আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৯- আযান-ইকামতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৭০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৩
৪৮১. তাকবীরে তাহরীমার পরে কি পড়বে।
৭০৭। হাফস্ ইবনে উমর (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ), আবু বকর (রাযিঃ) এবং উমর (রাযিঃ) الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ দিয়ে নামায শুরু করতেন।
باب مَا يَقُولُ بَعْدَ التَّكْبِيرِ
743 - حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ: " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَا بَكْرٍ، وَعُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا كَانُوا يَفْتَتِحُونَ الصَّلاَةَ بِ {الحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ العَالَمِينَ} [الفاتحة: 2] "
হাদীস নং: ৭০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৪
৪৮১. তাকবীরে তাহরীমার পরে কি পড়বে।
৭০৮। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকবীরে তাহরীমা ও কিরাআতের মধ্যে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকতেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার মাতাপিতা আপনার উপর কুরবান হোক। তাকবীর ও কিরাআতের মধ্যে চুপ থাকার সময় আপনি কী পাঠ করে থাকেন? তিনি বললেনঃ এ সময় আমি বলিঃ হে আল্লাহ্! আপনি মাশরিক ও মাগরিবের মধ্যে যেরূপ দুরত্ব সৃষ্টি করেছেন, আমার ও আমার ত্রুটি-বিচ্যুতির মধ্যে তদ্রূপ দূরত্ব সৃষ্টি করে দিন। হে আল্লাহ! শুভ্র বস্ত্রকে যেরূপ নির্মল করা হয় আমাকেও সেরূপ পাক-সাফ করুন। আমার অপরাধসমূহ পানি, বরফ ও হিমশিলা দ্বারা বিধৌত করে দিন।*

*এ হাদীস থেকে মনে হচ্ছে, মহানবী (ﷺ) তাকবীরে তাহরীমা-র পর বিসমিল্লাহ্ ও প্রচলিত সানা বা 'সুবহানাকা' পড়তেন না। বাস্তবে ব্যাপারটি তেমন নয় । কেননা, মুসলিম শরীফের হাদীসে রয়েছে, প্রিয়নবী (ﷺ) নিঃশব্দে বিসমিল্লাহ পড়তেন এবং অন্যান্য হাদীসগ্রস্থে রয়েছে মহানবী (ﷺ) বিসমিল্লাহ-র পর সানা তথা মহান আল্লাহর প্রশংসা বা প্রার্থনামূলক কিছু পাঠ করতেন। তবে আলোচ্য হাদীসের প্রার্থনাজ্ঞাপক বাক্যগুলোও যেহেতু প্রকারান্তরে আল্লাহ তা'আলার গুণগান, তাই এগুলোও 'সানা'-এর অন্তর্গত। সুতরাং সংশয়ের কিছু নেই ।
باب مَا يَقُولُ بَعْدَ التَّكْبِيرِ
744 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ القَعْقَاعِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو زُرْعَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْكُتُ بَيْنَ التَّكْبِيرِ وَبَيْنَ القِرَاءَةِ إِسْكَاتَةً - قَالَ أَحْسِبُهُ قَالَ: هُنَيَّةً - فَقُلْتُ: بِأَبِي وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِسْكَاتُكَ بَيْنَ التَّكْبِيرِ وَالقِرَاءَةِ مَا تَقُولُ؟ قَالَ: " أَقُولُ: اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ، كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ المَشْرِقِ وَالمَغْرِبِ، اللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنَ الخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اللَّهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَايَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالبَرَدِ "