প্রবন্ধ
ইমাম আজম আবু হানীফা (র.) তাবেয়ী ছিলেন। তিনি আনাস ইবনে মালেক, আব্দুল্লাহ ইবনে আবী আওফাসহ একাধিক সাহাবীকে দেখেছেন। এটা ইবনে হাজার আসকালানী, সাখাভী, সুয়ূতী, বাযযাযীসহ সকল মুহাক্কিক ইমামদের বক্তব্য।
এ এমন এক বিরল সৌভাগ্য যা তাঁর সমসমায়িক অন্যান্য প্রসিদ্ধ ইমামদের কারও নসীব হয়নি। যেমন তখন আওযায়ী শামে ছিলেন। বসরায় হাম্মাদ ছিলেন। কূফাতে ছিলেন সাওরী। মদীনাতে ছিলেন মালেক। মক্কায় ছিলেন মুসলিম ইবনে খালেদ। মিসরে ছিলেন লাইস ইবনে সা’দ। কিন্তু তারা কেউ কোনো সাহাবীর সঙ্গে মুলাকাতের সৌভাগ্য লাভ করেননি। ইবনে হাজার মক্কী বলেন, ইমাম আজম আটজন সাহাবীর সাক্ষাৎ পেয়েছেন। তাদের মাঝে আনাস ইবনে মালেক, আব্দুল্লাহ ইবনে আবী আওফা, সাহল ইবনে সাদ, আবুত তুফাইল রয়েছেন। [শরহু মুসনাদে আবী হানীফা, আলী কারী: ৫৮১-৫৮২]
বিপরীতে কেউ কেউ ইমাম আজম (র.) এর তাবেয়ী হওয়াকে অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, ইমাম সাহাবাদের সাক্ষাৎ পেলেও তিনি তাদের কারও কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করেননি। কিন্তু এটা অগ্রগণ্য বক্তব্য নয়। সাহাবী হওয়ার জন্য যেমন মুমিন অবস্থায় রাসূলুল্লাহর সাক্ষাৎ যথেষ্ট, হাদীস বর্ণনা কিংবা লম্বা সান্নিধ্য শর্ত নয়। একইভাবে তাবেয়ী হওয়ার জন্য সাহাবীর সাক্ষাৎ যথেষ্ট। হাদীস বর্ণনা কিংবা লম্বা সান্নিধ্য শর্ত নয়। হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী বলেন, ‘তাবেয়ী হলেন যিনি সাহাবীর সাক্ষাৎ পেয়েছেন’। [নুখবাতুল ফিকার: ৪/৭২৪] একইভাবে হাফেজ ইরাকী লেখেন, ‘তাবেয়ী হলেন যিনি সাহাবীর সাক্ষাৎ পেয়েছেন’। [আলফিয়াতুল ইরাকী: ১/১৬৭]
মন্তব্য (...)
এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ
হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ নোমানী রাহ.; সংক্ষিপ্ত জীবনী
...
শাঈখুল ইসলাম হযরত আব্দুল মালেক
১০ নভেম্বর, ২০২৪
২৫৩০ বার দেখা হয়েছে
উসতাযুল উলামা আল্লামা কুতবুদ্দীন রাহ.
...
মাওলানা আতাউল কারীম মাকসুদ
১০ নভেম্বর, ২০২৪
১৪২৭ বার দেখা হয়েছে
ইমাম আবু হানীফা রহ. হাদীসশাস্ত্রের ইমামদের ইমাম ও শিক্ষাগুরু
...
মাওলানা মুহসিনুদ্দীন খান
৫ নভেম্বর, ২০২৪
১২১৫ বার দেখা হয়েছে
হযরত মাওলানা মুফতী শহীদুল্লাহ দা.বা.
...
মুফতী আব্দুল হান্নান হাবীব
৯ নভেম্বর, ২০২৪
৬৯৪৭ বার দেখা হয়েছে
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন