২. আল বাকারা ( আয়াত নং - ৩০ )

bookmark
وَاِذۡ قَالَ رَبُّکَ لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اِنِّیۡ جَاعِلٌ فِی الۡاَرۡضِ خَلِیۡفَۃً ؕ قَالُوۡۤا اَتَجۡعَلُ فِیۡہَا مَنۡ یُّفۡسِدُ فِیۡہَا وَیَسۡفِکُ الدِّمَآءَ ۚ وَنَحۡنُ نُسَبِّحُ بِحَمۡدِکَ وَنُقَدِّسُ لَکَ ؕ قَالَ اِنِّیۡۤ اَعۡلَمُ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ
ওয়া ইযকা-লা রাব্বুকা লিলমালইকাতি ইন্নী জা-‘ইলুন ফিল আরদিখালীফাতান কালূআতাজ‘আলুফীহা- মাইঁ ইউফছিদুফীহা- ওয়া ইয়াছফিকু দ দিমাআ ওয়ানাহনু নুছাব্বিহুবিহামদিকা ওয়া নুকাদ্দিছুলাকা কা-লা ইন্নী আ‘লামুমা-লা- তা‘লামূন।

অর্থঃ

মুফতী তাকী উসমানী

এবং (সেই সময়ের বৃত্তান্ত শোন), যখন তোমার প্রতিপালক ফিরিশতাদেরকে বললেন, আমি পৃথিবীতে এক খলীফা ২৯ বানাতে চাই। তারা বলতে লাগলেন, আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে সেখানে অশান্তি বিস্তার করবে ও খুন-খারাবী করবে, অথচ আমরা আপনার তাসবীহ, হামদ ও পবিত্রতা ঘোষণায় নিয়োজিত ৩০ আছি? আল্লাহ বললেন, আমি এমন সব বিষয় জানি, যা তোমরা জান না।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ

২৯. একুশ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলার ইবাদত অবশ্য কর্তব্য হওয়ার পক্ষে দলীল দেওয়া হয়েছিল। সে দলীল ছিল অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ও সাদামাটা, অথচ বড় শক্তিশালী। বলা হয়েছিল, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই ইবাদতের উপযুক্ত। আটাশ নং আয়াতে এরই ভিত্তিতে কাফিরদের কুফরের কারণে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে। এবার মানব সৃষ্টির পূর্ণ ঘটনা বর্ণনা করত সে দলীলকে অধিকতর পরিপক্ক করা হচ্ছে। আয়াতে খলীফা দ্বারা মানুষকে বোঝানো হয়েছে। তাকে খলীফা বলার অর্থ- সে পৃথিবীতে আল্লাহ তাআলার হুকুম-আহকাম নিজেও পালন করবে এবং নিজ ক্ষমতা অনুযায়ী অন্যদের দ্বারাও তা পালন করানোর চেষ্টা করবে।