আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৯- আযান-ইকামতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৭৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭৭১
৪৯৫. ফজরের নামাযে কিরাআত।
উম্মে সালামা (রাযি:) বলেন, নবী (ﷺ) সূরা তূর পড়েছেন।
উম্মে সালামা (রাযি:) বলেন, নবী (ﷺ) সূরা তূর পড়েছেন।
৭৩৫। আদম (রাহঃ) ......... সাইয়ার ইবনে সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আমার পিতা আবু বারযা আসলামী (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে নামায সমূহের সময় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, নবী (ﷺ) যোহরের নামায সূর্য ঢলে গেলেই আদায় করতেন। আর আসর (এমন সময় যে, নামাযের শেষে) কোন ব্যক্তি সূর্য সজীব থাকতে থাকতেই মদীনার প্রান্ত সীমায় ফিরে আসতে পারত। মাগরিব সম্পর্কে তিনি কি বলেছিলেন, তা আমি ভুলে গেছি। আর তিনি ইশা রাতের তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিলম্ব করতে কোন দ্বিধা করতেন না। আর ইশার আগে ঘুমানো ও পরে কথাবার্তা বলা তিনি পছন্দ করতেন না। আর তিনি ফজর আদায় করতেন এমন সময় যে, নামায শেষে ফিরে যেতে লোকেরা তার পার্শ্ববর্তী ব্যক্তিকে চিনতে পারত। এর দু’রাক'আতে অথবা রাবী বলেছেন, এক রাক'আতে তিনি ষাট থেকে একশ আয়াত পড়তেন।
بَابُ القِرَاءَةِ فِي الفَجْرِوَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ: «قَرَأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالطُّورِ»
771 - حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَيَّارُ بْنُ سَلاَمَةَ، قَالَ: دَخَلْتُ أَنَا وَأَبِي عَلَى أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ، فَسَأَلْنَاهُ عَنْ وَقْتِ الصَّلَوَاتِ، فَقَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي الظُّهْرَ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ، وَالعَصْرَ، وَيَرْجِعُ الرَّجُلُ إِلَى أَقْصَى المَدِينَةِ وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ - وَنَسِيتُ مَا قَالَ فِي المَغْرِبِ - وَلاَ يُبَالِي بِتَأْخِيرِ العِشَاءِ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ، وَلاَ يُحِبُّ [ص:154] النَّوْمَ قَبْلَهَا، وَلاَ الحَدِيثَ بَعْدَهَا، وَيُصَلِّي الصُّبْحَ، فَيَنْصَرِفُ الرَّجُلُ، فَيَعْرِفُ جَلِيسَهُ، وَكَانَ يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ - أَوْ إِحْدَاهُمَا - مَا بَيْنَ السِّتِّينَ إِلَى المِائَةِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৭২
৪৯৫. ফজরের নামাযে কিরাআত।
৭৩৬। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রত্যেক নামাযেই কিরাআত পড়া হয়। তবে যে সব নামায রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের শুনিয়ে পড়েছেন, আমরাও তোমাদের শুনিয়ে পড়ব। আর যে সব নামাযে আমাদের না শুনিয়ে পড়েছেন, আমরাও তোমাদের না শুনিয়ে পড়ব। যদি তোমরা সূরা ফাতিহার চাইতে বেশী না পড়, নামায আদায় হয়ে যাবে। আর যদি বেশী পড় তা উত্তম।*
*এ হলো ইমাম শাফিয়ী (রাহঃ)-এর মত। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতে ইমামদের জন্য বা একাকী নামায আদায়কারীর জন্য অন্যান্য সহীহ হাদীসের পরিপ্রেক্ষিতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলানো ওয়াজিব।
*এ হলো ইমাম শাফিয়ী (রাহঃ)-এর মত। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতে ইমামদের জন্য বা একাকী নামায আদায়কারীর জন্য অন্যান্য সহীহ হাদীসের পরিপ্রেক্ষিতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলানো ওয়াজিব।
بَابُ القِرَاءَةِ فِي الفَجْرِ
772 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: «فِي كُلِّ صَلاَةٍ يُقْرَأُ، فَمَا أَسْمَعَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْمَعْنَاكُمْ، وَمَا أَخْفَى عَنَّا أَخْفَيْنَا عَنْكُمْ، وَإِنْ لَمْ تَزِدْ عَلَى أُمِّ القُرْآنِ أَجْزَأَتْ وَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ»

তাহকীক: