডান পা খাড়া করে নিতম্বের উপর বসতেন।
লাঈস (রাহঃ) ......... ইবনে আতা (রাহঃ) থেকে হাদীসটি শুনেছেন। আবু সালিহ (রাহঃ) লাঈস (রাহঃ) থেকে كُلُّ فَقَارٍ مَكَانَهُ বলেছেন। আর ইবনে মুবারক (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ ইবনে আমর (রাহঃ) থেকে শুধু كُلُّ فَقَارٍ বর্ণনা করেছেন।
লাঈস (রাহঃ) ......... ইবনে আতা (রাহঃ) থেকে হাদীসটি শুনেছেন। আবু সালিহ (রাহঃ) লাঈস (রাহঃ) থেকে كُلُّ فَقَارٍ مَكَانَهُ বলেছেন। আর ইবনে মুবারক (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ ইবনে আমর (রাহঃ) থেকে শুধু كُلُّ فَقَارٍ বর্ণনা করেছেন।
بَاب سُنَّةِ الْجُلُوسِ فِي التَّشَهُّدِ
828 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، وَحَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، وَيَزِيدَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا مَعَ نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرْنَا صَلاَةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ: أَنَا كُنْتُ أَحْفَظَكُمْ لِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «رَأَيْتُهُ إِذَا كَبَّرَ جَعَلَ يَدَيْهِ حِذَاءَ مَنْكِبَيْهِ، وَإِذَا رَكَعَ أَمْكَنَ يَدَيْهِ مِنْ رُكْبَتَيْهِ، ثُمَّ هَصَرَ ظَهْرَهُ، فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ اسْتَوَى حَتَّى يَعُودَ كُلُّ فَقَارٍ مَكَانَهُ، فَإِذَا سَجَدَ وَضَعَ يَدَيْهِ غَيْرَ مُفْتَرِشٍ وَلاَ قَابِضِهِمَا، وَاسْتَقْبَلَ بِأَطْرَافِ أَصَابِعِ رِجْلَيْهِ القِبْلَةَ، فَإِذَا جَلَسَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ جَلَسَ عَلَى رِجْلِهِ اليُسْرَى، وَنَصَبَ اليُمْنَى، وَإِذَا جَلَسَ فِي الرَّكْعَةِ الآخِرَةِ قَدَّمَ رِجْلَهُ اليُسْرَى، وَنَصَبَ الأُخْرَى وَقَعَدَ عَلَى مَقْعَدَتِهِ» وَسَمِعَ اللَّيْثُ يَزِيدَ بْنَ أَبِي حَبِيبٍ، وَيَزِيدُ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَلْحَلَةَ، وَابْنُ حَلْحَلَةَ مِنْ ابْنِ عَطَاءٍ، قَالَ أَبُو صَالِحٍ، عَنِ اللَّيْثِ: كُلُّ فَقَارٍ(نـ كُلُّ فَقَارٍ مَكَانَهُ)، وَقَالَ ابْنُ المُبَارَكِ: عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرٍو حَدَّثَهُ، كُلُّ فَقَارٍ