১৩. আর রা'দ ( আয়াত নং - ১১ )

bookmark
لَہٗ مُعَقِّبٰتٌ مِّنۡۢ بَیۡنِ یَدَیۡہِ وَمِنۡ خَلۡفِہٖ یَحۡفَظُوۡنَہٗ مِنۡ اَمۡرِ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یُغَیِّرُ مَا بِقَوۡمٍ حَتّٰی یُغَیِّرُوۡا مَا بِاَنۡفُسِہِمۡ ؕ وَاِذَاۤ اَرَادَ اللّٰہُ بِقَوۡمٍ سُوۡٓءًا فَلَا مَرَدَّ لَہٗ ۚ وَمَا لَہُمۡ مِّنۡ دُوۡنِہٖ مِنۡ وَّالٍ
লাহূ মু‘আক্কিবা-তুম মিমবাইনি ইয়াদাইহি ওয়া মিনখালফিহী ইয়াহফাজূনাহূ মিন আমরিল্লাহি ইন্নাল্লা-হা লা-ইউগাইয়িরু মা-বিকাওমিন হাত্তা-ইউগাইয়িরূমা-বিআনফুছিহিম ওয়া ইযাআরা-দাল্লা-হু বিকাওমিন ছূআন ফালা-মারাদ্দা লাহূ ওয়ামা- লাহুম মিন দূ নিহী মিওঁ ওয়া-ল।

অর্থঃ

মুফতী তাকী উসমানী

প্রত্যেকের সামনে পিছনে এমন প্রহরী (ফেরেশতা) নিযুক্ত আছে, যারা আল্লাহর নির্দেশে পালাক্রমে তার হেফাজত করে। ১৬ জেনে রেখ, আল্লাহ কোনও জাতির অবস্থা ততক্ষণ পর্যন্ত পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেরা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। ১৭ আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর কোন বিপদ আনার ইচ্ছা করেন, তখন তা রদ করা সম্ভব নয়। আর তিনি ছাড়া তাদের কোন রক্ষাকর্তা থাকতে পারে না।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ

১৬. মানুষের রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ফেরেশতা নিয়োজিত আছে বলে কারও এই ভুল ধারণা সৃষ্টি হতে পারত যে, আল্লাহ তাআলা যখন হেফাজতের এই ব্যবস্থা করে রেখেছেন, তখন আর এ নিয়ে মানুষের চিন্তা করার কোন দরকার নেই। সে নিশ্চিন্তে সব কাজ করতে পারে। এমনকি গুনাহ ও সওয়াবেরও বিচার করার প্রয়োজন নেই। কেননা ফেরেশতারাই সকল ক্ষেত্রে রক্ষা করবে। আয়াতের এ অংশে সেই ভুল ধারণা দূর করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, এমনিতে আল্লাহ তাআলা কোন জাতির ভালো অবস্থাকে মন্দ অবস্থা দ্বারা বদলে দেন না, কিন্তু তারা নিজেরাই যখন নাফরমানী করতে বদ্ধপরিকর হয়ে যায় এবং নিজেদের আমল-আখলাক পরিবর্তন করে ফেলে তখন তাদের উপর আল্লাহ তাআলার আযাব এসে যায়। সে আযাব আর কেউ রদ করতে পারে না। সুতরাং যে সকল ফেরেশতা হেফাজতের কাজে নিয়োজিত আছে, এরূপ ক্ষেত্রে তারাও কোন কাজে আসে না।