আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৯- আযান-ইকামতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৭৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭৭৫
৪৯৭. এক রাক'আতে দু’সূরা মিলিয়ে পড়া, সূরার শেষাংশ পড়া, এক সূরার আগে আরেক সূরা পড়া এবং সূরার প্রথমাংশ পড়া।
আব্দুল্লাহ্ ইবনে সায়িব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) ফজরের নামাযে সূরা মু’মিনূন পড়তে শুরু করেন। যখন মুসা (আলাইহিস সালাম) ও হারূন (আলাইহিস সালাম) বা ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর আলোচনা এল, তাঁর কাশি উঠল আর তখন তিনি রুকু’তে চলে গেলেন।
উমর (রাযিঃ) প্রথম রাক'আতে সূরা বাকারার একশ বিশ আয়াত তিলাওয়াত করেন এবং দ্বিতীয় রাকআতে মাসানী* সূরা সমূহের কোন একটি তিলাওয়াত করেন।
আহনাফ (রঃ) প্রথম রাক'আতে সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করেন এবং দ্বিতীয় রাক'আতে সূরা ইউসুফ বা ইউনুস** তিলাওয়াত করেন এবং তিনি বর্ণনা করেছেন যে, তিনি উমর (রাযিঃ)-এর পিছনে এ দু’টি সূরা দিয়ে ফজরের নামায আদায় করেন।
ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) (প্রথম রাকআতে) সূরা আনফালের চল্লিশ আয়াত পড়েন এবং দ্বিতীয় রাক'আতে মুফাসসাল সূরা সমূহের*** একটি পড়েন।
যে ব্যক্তি দু’রাক'আতে একই সূরা ভাগ করে পড়ে বা দু’রাকআতে একই সূরা দুহরিয়ে পড়ে, তার সম্পর্কে কাতাদা (রাহঃ) বলেন, সবই মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ্ তাআলার কিতাব। (অর্থাৎ এতে কোন দোষ নেই)।
উবাইদুল্লাহ্ (রাহঃ)........আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, এক আনসারী সাহাবী**** কুবার মসজিদে তাঁদের ইমামতি করতেন। তিনি সশব্দে কিরাআত পড়া হয় এমন কোন নামাযে যখনই কোন সূরা তিলাওয়াত করতেন, قل هو الله أحد সূরা দ্বারা শুরু করতেন। তা শেষ করে অন্য একটি সূরা এর সাথে মিলিয়ে পড়তেন। আর প্রতি রাক'আতেই তিনি এরূপ করতেন। তাঁর সঙ্গীরা এ ব্যাপারে তাঁর কাছে বললেন যে, আপনি এ সূরাটি দিয়ে শুরু করেন, এটি যথেষ্ট হয় বলে আপনি মনে করেন না তাই আর একটি সূরা মিলিয়ে পড়েন। হয় আপনি এটিই পড়বেন, না হয় এটি বাদ অন্যটি পড়বেন। তিনি বললেন, আমি এটি কিছুতেই ছাড়তে পারব না। আমার এভাবে ইমামতি করা যদি আপনারা অপছন্দ করেন, তাহলে আমি আপনাদের ইমামতি ছেড়ে দেব। কিন্তু তাঁরা জানতেন যে, তিনি তাদের মাঝে উত্তম। তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তাদের ইমামতি করুক এটা তাঁরা অপছন্দ করতেন। পরে নবী (ﷺ) যখন তাঁদের এখানে আগমন করেন, তাঁরা বিষয়টি নবী (ﷺ)-কে জানান। তিনি বললেন, হে অমুক! তোমার সঙ্গীগণ যা বলেন তা করতে তোমাকে কিসে বাঁধা দেয়? আর প্রতি রাক'আতে এ সূরাটি বাধ্যতামূলক করে নিতে কিসে উদ্বুদ্ধ করছে? তিনি বললেন, আমি এ সূরাটি ভালবাসি। নবী করীম (ﷺ) বললেনঃ এ সূরার ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।
*
**
***
****
আব্দুল্লাহ্ ইবনে সায়িব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) ফজরের নামাযে সূরা মু’মিনূন পড়তে শুরু করেন। যখন মুসা (আলাইহিস সালাম) ও হারূন (আলাইহিস সালাম) বা ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর আলোচনা এল, তাঁর কাশি উঠল আর তখন তিনি রুকু’তে চলে গেলেন।
উমর (রাযিঃ) প্রথম রাক'আতে সূরা বাকারার একশ বিশ আয়াত তিলাওয়াত করেন এবং দ্বিতীয় রাকআতে মাসানী* সূরা সমূহের কোন একটি তিলাওয়াত করেন।
আহনাফ (রঃ) প্রথম রাক'আতে সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করেন এবং দ্বিতীয় রাক'আতে সূরা ইউসুফ বা ইউনুস** তিলাওয়াত করেন এবং তিনি বর্ণনা করেছেন যে, তিনি উমর (রাযিঃ)-এর পিছনে এ দু’টি সূরা দিয়ে ফজরের নামায আদায় করেন।
ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) (প্রথম রাকআতে) সূরা আনফালের চল্লিশ আয়াত পড়েন এবং দ্বিতীয় রাক'আতে মুফাসসাল সূরা সমূহের*** একটি পড়েন।
যে ব্যক্তি দু’রাক'আতে একই সূরা ভাগ করে পড়ে বা দু’রাকআতে একই সূরা দুহরিয়ে পড়ে, তার সম্পর্কে কাতাদা (রাহঃ) বলেন, সবই মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ্ তাআলার কিতাব। (অর্থাৎ এতে কোন দোষ নেই)।
উবাইদুল্লাহ্ (রাহঃ)........আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, এক আনসারী সাহাবী**** কুবার মসজিদে তাঁদের ইমামতি করতেন। তিনি সশব্দে কিরাআত পড়া হয় এমন কোন নামাযে যখনই কোন সূরা তিলাওয়াত করতেন, قل هو الله أحد সূরা দ্বারা শুরু করতেন। তা শেষ করে অন্য একটি সূরা এর সাথে মিলিয়ে পড়তেন। আর প্রতি রাক'আতেই তিনি এরূপ করতেন। তাঁর সঙ্গীরা এ ব্যাপারে তাঁর কাছে বললেন যে, আপনি এ সূরাটি দিয়ে শুরু করেন, এটি যথেষ্ট হয় বলে আপনি মনে করেন না তাই আর একটি সূরা মিলিয়ে পড়েন। হয় আপনি এটিই পড়বেন, না হয় এটি বাদ অন্যটি পড়বেন। তিনি বললেন, আমি এটি কিছুতেই ছাড়তে পারব না। আমার এভাবে ইমামতি করা যদি আপনারা অপছন্দ করেন, তাহলে আমি আপনাদের ইমামতি ছেড়ে দেব। কিন্তু তাঁরা জানতেন যে, তিনি তাদের মাঝে উত্তম। তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তাদের ইমামতি করুক এটা তাঁরা অপছন্দ করতেন। পরে নবী (ﷺ) যখন তাঁদের এখানে আগমন করেন, তাঁরা বিষয়টি নবী (ﷺ)-কে জানান। তিনি বললেন, হে অমুক! তোমার সঙ্গীগণ যা বলেন তা করতে তোমাকে কিসে বাঁধা দেয়? আর প্রতি রাক'আতে এ সূরাটি বাধ্যতামূলক করে নিতে কিসে উদ্বুদ্ধ করছে? তিনি বললেন, আমি এ সূরাটি ভালবাসি। নবী করীম (ﷺ) বললেনঃ এ সূরার ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।
*
**
***
****
৭৩৯। আদম (রাহঃ) ......... আবু ওয়াইল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এর নিকট এসে বলল, গতরাতে আমি মুফাসসাল সূরাগুলো এক রাক'আতেই তিলাওয়াত করেছি। তিনি বললেন, তাহলে নিশ্চয়ই কবিতার ন্যায় দ্রুত পড়েছ। নবী (ﷺ) পরস্পর সমতূল্য যে সব সূরা মিলিয়ে পড়তেন, সেগুলো সম্পর্কে আমি জানি। এ বলে তিনি মুফাসসাল সূরাসমূহের বিশটি সূরার কথা উল্লেখ করে বলেন, নবী (ﷺ) প্রতি রাক'আতে এর দু’টি করে সূরা পড়তেন।
بَابُ الجَمْعِ بَيْنَ السُّورَتَيْنِ فِي الرَّكْعَةِوَالقِرَاءَةِ بِالخَوَاتِيمِ، وَبِسُورَةٍ قَبْلَ سُورَةٍ، وَبِأَوَّلِ سُورَةٍ وَيُذْكَرُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ، «قَرَأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المُؤْمِنُونَ فِي الصُّبْحِ، حَتَّى إِذَا جَاءَ ذِكْرُ مُوسَى، وَهَارُونَ - أَوْ ذِكْرُ عِيسَى - أَخَذَتْهُ سَعْلَةٌ فَرَكَعَ» وَقَرَأَ عُمَرُ: فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى بِمِائَةٍ وَعِشْرِينَ آيَةً مِنَ البَقَرَةِ، وَفِي الثَّانِيَةِ بِسُورَةٍ مِنَ المَثَانِي وَقَرَأَ الأَحْنَفُ: بِالكَهْفِ فِي الأُولَى، وَفِي الثَّانِيَةِ بِيُوسُفَ - [ص:155] أَوْ يُونُسَ - وَذَكَرَ أَنَّهُ صَلَّى مَعَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ الصُّبْحَ بِهِمَا وَقَرَأَ ابْنُ مَسْعُودٍ: بِأَرْبَعِينَ آيَةً مِنَ الأَنْفَالِ، وَفِي الثَّانِيَةِ بِسُورَةٍ مِنَ المُفَصَّلِ وَقَالَ قَتَادَةُ: «فِيمَنْ يَقْرَأُ سُورَةً وَاحِدَةً فِي رَكْعَتَيْنِ أَوْ يُرَدِّدُ سُورَةً وَاحِدَةً فِي رَكْعَتَيْنِ كُلٌّ كِتَابُ اللَّهِ»وَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَانَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يَؤُمُّهُمْ فِي مَسْجِدِ قُبَاءٍ، وَكَانَ كُلَّمَا افْتَتَحَ سُورَةً يَقْرَأُ بِهَا لَهُمْ فِي الصَّلاَةِ مِمَّا يَقْرَأُ بِهِ افْتَتَحَ: بِقُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْهَا، ثُمَّ يَقْرَأُ سُورَةً أُخْرَى مَعَهَا، وَكَانَ يَصْنَعُ ذَلِكَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ، فَكَلَّمَهُ أَصْحَابُهُ، فَقَالُوا: إِنَّكَ تَفْتَتِحُ بِهَذِهِ السُّورَةِ، ثُمَّ لاَ تَرَى أَنَّهَا تُجْزِئُكَ حَتَّى تَقْرَأَ بِأُخْرَى، فَإِمَّا تَقْرَأُ بِهَا وَإِمَّا أَنْ تَدَعَهَا، وَتَقْرَأَ بِأُخْرَى فَقَالَ: مَا أَنَا بِتَارِكِهَا، إِنْ أَحْبَبْتُمْ أَنْ أَؤُمَّكُمْ بِذَلِكَ فَعَلْتُ، وَإِنْ كَرِهْتُمْ تَرَكْتُكُمْ، وَكَانُوا يَرَوْنَ أَنَّهُ مِنْ أَفْضَلِهِمْ، وَكَرِهُوا أَنْ يَؤُمَّهُمْ غَيْرُهُ، فَلَمَّا أَتَاهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرُوهُ الخَبَرَ، فَقَالَ: «يَا فُلاَنُ، مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَفْعَلَ مَا يَأْمُرُكَ بِهِ أَصْحَابُكَ، وَمَا يَحْمِلُكَ عَلَى لُزُومِ هَذِهِ السُّورَةِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ» فَقَالَ: إِنِّي أُحِبُّهَا، فَقَالَ: «حُبُّكَ إِيَّاهَا أَدْخَلَكَ الجَنَّةَ»
775 - حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ مَسْعُودٍ، فَقَالَ: قَرَأْتُ المُفَصَّلَ اللَّيْلَةَ فِي رَكْعَةٍ، فَقَالَ: «هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ، لَقَدْ عَرَفْتُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرُنُ بَيْنَهُنَّ، فَذَكَرَ عِشْرِينَ سُورَةً مِنَ المُفَصَّلِ، سُورَتَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ»