৬. আল আনআম ( আয়াত নং - ১০০ )

bookmark
وَجَعَلُوۡا لِلّٰہِ شُرَکَآءَ الۡجِنَّ وَخَلَقَہُمۡ وَخَرَقُوۡا لَہٗ بَنِیۡنَ وَبَنٰتٍۭ بِغَیۡرِ عِلۡمٍ ؕ  سُبۡحٰنَہٗ وَتَعٰلٰی عَمَّا یَصِفُوۡنَ ٪
ওয়া জা‘আলূলিল্লা-হি শুরাকাআল জিন্না ওয়া খালাকাহুম ওয়া খারাকূলাহূবানীনা ওয়াবানা-তিম বিগাইরি ‘ইলমিন ছুবহা-নাহূতা‘আ-লা-‘আম্মা-ইয়াসিফূন।

অর্থঃ

মুফতী তাকী উসমানী

লোকে জিনদেরকে আল্লাহর শরীক সাব্যস্ত করেছে, ৪৮ অথচ আল্লাহই তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তারা অজ্ঞতাবশত তাঁর জন্য পুত্র-কন্যা গড়ে নিয়েছে, ৪৯ অথচ তারা (আল্লাহর সম্পর্কে) যা-কিছু বলে, তিনি তা থেকে পবিত্র ও বহু ঊর্ধ্বে।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ

৪৮. জিন দ্বারা শয়তান বোঝানো হয়েছে। এর দ্বারা সেই সকল লোকের আকীদার প্রতি ইশারা করা হয়েছে, যারা বলত, সকল উপকারী জীব-জন্তু তো আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু সাপ, বিচ্ছু ও অন্যান্য ক্ষতিকর প্রাণী বরং সমস্ত মন্দ জিনিস শয়তানের সৃষ্টি; সেই তাদের স্রষ্টা। তারা তো বাহ্যত এসব মন্দ জিনিসের সৃষ্টিকার্য হতে আল্লাহ তাআলাকে মুক্ত ঘোষণা করল, কিন্তু এতটুকু বুঝতে পারল না যে, যেই শয়তান সর্বাপেক্ষা ক্ষতিকর জিনিস তাকেও তো আল্লাহ তাআলাই সৃষ্টি করেছেন। মন্দ জিনিস যদি শয়তানের সৃষ্টি হয়, তবে খোদ যে শয়তান সর্বাপেক্ষা মন্দ, তাকে কে সৃষ্টি করল? তাছাড়া আপাতদৃষ্টিতে যে সকল জিনিসকে আমরা মন্দ মনে করছি, তার সৃজনের মধ্যেও আল্লাহ তাআলার বহু হিকমত ও রহস্য নিহিত আছে। কাজেই তার সৃজনকে মন্দ বলা যেতে পারে না। মহাকবি ইকবাল বলেন, نهيں هے چيز نكمى كوئى زمانے ميں كوئى برا نهيں قدرت كےكا ر خانے ميں ‘কোন বস্তুই কোনও কালে নিরর্থক নয়, স্রষ্টার কারখানায় কোনও জিনিসই মন্দ নয়।’
সূরা আল আনআম, আয়াত ৮৮৯