প্রবন্ধ
দুনিয়ার মহব্বত ও তার প্রতিকার
প্রাচুর্য ও দারিদ্রের মধ্যে আল্লাহর হিকমত- ১
এক মালফুযে হযরত থানবী (রহ.)বলেন- "দুনিয়া যে চিন্তা নিন্দিত তা হল দুনিয়াকে আসল মাকসাদ মনে করে অর্জনের চিন্তা করা। যদি আসল মাকসাদ মনে না করা হয় তাহলে সেই চিন্তা নিন্দিত নয়, জায়েয। কেননা, হাদীস শরীফে এসেছে হালালরিযিক অন্বেষণ করা ফরয। সাথে সাথে দুনিয়া সম্পর্কে চিন্তা যদি দুনিয়া পরিহারের জন্য হয় তবে তা-ও প্রশংসনীয়। অর্থাৎ, দুনিয়া ও আখেরাতের মধ্যে তুলনা করার জন্য চিন্তা করা যে, দুটোর মধ্যে কোনটা গ্রহণীয় আর কোনটা বর্জনীয় এই চিন্তা কাম্য।"
(আনফাসে ঈসা, পৃষ্ঠা ১৭৬)
অর্থাৎ, দুনিয়ার চিন্তায় আচ্ছন্ন হয়ে যাওয়া নিন্দনীয়। হাদীস শরীফে তা থেকে পানাহ চাওয়ার শিক্ষা এসেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুআ করেছেন যে- "হে আল্লাহ! দুনিয়াকে আমাদের চিন্তার মূল বিষয় বানিয়ে দিবেন না"।
দুনিয়াকে আসল মাকসাদ মনে করে সর্বদা মন-মস্তিষ্ক এই চিন্তায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকলে তা নিন্দনীয়। কিন্তু যদি দুনিয়াকে আসল মাকসাদ মনে করা না হয়, তাহলে এ নিয়ে চিন্তা করা মন্দ নয়। যেমন এই চিন্তা করা যে, আল্লাহ আমার যিম্মায় কিছু দায়িত্ব দিয়েছেন যেমন, নিজের দায়িত্ব, স্ত্রী-সন্তানের দায়িত্ব ইত্যাদি।
এই দায়িত্ব আদায় করতে হলে দুনিয়া অর্জনও জরুরি। তাই দুনিয়া উপার্জন করছি। এ রকম চিন্তা করা খারাপ নয়।
এক মালফুযে হযরত থানভী (রহ.) বলেন: "সম্পদ জমা করা সর্বক্ষেত্রে 'যুহদ' পরিপন্থী নয়। তবে তাকে গোনাহের হাতিয়ার বানানো যুহদ পরিপন্থী। কারো জন্য সম্পদশালী হওয়াই ভালো। আল্লাহ তাআলা জানেন যে, কার প্রাচুর্য দ্বারা নৈকট্য হাসিল হবে আর কার দারিদ্র্য দ্বারা হবে। এজন্য তিনি কাউকে সম্পদ দেন, কাউকে দরিদ্র রাখেন।' (আনফাসে ঈসা, পৃষ্ঠা ১৭৬)
প্রাচুর্য ও দারিদ্রের মধ্যে আল্লাহর হিকমত- ২
'যুহদ'-এর যে অর্থ সাধারণত করা হয় তা হল, দুনিয়াকে ত্যাগ করা। এটা ভুল। 'যুহদ' এর সঠিক অর্থ হল দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি। এজন্য সম্পদ জমা করা সর্বাবস্থায় 'যুহদ' পরিপন্থী নয়। অর্থাৎ, এ রকমও হতে পারে যে, লোকটা অনেক সম্পদের মালিক অথচ সে যাহেদ। কেননা, তার সম্পদ আছে, কিন্তু সম্পদের আকর্ষণ নেই এবং অন্তরে সম্পদের মহব্বতও নেই। তবে সম্পদকে গোনাহের মাধ্যম বানানো 'যুহদ' পরিপন্থী। যেমন, সম্পদ ভুল জায়গায় খরচ করা, এটা যুহদ পরিপন্থী। এজন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম দু'আ করেছেন- "হে আল্লাহ! আমাকে এমন প্রাচুর্য থেকে রক্ষা করুন, যা আমাকে নাফরমান বানিয়ে দিবে"। বিত্তশালীদের অবশ্যই এই দু'আ করা উচিত।কেননা, সম্পদের মধ্যে ঔদ্ধত্য রয়েছে। যদি আল্লাহর বিশেষ মেহেরবানী না হয় এবং বুযুর্গদের সোহবত ও তারবিয়াত না থাকে তাহলে সম্পদ মানুষের চিন্তা- চেতনায় ঔদ্ধত্য সৃষ্টি করে এবং তাকে স্বেচ্ছাচারী বানিয়ে দেয়। ফলে মানুষ গোনাহে লিপ্ত হয়ে পড়ে। তাই সম্পদকে গোনাহের মাধ্যম বানানো উচিত নয়।
অপর দিকে মানুষ যদি এই সম্পদকে শোর, ইবাদত, ইনফাক ফী সাবীলিল্লাহ, সদকা, দান এবং নেক আমলের মাধ্যম বানিয়ে নেয় তাহলে তো সুবহানাল্লাহ। এই সম্পদ তখন দ্বিগুণ নেয়ামত। দুনিয়াতেও নেয়ামত, আখেরাতেও নেয়ামত। এজন্য হযরত থানভী (রহ.) বলেন, কারো কারো জন্য সম্পদশালী হওয়াই ভালো। আল্লাহ জানেন কার প্রাচুর্য তাকে আল্লাহর নৈকট্যের দিকে নিয়ে যাবে। আর কাকে দারিদ্র।
অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলাই জানেন যে, যদি অমুকের কাছে সম্পদ থাকে তাহলে নাফরমানীর বদলে আমার সাথে তার সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে পক্ষান্তরে অমুকের কাছে সম্পদ থাকলে সে নাফরমান হয়ে যাবে।
প্রত্যেকের পাত্র দেখে আল্লাহ দান করেন। কাউকে এটা দেন কাউকে অন্যটা সব আল্লাহর বণ্টন।
মাঝে মধ্যে আমাদের চিন্তা হয়। দয়া জাগে যে, আহা! লোকটাতো খুব অভাবী, গরীব। কিন্তু আল্লাহ তাআলা জানেন যে, যদি তাকে টাকা- পয়সা দেওয়া হত তবে কী কাণ্ড সে ঘটিয়ে ফেলত? নিজেও মুসীবতে পড়ত অন্যদেরকেও মুসীবতে ফেলত। এজন্য তাকে সম্পদ দান করেননি। দারিদ্র ও অভাবই তার জন্য উত্তম।
একটি ঘটনা হযরত ডাক্তার আবদুল হাই আরেফী ছাহেব (রহ.)এর নিকট থেকেশুনেছি যে, যখন হযরত মূসা (আ.) আল্লাহ তাআলার সঙ্গে কথা বলার জন্য তুর পাহাড়ে যাচ্ছিলেন তখন রাস্তায় এক লোক এসে জুটল। সে বলল, আপনি আল্লাহর সাথে কথা বলতে যাচ্ছেন তো আমাদের জন্য কিছু দরখাস্ত করবেন। হযরত মূসা (আ.) জিজ্ঞাসা করলেন, কী দরখাস্ত করব? সে বলল, আমি অভাবগ্রস্ত ও বিপদগ্রস্ত, আমার কোনো অর্থ-সম্পদ নেই, অভাবের সংসার। আল্লাহর যেন আমাকে স্বচ্ছল করে দেন। হযরত মূসা (আ.)তুর পাহাড়ে গিয়ে আল্লাহর সঙ্গে কথা বললেন। সর্বশেষে ঐ লোকটির দরখাস্তও পেশ করলেন- ইয়া আল্লাহ! রাস্তায় এক লোকের সাথে দেখা হয়েছিল, সে খুব অভাব ও পেরেশানীর মধ্যে আছে। আপনি তার দুআ কবুল করুন এবং তাকে স্বচ্ছলতা দান করুন। আল্লাহ তাআলা হযরত মূসা (আ.) কে জিজ্ঞাসা করলেন, স্বচ্ছলতা অল্প দিব না বেশি? মূসা (আ.) বললেন, দিবেন যখন বেশি করেই দেন। আল্লাহ তাআলা বললেন, ঠিক আছে। আমি তাকে প্রাচুর্য দান করলাম। হযরত মূসা (আ.) ফিরে আসলেন।
একদিন মনে পড়ল যে, যার জন্য আল্লাহর দরবারে দরখাস্ত করেছিলাম তাকে একটু দেখে আসি। সে তো এখন স্বচ্ছল হয়ে গেছে। তিনি যখন তার ঘরে পৌঁছলেন এবং দরজায় আওয়াজ দিলেন এক মহিলা বের হয়ে আসল। তিনি বললেন, আমি অমুকের সাথে দেখা করতে চাই। ঐ মহিলা বলল, সে মারা গেছে। হযরত মূসা (আ.) পেরেশান হয়ে আল্লাহর দরবারে আরয করলেন, ইয়া আল্লাহ!এ কথা তো আমার বুঝে আসল না যে, সে আপনার কাছে স্বচ্ছলতা চেয়েছিল অথচ সে জীবনটা পর্যন্ত হারাল।
আল্লাহ তাআলা উত্তর দিলেন, হে মুসা। আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, তাকে অল্প স্বচ্ছলতা দিব না অধিক? তুমি বলেছিলে অধিক দিতে আর দুনিয়াতে তো অধিক স্বচ্ছলতা হয় না। যা হয় সবই কম। এজন্য আমি তাকে অধিক স্বচ্ছলতা এভাবে দিয়েছি যে, তাকে নিজের কাছে ডেকে নিয়েছি এবং জান্নাত দান করেছি।
প্রাচুর্য ও দারিদ্রের মধ্যে আল্লাহর হিকমত- ৩
এখন প্রশ্ন হতে পারে যে, আল্লাহ তাআলা তাকে তো ইচ্ছা করলে দুনিয়াতেও স্বচ্ছলতা দিতে পারতেন অতঃপর জান্নাত দিতেন। তার জবাব হল- "যদি দুনিয়ায় সে স্বচ্ছলতা লাভ করত তাহলে না জানি তার আমল কেমন হত? কোন গোনাহে সে লিপ্ত হত। কোন গোমরাহীতে সে পড়ে যেত। যার ফলে সে হয়তো শেষ পর্যন্ত জান্নাতও হারিয়ে ফেলত।"
আপনি যখন কোন অভাবী ও গরীব লোককে দেখেন তখন আপনার মনটা কেঁদে ওঠে। আহা! বেচারা কত কষ্টেই না আছে। এর অর্থ হল, তাকে দেখে আপনার দয়া হচ্ছে কিন্তু আল্লাহর দয়া হয় না (?) আরে মিয়াঁ! যিনি এই জগত সংসার বানিয়েছেন তিনি আপনার চেয়ে ভালো জানেন যে কার সাথে কেমন ব্যবহার উপযুক্ত হবে। আপনার-আমার অস্তিত্বই কী? আমাদের জ্ঞান ও বিদ্যার দৌড়ই বা কতটুকু? আমরা কতটুকুই বা অনুমান করতে পারি, কোন যন্ত্রাংশের কী কার্য কারিতা? এগুলোতো একমাত্র সেই সর্বজ্ঞানী জানেন। তিনি জানী ও প্রজ্ঞাবান। এজন্য তিনিই জানেন যে, সে ব্যক্তির জন্য অভাব ও দারিদ্রই উপযুক্ত। আল্লাহ তাআলা আমার আপনার চেয়ে অনেক বেশি দয়ালু। দয়ার কারণেই তিনি তাকে বেশি ধন-সম্পদ দেননি।
আল্লাহ তাআলা শাসকও এবং প্রজ্ঞাবানও।এ কারণে বুযুর্গগণ বলেন, যখন কোন আপনজনের ইন্তেকাল হয় তখন দুটো বিষয় চিন্তা করা উচিত।
এক). আল্লাহ তাআলা শাসক।
দুই.) আল্লাহ প্রজ্ঞাবান।
আল্লাহ যেহেতু শাসক তাই তার ফায়সালাই শিরোধার্য। তদ্রূপ তিনি প্রজ্ঞাবান শাসক। তাই তাঁর ফায়সালা আমাদের বুঝে আসুক বা না আসুক, ভালো লাগুক বা না লাগুক, আমরা খুশি হই বা দুঃখিত হই, ঐ ফায়সালা মাথা পেতে মেনে নেওয়া জরুরি। ফায়সালা তারই হক, তার ফায়সালার উপরই আমল করা জরুরি।
এরপর হযরত থানভী(রহ.)বলেন, 'কারো জন্য ধনী হওয়াই কল্যাণকর।' অর্থাৎ, কাউকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ দান করে মর্তবা বুলন্দ করেন। সম্পদ দান করে শোকরিয়া আদায়ের তাওফীক দেন। সে যত শোকরিয়া আদায় করবে ততই তার মর্তবা বুলন্দ হবে। আবার কাউকে অভাব দিয়ে মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। যেহেতু অভাবের মধ্যে সে সবর করে তাই সবরের দ্বারা তার মর্তবা বুলন্দ হয়। হাদীস শরীফে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- "যে খায় এবং শোকরিয়া আদায় করে সে ঐ ব্যক্তির মতো যে রোযা রাখে এবং ধৈর্যধারণ করে"।
সুতরাং রোযা রেখে ধৈর্য ধরলে যেমনসওয়াব তেমনি খেয়ে শোকরিয়া আদায় করলেও সওয়াব। এ কারণে রমযান মাসে আল্লাহ তাআলা দুই কাজই করান। দিনে রোযাদার ও ধৈর্যধারণ কারী আর রাতে আহার কারী ও শোকরিয়া আদায়কারী। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- "তোমার প্রতি পালকের রিযিক খাও এবং শোকর কর"। (সূরা সাবা: ১৫)
এজন্য হযরত থানভী (রহ.) বলতেন যে, কোনো কোনো বুযুর্গ বলেছেন, 'রমযান মাসে ইফতারের পরও কম খাওয়া উচিত নয়।'
অন্য দিনের তুলনায় কম খাওয়া সঠিক কাজ নয়। কেননা, আসল বিষয় হল আল্লাহর আদেশ পালন। দিনে আল্লাহ না খেয়ে থাকতে বলেছেন, তাই না খাওয়াতে সওয়াব, ইফতারের পরে যেহেতু খেতে বলেছেন তো এখন খেলেই সওয়াব। বন্দেগী বা আনুগত্যের দাবিতো এটাই।
এ কারণে হুকুম দেওয়া হয়েছে যে, যখন ইফতারীর সময় হয়ে যায় তখন খেতে দেরী করো না; বরং তাড়া তাড়ি খাও। কেন? কারণ এতে আনুগত্যের অনুশীলন করানো হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি বলেছি খেয়ো না, ততক্ষণ না খেয়ে থাক। আর যখন আমি বলি যে, এখন খাও, তখন তাড়া তাড়ি খাও। এখন খাওয়া থেকে বিরত থাকাও এক প্রকার গোনাহ। হযরত থানভী (রহ.) বলেন, যখন তিনি বলে দিয়েছেন,খাও!সুতরাং এখন নিশ্চিন্তে মজা করে খাও।
প্রাচুর্য ও দারিদ্রের মধ্যে আল্লাহর হিকমত- ৪
হযরত থানভী(রহ.)আরো বলেন যে, হাদীস শরীফে এসেছে, আল্লাহ তাআলা রমযান মাসে মুমিনের রিযিক বৃদ্ধি করে দেন।হযরত বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হল আল্লাহ রিযিক বাড়ান রমযানে। আর আমরা খাই পরে। আল্লাহ যেহেতু এখন রিযিক দিয়েছেন তাই এখন খাব। এজন্য রযমানের রাতে খাওয়া কমানোর দরকার নেই। দাসত্ব ও আনুগত্যের দাবিই হল- যখন তিনি রিযিক দিবেন তখন মজা করে খাওয়া। এটাই দ্বীনের আনুগত্য।
মোটকথা, কখনো আল্লাহ কোনো বান্দাকে নেয়ামত দান করেন এবং শোকরিয়া আদায়ের তাওফীক দান করেন। এভাবে তার মর্তবা বুলন্দ করেন। তিনিই জানেন, কার জন্য ধনী হওয়া কল্যাণ কর আর কার জন্য দরিদ্র হওয়া কল্যাণকর।
হযরত সুফিয়ান ছাওরী (রহ.) যিনি ফকীহও ছিলেন, মুহাদ্দিসও ছিলেন, সুফীও ছিলেন, আবার ধনীও ছিলেন। কেউ তাকে জিজ্ঞেস করল, হযরত। আপনি আল্লাহওয়ালা বুযুর্গ মানুষ, আপনিও এত সম্পদ জমা করেছেন? এ দুটোর মধ্যে কোনো সামঞ্জস্য তো আমরা ধরতে পারছি না। তিনি উত্তর দিলেন- "যদি আমাদের কাছে সম্পদ না থাকত, তাহলে এই সকল শাসক আমাদেরকে রুমাল বানিয়ে ব্যবহার করত।
অর্থাৎ, তারা আমাদেরকে নগণ্য মনে করত এবং সব জায়গায় ব্যবহার করত। এখন আমাদের কাছে সম্পদ আছে, তাই উভয়ের অবস্থা সমান। এখন আমরা কারো অধীন হয়ে থাকার অবস্থা থেকে মুক্ত।
ইমাম মালেক (রহ.) প্রতিদিন নতুন এক জোড়া কাপড় পরতেন। আল্লাহ তাআলা তাকে দুনিয়াদান করেছিলেন, কিন্তু দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণ বা মগ্নতা কোনোটাই তাঁর মধ্যে ছিল না। এজন্য আল্লাহর কাছে দুআ করা দরকার যে, হে আল্লাহ। প্রয়োজন মাফিক দুনিয়া আমাদের দান করুন; বরং আমিতো আরো বাড়িয়ে বলি যে, চাহিদা অনুযায়ীই দান কর। জাযেয় চাহিদা পুরো পুরি পূরণ করুন কিন্তু এর মহব্বত ও মর্যাদা আমাদের দিলে ঢেলে দিবেন না।
সর্বদা আল্লাহ তাআলার কাছে এই দুআ করা দরকার। যদি এই প্রজ্ঞা পেয়ে যাই তো সব পেয়ে গেলাম। কেননা সকল অনিষ্টের মূল হল দুনিয়ার মহব্বত। হাদীস শরীফে এসেছে- "দুনিয়ার মহব্বত সকল গোনাহের মূল"।
আল্লাহ যদি এই ব্যাধি থেকে নাজাত দান করেন তাহলে ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে।
আল্লাহ তাআলা আমাকে এবং আপনাদেরকে এই কথা গুলোর উপর আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন।
وَاخِرُ دَعَوَانَا أَنِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
সংগ্রহ ও সংকলন - ইঞ্জিনিয়ার শামীমুল ইসলাম
মন্তব্য (...)
এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ
গোনাহের ক্ষতি - ১ম পর্ব
...
তিনটি বড় গুনাহ- বদযবানী, বদনেগাহী, বদগুমানী
মুরাদাবাদ। একটি প্রসিদ্ধ শহর। ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি জেলা। এ শহরেই অবস্থিত প্রসিদ্ধ একটি মাদরাসা...
শরীয়তে পীর মুরিদীর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব
রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াতী দায়িত্ব বর্ণনায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুর...
আল্লামা যাহেদ কাউসারীর বাণী সমগ্র থেকে -
...
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন