২. আল বাকারা ( আয়াত নং - ২৬ )

bookmark
اِنَّ اللّٰہَ لَا یَسۡتَحۡیٖۤ اَنۡ یَّضۡرِبَ مَثَلًا مَّا بَعُوۡضَۃً فَمَا فَوۡقَہَا ؕ  فَاَمَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا فَیَعۡلَمُوۡنَ اَنَّہُ الۡحَقُّ مِنۡ رَّبِّہِمۡ ۚ  وَاَمَّا الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا فَیَقُوۡلُوۡنَ مَاذَاۤ اَرَادَ اللّٰہُ بِہٰذَا مَثَلًا ۘ  یُضِلُّ بِہٖ کَثِیۡرًا ۙ  وَّیَہۡدِیۡ بِہٖ کَثِیۡرًا ؕ  وَمَا یُضِلُّ بِہٖۤ اِلَّا الۡفٰسِقِیۡنَ ۙ
ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াছতাহঈআইঁ ইয়াদরিবা মাছালাম্মা- বা‘ঊদাতান ফামা- ফাওকাহা- ফাআম্মাল্লাযীনা আ-মানূফাইয়া‘লামূনা আন্নাহুল হাক্কুমিররাব্বিহিম ওয়া আম্মাল্লাযীনা কাফারূ ফাইয়াকূলূনা মা-যাআরা-দাল্লা-হু বিহা-যা- মাছালা- । ইউদিল্লুবিহী কাছীরাওঁ ওয়াহদী বিহী কাছীরাওঁ ওয়ামা- ইউদিল্লুবিহীইল্লাল ফা-ছিকীন।

অর্থঃ

মুফতী তাকী উসমানী

নিশ্চয়ই আল্লাহ (কোনও বিষয়কে স্পষ্ট করার জন্য) কোনও রকমের উদাহরণ দিতে লজ্জাবোধ করেন না, তা মশা (এর মত তুচ্ছ জিনিস) হোক বা তারও উপরে (অধিকতর তুচ্ছ) হোক। ২৪ তবে যারা মুমিন তারা জানে, এ উদাহরণ সত্য, যা তাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে আগত। কিন্তু যারা কাফির তারা বলে, এই (তুচ্ছ) উদাহরণ দ্বারা আল্লাহর উদ্দেশ্য কী? (এভাবে) আল্লাহ এ উদাহরণ দ্বারা বহু মানুষকে গোমরাহীতে লিপ্ত করেন এবং বহুজনকে হিদায়াত দান করেন। আর তিনি গোমরাহ করেন কেবল তাদেরকেই, যারা নাফরমান। ২৫

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ

২৪. কোনও কোনও কাফির কুরআন মাজীদের উপর প্রশ্ন তুলেছিল, এতে মশা, মাছি, মাকড়সা ইত্যাদি দ্বারা উদাহরণ দেওয়া হয়েছে কেন? এটা যদি সত্যিই আল্লাহর কালাম হত, তবে এতে এমন তুচ্ছ জিনিসের উল্লেখ থাকত না। বলাবাহুল্য, এটা এক অবান্তর প্রশ্ন। কেননা উদাহরণ সর্বদা বিষয়ের সাথে সঙ্গতি রেখেই দেওয়া হয়। কোনও ক্ষুদ্র ও তুচ্ছ জিনিসের উদাহরণ দিতে হলে এমন কোনও জিনিস দ্বারাই দিতে হবে যা ক্ষুদ্রতা ও তুচ্ছতায় তার অনুরূপ। এ রকম করা হলে তা বক্তব্যের ত্রুটি নয়; বরং তার বৈদগ্ধ ও অলংকারপূর্ণতারই দলীল হয়। অবশ্য এটা তো কেবল তাদেরই বুঝে আসার কথা, যারা সত্যের সন্ধানী এবং সত্যের প্রতি বিশ্বাসী। যারা কুফরকেই ধরে রাখবে বলে কসম করে নিয়েছে, তারা তো সর্বদা সব রকম কথাতেই দোষ খুঁজবে। এ কারণেই তারা এ জাতীয় অবান্তর কথাবার্তা বলে থাকে।