আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৯- আযান-ইকামতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৭১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৫৩
৪৮৬. নামাযের মধ্যে কোন কিছু ঘটলে বা কোন কিছু দেখলে বা কিবলার দিকে থুথু দেখলে, সে দিকে তাকান।
সাহল (র.) বলেছেন, আবু বকর (রাযিঃ) তাকালেন এবং নবী (ﷺ)-কে দেখলেন।
সাহল (র.) বলেছেন, আবু বকর (রাযিঃ) তাকালেন এবং নবী (ﷺ)-কে দেখলেন।
৭১৭। কুতাইবা (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) লোকদের সামনে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন, এমতাবস্থায় মসজিদে কিবলার দিকে থুথু দেখতে পেয়ে তা পরিস্কার করে ফেললেন। তারপর তিনি নামায শেষ করে বললেনঃ তোমাদের কেউ যখন নামাযে থাকে, তখন আল্লাহ্ তার সামনে থাকেন। কাজেই নামাযে থাকা অবস্থায় কেউ সামনের দিকে থুথু ফেলবে না।
মুসা ইবনে ইকবা ও ইবনে আবু রাওয়াদ (রাহঃ)ও নাফি’ (রাহঃ) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
মুসা ইবনে ইকবা ও ইবনে আবু রাওয়াদ (রাহঃ)ও নাফি’ (রাহঃ) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
بَابٌ: هَلْ يَلْتَفِتُ لِأَمْرٍ يَنْزِلُ بِهِ، أَوْ يَرَى شَيْئًا، أَوْ بُصَاقًا فِي القِبْلَةِ؟وَقَالَ سَهْلٌ: «التَفَتَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَرَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
753 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّهُ قَالَ: رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُخَامَةً فِي قِبْلَةِ المَسْجِدِ وَهُوَ يُصَلِّي بَيْنَ يَدَيِ النَّاسِ، فَحَتَّهَا، ثُمَّ قَالَ حِينَ انْصَرَفَ: «إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا كَانَ فِي الصَّلاَةِ فَإِنَّ اللَّهَ قِبَلَ وَجْهِهِ، فَلاَ يَتَنَخَّمَنَّ أَحَدٌ قِبَلَ وَجْهِهِ فِي الصَّلاَةِ» رَوَاهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، وَابْنُ أَبِي رَوَّادٍ، عَنْ نَافِعٍ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৭১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭৫৪
৪৮৬. নামাযের মধ্যে কোন কিছু ঘটলে বা কোন কিছু দেখলে বা কিবলার দিকে থুথু দেখলে, সে দিকে তাকান।
৭১৮। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুসলমানগণ ফজরের নামাযে রত, এ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আয়িশা (রাযিঃ) এর হুজরার পর্দা উঠালে তাঁরা চমকে উঠলেন। তিনি তাঁদের দিকে তাকিয়ে দেখলেন, তাঁরা কাতারবদ্ধ হয়ে আছেন। তা দেখে তিনি মুচকি হাসলেন। আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর ইমামতির স্থান ছেড়ে দিয়ে কাতারে শামিল হওয়ার জন্য পিছিয়ে আসতে চাইলেন। তিনি মনে করেছিলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বের হতে চান। মুসলিমগণও নামায ছেড়ে দিতে উদ্যত হয়েছিলেন। তিনি ইশারায় তাঁদের বললেন, তোমরা তোমাদের নামায পূরো করো। তারপর তিনি পর্দা ফেলে দিলেন। সে দিনেরই শেষভাগে তাঁর ইন্তিকাল হয়।*
*অর্থাৎ তাঁর ইনতিকালের বিষয়টি শেষ প্রহরে সকলের নিকট সুনিশ্চিতভাবে প্রতীয়মান হয়। কেননা, ঐতিহাসিকগণ এ ব্যাপারে একমত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দিনের প্রথম প্রহরে ইনতিকাল করেছেন। তাই এ হাদীসের ব্যাখ্যা এভাবেই করা যাবে।
*অর্থাৎ তাঁর ইনতিকালের বিষয়টি শেষ প্রহরে সকলের নিকট সুনিশ্চিতভাবে প্রতীয়মান হয়। কেননা, ঐতিহাসিকগণ এ ব্যাপারে একমত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দিনের প্রথম প্রহরে ইনতিকাল করেছেন। তাই এ হাদীসের ব্যাখ্যা এভাবেই করা যাবে।
بَابٌ: هَلْ يَلْتَفِتُ لِأَمْرٍ يَنْزِلُ بِهِ، أَوْ يَرَى شَيْئًا، أَوْ بُصَاقًا فِي القِبْلَةِ؟
754 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ: بَيْنَمَا المُسْلِمُونَ فِي صَلاَةِ الفَجْرِ لَمْ يَفْجَأْهُمْ إِلَّا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «كَشَفَ سِتْرَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ، فَنَظَرَ إِلَيْهِمْ وَهُمْ صُفُوفٌ، فَتَبَسَّمَ يَضْحَكُ، وَنَكَصَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَلَى عَقِبَيْهِ لِيَصِلَ لَهُ الصَّفَّ، فَظَنَّ أَنَّهُ يُرِيدُ الخُرُوجَ وَهَمَّ المُسْلِمُونَ أَنْ يَفْتَتِنُوا فِي صَلاَتِهِمْ، فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ أَتِمُّوا صَلاَتَكُمْ، فَأَرْخَى السِّتْرَ وَتُوُفِّيَ مِنْ آخِرِ ذَلِكَ اليَوْمِ»

তাহকীক: