আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৯- আযান-ইকামতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৭
৪৪৩. ইমাম নির্ধারণ করা হয় অনুসরণ করার জন্য।
যে রোগে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ওফাত হয়, সে সময় তিনি বসে বসে লোকদের ইমামতি করেছেন।
ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, কেউ যদি ইমামের আগে মাথা উঠিয়ে ফেলে, তাহলে পুনরায় ফিরে গিয়ে ততটুকু সময় বিলম্ব করবে যতটুকু সময় মাথা উঠিয়ে রেখেছিল। তারপর ইমামকে অনুসরণ করবে।
হাসান বসরী (রাহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে রুকুসহ দু’রাকআত নামায আদায় করে, কিন্তু সিজদা দিতে পারেনা, সে শেষ রাকআতের জন্য দু’সিজদা করবে এবং প্রথম রাক'আত সিজদাসহ পুনরায় আদায় করবে। আর যে ব্যক্তি ভুলক্রমে এক সিজদা না দিয়ে দাঁড়িয়ে গেছে, সে (পরবর্তী রাক'আতে) সে সিজদা করে নিবে।
৬৫৩। আহমদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) ......... উবাইদুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উতবা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাযিঃ) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে বললাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর (অন্তিম কালের) অসুস্থতা সম্পর্কে কি আপনি আমাকে কিছু শোনাবেন? তিনি বললেন, অবশ্যই। নবী (ﷺ) মারাত্মকভাবে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, লোকেরা কি নামায আদায় করে ফেলেছে? আমরা বললাম, না, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তারা আপনার অপেক্ষায় আছেন। তিনি বললেন, আমার জন্য গোসলের পাত্রে পানি দাও। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন আমরা তাই করলাম। তিনি গোসল করলেন। তারপর একটু উঠতে চাইলেন। কিন্তু বেহুঁশ হয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর একটু হুঁশ ফিরে পেলে আবার তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, লোকেরা কি নামায আদায় করে ফেলেছে? আমরা বললাম, না, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তারা আপনার অপেক্ষায় আছেন। তিনি বললেন, আমার জন্য গোসলের পাত্রে পানি রাখ। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমরা তাই করলাম। তিনি গোসল করলেন। আবার উঠতে চাইলেন, কিন্তু বেহুঁশ হয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর আবার হুঁশ ফিরে পেয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, লোকেরা কি নামায আদায় করে ফেলেছে? আমরা বললাম, না, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তারা আপনার অপেক্ষায় আছেন। তিনি বললেন, আমার জন্য গোসলের পাত্রে পানি নিয়ে রাখ। তারপর তিনি উঠে বসলেন, এবং গোসল করলেন এবং উঠতে গিয়ে বেহুঁশ হয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর আবার হুঁশ ফিরে পেলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, লোকেরা কি নামায আদায় করে ফেলেছে? আমরা বললাম, না, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তারা আপনার অপেক্ষায় আছেন। ওদিকে সাহাবীগণ ইশার নামাযের জন্য নবী (ﷺ) এর অপেক্ষায় মসজিদে বসে ছিলেন। নবী (ﷺ) আবু বকরের নিকট এ মর্মে লোক পাঠান যে, তিনি যেন লোকদের নিয়ে নামায আদায় করে নেন। সংবাদ বাহক আবু বকর (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আপনাকে লোকদের নিয়ে নামায আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। আবু বকর (রাযিঃ) অত্যন্ত কোমল মনের লোক ছিলেন, তাই তিনি উমর (রাযিঃ)-কে বললেন, হে উমর! আপনি সাহাবীগণকে নিয়ে নামায আদায় করে নিন। উমর (রাযিঃ) বললেন, আপনিই এর জন্য অধিক হকদার। তাই আবু বকর (রাযিঃ) সে কয়দিন নামায আদায় করলেন।
তারপর নবী (ﷺ) নিজে একটু হালকাবোধ করলেন এবং দু’জন লোকের কাঁধে ভর করে যোহরের নামাযের জন্য বের হলেন। সে দু’জনের একজন ছিলেন আব্বাস (রাযিঃ)। আবু বকর (রাযিঃ) তখন সাহাবীগণকে নিয়ে নামায আদায় করছিলেন। তিনি যখন নবী (ﷺ)-কে দেখতে পেলেন, পিছনে সরে আসতে চাইলেন। নবী (ﷺ) তাঁকে পিছিয়ে না আসার জন্য ইশারা করলেন এবং বললেন তোমরা আমাকে তাঁর পাশে বসিয়ে দাও। তারা তাঁকে আবু বকর (রাযিঃ) এর পাশে বসিয়ে দিলেন।
বর্ণনাকারী বলেন, তারপর আবু বকর (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এর নামাযের ইক্তিদা করে নামায আদায় করতে লাগলেন। আর সাহাবীগণ আবু বকর (রাযিঃ) এর নামাযের ইক্তিদা করতে লাগলেন। নবী (ﷺ) তখন উপবিষ্ট ছিলেন। উবাইদুল্লাহ বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, নবী (ﷺ) এর অন্তিম কালের অসুস্থতা সম্পর্কে আয়িশা (রাযিঃ) আমাকে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তা কি আমি আপনার নিকট বর্ণনা করব না? তিনি বললেন, করুন। তাই আমি তাঁকে সে হাদীস শোনালাম। তিনি এ বর্ণনার কোন অংশেই আপত্তি করলেন না, তবে তাঁকে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন যে, আব্বাস (রাযিঃ) এর সাথে যে অপর সাহাবী ছিলেন, আয়িশা (রাযিঃ) কি আপনার নিকট তাঁর নাম উল্লেখ করেছেন? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তিনি হলেন, আলী (রাযিঃ)।
بَابٌ: إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ وَصَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَرَضِهِ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ بِالنَّاسِ وَهُوَ جَالِسٌ وَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: «إِذَا رَفَعَ قَبْلَ الإِمَامِ يَعُودُ، فَيَمْكُثُ بِقَدْرِ مَا رَفَعَ، ثُمَّ يَتْبَعُ الإِمَامَ» وَقَالَ الحَسَنُ: " فِيمَنْ يَرْكَعُ مَعَ الإِمَامِ رَكْعَتَيْنِ وَلاَ يَقْدِرُ عَلَى السُّجُودِ، يَسْجُدُ لِلرَّكْعَةِ الآخِرَةِ سَجْدَتَيْنِ، ثُمَّ يَقْضِي الرَّكْعَةَ الأُولَى بِسُجُودِهَا، وَفِيمَنْ نَسِيَ سَجْدَةً حَتَّى قَامَ: يَسْجُدُ "
687 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ: حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَقُلْتُ: أَلاَ تُحَدِّثِينِي [ص:139] عَنْ مَرَضِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَتْ: بَلَى، ثَقُلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَصَلَّى النَّاسُ؟» قُلْنَا: لاَ، هُمْ يَنْتَظِرُونَكَ، قَالَ: «ضَعُوا لِي مَاءً فِي المِخْضَبِ» . قَالَتْ: فَفَعَلْنَا، فَاغْتَسَلَ، فَذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَفَاقَ، فَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَصَلَّى النَّاسُ؟» قُلْنَا: لاَ، هُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «ضَعُوا لِي مَاءً فِي المِخْضَبِ» قَالَتْ: فَقَعَدَ فَاغْتَسَلَ، ثُمَّ ذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَفَاقَ، فَقَالَ: «أَصَلَّى النَّاسُ؟» قُلْنَا: لاَ، هُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَقَالَ: «ضَعُوا لِي مَاءً فِي المِخْضَبِ» ، فَقَعَدَ، فَاغْتَسَلَ، ثُمَّ ذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ: «أَصَلَّى النَّاسُ؟» فَقُلْنَا: لاَ، هُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَالنَّاسُ عُكُوفٌ فِي المَسْجِدِ، يَنْتَظِرُونَ النَّبِيَّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ لِصَلاَةِ العِشَاءِ الآخِرَةِ، فَأَرْسَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ بِأَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ، فَأَتَاهُ الرَّسُولُ فَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُكَ أَنْ تُصَلِّيَ بِالنَّاسِ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ - وَكَانَ رَجُلًا رَقِيقًا -: يَا عُمَرُ صَلِّ بِالنَّاسِ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: أَنْتَ أَحَقُّ بِذَلِكَ، فَصَلَّى أَبُو بَكْرٍ تِلْكَ الأَيَّامَ، ثُمَّ إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَدَ مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً، فَخَرَجَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ أَحَدُهُمَا العَبَّاسُ لِصَلاَةِ الظُّهْرِ وَأَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ، فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ ذَهَبَ لِيَتَأَخَّرَ، فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَنْ لاَ يَتَأَخَّرَ، قَالَ: أَجْلِسَانِي إِلَى جَنْبِهِ، فَأَجْلَسَاهُ إِلَى جَنْبِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ: فَجَعَلَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي وَهُوَ يَأْتَمُّ بِصَلاَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالنَّاسُ بِصَلاَةِ أَبِي بَكْرٍ، وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاعِدٌ، قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: فَدَخَلْتُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ فَقُلْتُ لَهُ: أَلاَ أَعْرِضُ عَلَيْكَ مَا حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ عَنْ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: هَاتِ، فَعَرَضْتُ عَلَيْهِ حَدِيثَهَا، فَمَا أَنْكَرَ مِنْهُ شَيْئًا غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: أَسَمَّتْ لَكَ الرَّجُلَ الَّذِي كَانَ مَعَ العَبَّاسِ قُلْتُ: لاَ، قَالَ: هُوَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
হাদীস নং: ৬৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৮
৪৪৩. ইমাম নির্ধারণ করা হয় অনুসরণ করার জন্য।
৬৫৪। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা অসুস্থতার কারণে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজ গৃহে নামায আদায় করেন এবং বসে নামায আদায় করছিলেন, একদল সাহাবী তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে লাগলেন। তিনি তাদের প্রতি ইশারা করলেন যে, বসে যাও। নামায শেষ করার পর তিনি বললেন, ইমাম নির্ধারণ করা হয় তাঁর ইক্তিদা করার জন্য। কাজেই সে যখন রুকু করে তখন তোমরাও রুকু করবে, এবং সে যখন রুকু থেকে মাথা উঠায় তখন তোমরাও মাথা উঠাবে, আর সে যখন বসে নামায আদায় করে, তখন তোমরা সকলেই বসে নামায আদায় করবে।*

*এ হুকুম রাসূল (ﷺ) এর মৃত্যু রোগের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রহিত হয়ে গেছে। কাজেই ইমাম বসে নামায আদায় করলেও সক্ষম মুক্তাদি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবেন।
بَابٌ: إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ
688 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ المُؤْمِنِينَ، أَنَّهَا قَالَتْ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِهِ وَهُوَ شَاكٍ، فَصَلَّى جَالِسًا وَصَلَّى وَرَاءَهُ قَوْمٌ قِيَامًا، فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ أَنِ اجْلِسُوا، فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ: «إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا رَكَعَ، فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ، فَارْفَعُوا، وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا»
হাদীস নং: ৬৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৯
৪৪৩. ইমাম নির্ধারণ করা হয় অনুসরণ করার জন্য।
৬৫৫। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘোড়ায় সওয়ার হন এরপর তিনি তা থেকে পড়ে যান, এতে তাঁর ডান পাশে একটু আঘাত লাগে। তিনি কোন এক ওয়াক্তের নামায বসে আদায় করছিলেন, আমরাও তাঁর পেছনে বসে নামায আদায় করলাম। নামায শেষ করার পর তিনি বললেন, ইমাম নির্ধারণই করা হয় তাঁর ইক্তিদা করার জন্য। কাজেই ইমাম যখন দাঁড়িয়ে নামায আদায় করে তখন তোমরাও দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে, সে যখন রুকু করে তখন তোমরাও রুকু করবে, সে যখন উঠে, তখন তোমরাও উঠবে, আর সে যখন سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলে তখন তোমরাও رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলবে। আর সে যখন বসে নামায আদায় করবে, তখন তোমরা সবাই বসে নামায আদায় করবে।
আবু আব্দুল্লাহ (ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন, হুমাইদী (রাহঃ) বলেছেন যে, যখন ইমাম বসে নামায আদায় করে, তখন তোমরাও বসে নামায আদায় করবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এ নির্দেশ ছিল পূর্বে অসুস্থকালীন। এরপর তিনি বসে নামায আদায় করেন এবং সাহাবীগণ তাঁর পেছনে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন, কিন্তু তিনি তাদের বসতে নির্দেশ দেননি। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আমলের মধ্যে সর্বশেষ আমলই গ্রহণীয়।
بَابٌ: إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ
689 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكِبَ فَرَسًا، فَصُرِعَ عَنْهُ فَجُحِشَ شِقُّهُ الأَيْمَنُ، فَصَلَّى صَلاَةً مِنَ الصَّلَوَاتِ وَهُوَ قَاعِدٌ، فَصَلَّيْنَا وَرَاءَهُ قُعُودًا، فَلَمَّا انْصَرَفَ [ص:140] قَالَ: " إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا صَلَّى قَائِمًا، فَصَلُّوا قِيَامًا، فَإِذَا رَكَعَ، فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ، فَارْفَعُوا، وَإِذَا قَالَ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، فَقُولُوا: رَبَّنَا وَلَكَ الحَمْدُ، وَإِذَا صَلَّى قَائِمًا، فَصَلُّوا قِيَامًا، وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا، فَصَلُّوا جُلُوسًا أَجْمَعُونَ "
قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: قَالَ الحُمَيْدِيُّ: قَوْلُهُ: «إِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا» بهُوَ فِي مَرَضِهِ القَدِيمِ، ثُمَّ صَلَّى بَعْدَ ذَلِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسًا، وَالنَّاسُ خَلْفَهُ قِيَامًا، لَمْ يَأْمُرْهُمْ بِالقُعُودِ، وَإِنَّمَا يُؤْخَذُ بِالْآخِرِ فَالْآخِرِ مِنْ فِعْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ