আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

#১৭৯৭
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার ছেলের অপারেশনের জন্য চার লক্ষ টাকা প্রয়োজন। তাই আমি এক ব্যক্তির নিকট চার লক্ষ টাকার পরিবর্তে আমার একটি জমি বিক্রি করেছি। সে  পঞ্চাশ হাজার টাকা নগদ পরিশোধ করেছে। তার সাথে কথা হয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি টাকা পরিশোধ করলে তাকে জমির রেজিস্ট্রি দিয়ে দিব। সে এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা দেয়নি। এদিকে একদিন পর আমার ছেলের অপারেশনের তারিখ। তাকে বাকি টাকা পরিশোধ করতে বললে  সে বলে, জমির প্রকৃত মূল্য তিন লক্ষ টাকা। চার লক্ষ টাকা দিয়ে আমি জমি নিব না। ইচ্ছা হলে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে জমি বিক্রি করতে পারেন। তখন আমি আরেকজনের নিকট নগদ চার লক্ষ টাকায় জমিটি বিক্রি করে জমির রেজিস্ট্রি দিয়ে দিয়েছি। প্রথম ক্রেতাকে তার টাকা দেওয়ার জন্য গেলে সে আমার সাথে অত্যন্তরাগারাগি করে। তার কথা, আমাকে না জানিয়ে অন্যের কাছে কেন জমি বিক্রি করেছেন? আমার কাছে বিক্রি করার পর অন্য কারো কাছে বিক্রি করা ঠিক হয়নি ইত্যাদি।

তাই হুযুরের কাছে জানতে চাই, উক্ত অবস্থায় অন্য ব্যক্তির নিকট জমি বিক্রি করা কি সহীহ হয়েছে? জানালে উপকৃত হব।


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০
#২৫৯১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের এলাকায় জমি বন্ধকের দুটি প্রচলন রয়েছে : এক. বন্ধকদাতা বন্ধক গ্রহীতার নিকট থেকে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা গ্রহণ করে আর বন্ধকগ্রহীতা জমি ভোগ করতে থাকে। যখন টাকা ফিরিয়ে দেয় তখন জমি

হস্তান্তর করে।

দুই. এটিও উপরের মতোই। তবে পার্থক্য হল, এক্ষেত্রে যখন টাকা ফিরিয়ে দেয় তখন বছর হিসাব করে বন্ধকগ্রহীতা কিছু টাকা কম নেয়। যেমন-কেউ এক কাঠা জমি বন্ধক নিল দশ হাজার টাকায় এবং সে দু বছর এ জমি ভোগ করে। দু বছর পর টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার সময় পাঁচশ টাকা করে এক হাজার টাকা কম নেয়। এ সুরতগুলো সহীহ কি না? উত্তম পন্থা কোনটি জানিয়ে বাধিত করবেন।


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০
#২৫৯২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের একটি সমিতি আছে। কিছুদিন পূর্বে এক লোক একটি গরু ক্রয়ের জন্য আমাদের সমিতির কাছ থেকে দশ হাজার টাকা ঋণ চাইলে সমিতির পরিচালক সাহেব তাকে বলেন যে, আমরা আপনাকে ঋণ দিতে পারব না। তবে আপনার সাথে শরীকানায় গরুটি কিনতে পারি। পরে আমাদের অংশটা আপনার কাছে বাকিতে বিক্রি করে দিব। তবে এখনই বিক্রির চুক্তি নয় কেবল ওয়াদা করছি। এতে ঐ লোক রাজি হয়ে গেল। ফলে গরুটি শরীকানায় ক্রয় করে কিছুদিন পর আমাদের অংশটা কিছু লাভে ঐ লোকের কাছে বিক্রি করে দেই। জানার বিষয় হল, উল্লেখিত অবস্থায় আমাদের কারবারটি সহীহ হয়েছে কি?


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
#৭৮৮
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

বাজারে আমার মুদী ও কাপড়ের ব্যবসা আছে। আমার এক আত্মীয় গত এক মাস আগে বিদেশ যাওয়ার সময় আমাকে দুই লাখ টাকা দেয়- আমার ব্যবসাতে লাভ-লস সমান অংশীদারীর ভিত্তিতে খাটানোর জন্য।

কিন্তু আমার উক্ত ব্যবসাদুটির বর্তমান অবস্থার ভিত্তিতে আরো পুঁজি বিনিয়োগ করা উচিত হবে বলে মনে হয় না। তাই আমি চাচ্ছিলাম আমার ঐ আত্মীয়কে না জানিয়ে তার টাকা দিয়ে জমি ভাড়া নিয়ে চাষাবাদ করার জন্য। অতপর ফসল মাড়াই করে বিক্রি করে লাভ-লস বণ্টন করার জন্য। আর সে তো লাভের জন্যই দিয়েছে।

জানতে চাচ্ছি, এভাবে টাকা খাটানোতে কোনো সমস্যা আছে কি?

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০
#১০৫২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

দুই বছর পূর্বে আমি আমার বড় ভাই থেকে আঠারো লক্ষ টাকা নিয়ে একটি কাপড়ের দোকান দিয়েছি। কথা ছিল, তার মূলধন দিয়ে আমি ব্যবসা করব। আর লভ্যাংশ আমরা সমানভাবে ভাগ করে নিব। কিন্তু দুই বছরে আমি তাকে কোনো লাভ দিতে পারিনি। কারণ, ব্যবসাটা যেহেতু মাত্র শুরু তাই ডেকোরেশন ও অন্যান্য খাতে প্রচুর খরচ হয়ে গেছে। আর মানুষের মাঝে তেমন পরিচিতিও হয়ে উঠেনি। এখন আমার ভাই এই ব্যবসা বাদ দিয়ে তার মূলধন ফিরিয়ে নিতে চাচ্ছেন। আমি চাচ্ছি, ব্যবসাটা ধরে রাখতে। কেননা, আমার প্রবল ধারণা, ব্যবসাটা থেকে ভবিষ্যতে লাভ আসবে। আর এখন যদি ব্যবসাটা বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে আমার এত দিনের শ্রম সম্পূর্ণ বৃথা যাবে। তাই জানার বিষয় হল, আমার ভাই যদি স্বেচ্ছায় ব্যবসাটা রাখতে না চায় তাহলে তাকে তা অব্যাহত রাখতে বাধ্য করতে পারব কি না?

 

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০