প্রবন্ধ
ইসলাম মানুষের প্রাকৃতিক প্রয়োজন কিংবা আরও খোলামেলা ভাবে বললে প্রস্রাব-পায়খানা করার পদ্ধতিও তফসীলীভাবে শিখিয়ে দিয়েছে, কোন্ দিকে ফিরে মলমূত্র ত্যাগ করতে হবে, দাঁড়িয়ে না বসে করতে হবে, মল-মূত্র ত্যাগের পর কয়টা কুলুখ দিয়ে কীভাবে পরিষ্কার করতে হবে- সব বলে দিয়েছে। জুতা কীভাবে পড়তে হবে, মাথা কীভাবে আঁচড়াতে হবে, বগল ও নাভীর নিচের লোম কখন ও কীভাবে পরিষ্কার করতে হবে, দাঁড়ি ও মোঁচ কতটুকু রাখতে হবে, নখ কখন ও কীভাবে কাটতে হবে সব পুঙ্খানুপুঙ্খ বলে দিয়েছে। কারণ এটা আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ দীন।
তাহলে পোশাকের মতো এত বিশাল ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ইসলামে থাকবে না এটা কস্মিনকালেও ভাবা যায়? জামা-কাপড় কোনটা পড়তে হবে, কীভাবে পড়তে হবে- ইসলামে এমন কোনো দিক-নির্দেশনা থাকবে না এটা চিন্তা করা যায়? একারণে ইসলামে পোশাকের বিস্তৃত আলোচনা রয়েছে। প্রত্যেকটা ফিকহী গ্রন্থে পোশাকের ওপর আলাদা অধ্যায় রয়েছে। হোক বিস্তৃত ও বিচিত্র, কিন্তু এ অর্থে 'ইসলামী পোশাক' পরিভাষার অস্তিত্ব অনস্বীকার্য।
হ্যাঁ কেবল পোশাকের কারণেই কেউ বুযুর্গ ও ফিরিশতা গণ্য হবে আবার কেউ পোশাকের কারণে মূর্খ কিংবা বেদীন গণ্য হবে- এটা যেমন সঠিক নয়। একইভাবে ইসলামে যা ইচ্ছা যেভাবে ইচ্ছা পরা যাবে এই কথাও সঠিক নয়। ইসলামে বৈধ ও অবৈধ, উত্তম ও অনুত্তম, রুচিশীল ও রুচিহীন বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পোশাক রয়েছে। আবার রাসূলুল্লাহ (সা.) এর যুগ থেকে আলিমগণ ও সালেহীনগণ কিছু বিশেষ পোশাক পরে আসছেন। এটা সালাফের মুহাব্বত, ঐতিহ্য, ইলমী ও উরফী পরম্পরা। পবিত্র জ্ঞান না করা হলে এটাকে অপবিত্র জ্ঞান করারও কিছু নেই। এধরনের পোশাকের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন মূর্খতা ও দুর্ভাগ্য।
মন্তব্য (...)
এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ
তাকওয়ার লেবাস, লেবাসের তাকওয়া
...
মাওলানা যাকারিয়া আব্দুল্লাহ
১০ নভেম্বর, ২০২৪
২৪১৯ বার দেখা হয়েছে
নারীর রূপচর্চা : বৈধতা ও অবৈধতার সীমারেখা
এক. কার জন্য সাজবেন? প্রিয় বোন, সাজসজ্জার ক্ষেত্রে প্রথমে ভাবতে হবে, আপনি কার জন্য এবং কাকে দেখানোর ...
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী
৮ নভেম্বর, ২০২৪
৩০৬২ বার দেখা হয়েছে
হিজাব : পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য
হিজাবের পরিচয় ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায়, অশ্লীলতা ও ব্যভিচার নিরসনের লক্ষ্যে নারী-পুরুষ উভয়েরই তাদের ...
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী
১০ নভেম্বর, ২০২৪
৬৮৪৪ বার দেখা হয়েছে
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন