আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৯- আযান-ইকামতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৫৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬০৩
৩৯৩। আযান-ইকামতের অধ্যায়: আযানের সূচনা।
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ যখন তোমরা নামাযের দিকে আহবান করো, তখন তারা (মুশরিকরা) এ নিয়ে ঠাট্রা-বিদ্রূপ ও কৌতুক করে। তা এ জন্য যে, তারা এমন এক সম্প্রদায় যারা উপলব্ধি করে না″ (সূরা মায়েদাঃ ৫৮) আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ করেছেনঃ আর যখন জুমআর দিনে নামাযের জন্য আহবান করা হয় .... (সূরা জুমআঃ ৯)
৫৭৬। ইমরান ইবনে মাইসারা (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (নামাযে সমবেত হওয়ার জন্য) সাহাবায়ে কিরাম (রাযিঃ) আগুন জ্বালানো অথবা নাকূস* বাজানোর কথা আলোচনা করেন। আবার এগুলোকে (যথাক্রমে) ইয়াহুদী ও নাসারাদের প্রথা বলে উল্লেখ করা হয়। তারপর বিলাল (রাযিঃ) কে আযানের বাক্য দু’বার করে ও ইকামতের বাক্য বেজোড় করে বলার** নির্দেশ দেওয়া হয়।

*প্রাচীনকালে ব্যবহৃত এক প্রকার কাষ্ঠ নির্মিত ঘণ্টা, যা নাসারারা গির্জায় উপাসনার সময় ঘোষণার কাজে ব্যবহার করতো।
**হানাফী মতাবলম্বীগণ অন্যান্য সহীহ হাদীসের ভিত্তিতে ইকামতের বাক্যগুলোকে দু’বার করে বলে থাকেন । (জামে তিরমিযী : মূল আরবী সংস্করণ, খ-১, পৃ-৪৮ ইত্যাদি দ্রষ্টব্য)
كِتَابُ الأَذَانِ
باب بَدْءُ الأَذَانِ وَقَوْلُهُ عَزَّ وَجَلَّ: (وَإِذَا نَادَيْتُمْ إِلَى الصَّلاَةِ اتَّخَذُوهَا هُزُوًا وَلَعِبًا ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لاَ يَعْقِلُونَ) وَقَوْلُهُ: (إِذَا نُودِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ)
603 - حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: ذَكَرُوا النَّارَ وَالنَّاقُوسَ، فَذَكَرُوا اليَهُودَ وَالنَّصَارَى «فَأُمِرَ بِلاَلٌ أَنْ يَشْفَعَ الأَذَانَ، وَأَنْ يُوتِرَ الإِقَامَةَ»
হাদীস নং: ৫৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬০৪
৩৯৩। আযান-ইকামতের অধ্যায়: আযানের সূচনা।
৫৭৭। মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ......... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনে উমর (রাযিঃ) বলতেন যে, মুসলমানগণ যখন মদীনায় আগমন করেন, তখন তাঁরা নামাযের সময় অনুমান করে সমবেত হতেন। এর জন্য কোন ঘোষণা দেওয়া হতো না। একদিন তাঁরা এ বিষয়ে আলোচনা করলেন। কয়েকজন সাহাবী বললেন, নাসারাদের ন্যায় নাকূস বাজানোর ব্যবস্থা করা হোক। আর কয়েকজন বললেন, ইয়াহুদীদের শিঙ্গার ন্যায় শিঙ্গা ফোকানোর ব্যবস্থা করা হোক। উমর (রাযিঃ) বললেন, নামাযের ঘোষণা দেওয়ার জন্য তোমরা কি একজন লোক পাঠাতে পার না? তখন রাসূল (ﷺ) বললেনঃ হে বিলাল, উঠ এবং নামাযের জন্য ঘোষণা দাও।
كِتَابُ الأَذَانِ
باب بَدْءُ الأَذَانِ
604 - حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يَقُولُ: كَانَ المُسْلِمُونَ حِينَ قَدِمُوا المَدِينَةَ يَجْتَمِعُونَ فَيَتَحَيَّنُونَ الصَّلاَةَ لَيْسَ يُنَادَى لَهَا، فَتَكَلَّمُوا يَوْمًا فِي ذَلِكَ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: اتَّخِذُوا نَاقُوسًا مِثْلَ نَاقُوسِ النَّصَارَى [ص:125]، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: بَلْ بُوقًا مِثْلَ قَرْنِ اليَهُودِ، فَقَالَ عُمَرُ: أَوَلاَ تَبْعَثُونَ رَجُلًا يُنَادِي بِالصَّلاَةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا بِلاَلُ قُمْ فَنَادِ بِالصَّلاَةِ»