আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

১২- দুই ঈদের অধ্যায়

হাদীস নং: ৯২৭
আন্তর্জতিক নং: ৯৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৬২০. ঈদের দিন মহিলাগণের প্রতি ইমামের উপদেশ দেওয়া।

৯২৭। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ইবনে নসর (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) ঈদুল ফিতরের দিন দাঁড়িয়ে নামায আদায় করলেন, পরে খুতবা দিলেন। খুতবা শেষে নেমে মহিলাগণের নিকট আসলেন এবং তাদের নসীহত করলেন। তখন তিনি বিলাল (রাযিঃ) এর হাতের উপর ভর দিয়েছিলেন এবং বিলাল (রাযিঃ) তার কাপড় প্রসারিত করে ধরলেন। মহিলাগণ এতে দান সামগ্রী ফেলতে লাগলেন। আমি (ইবনে জুরাইজ) আতা (রাহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, এ কি ঈদুল ফিতরের সাদ্‌কা? তিনি বললেন না, বরং এ সাধারণ সাদ্‌কা যা তারা ঐ সময় দিচ্ছিলেন। কোন মহিলা তার আংটি দান করলে অন্যান্য মহিলাগণও তাদের আংটি দান করতে লাগলেন। আমি আতা (রাহঃ) কে আবার জিজ্ঞাসা করলাম, মহিলাগণকে উপদেশ দেওয়া কি ইমামের জন্য জরুরী? তিনি বললেন, অবশ্যই, তাদের উপর তা জরুরী। তাদের (ইমামগন) কি হয়েছে যে, তারা এরূপ করবেন না?
ইবনে জুরাইজ (রাহঃ) বলেছেন, হাসান ইবনে মুসলিম (রাহঃ) তাউস (রাহঃ) এর মাধ্যমে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, নবী (ﷺ) আবু বকর, উমর ও উসমান (রাযিঃ) এর সঙ্গে ঈদুল ফিতরে আমি উপস্থিত ছিলাম। তারা খুতবার আগে নামায আদায় করতেন, পরে খুতবা দিতেন। নবী করীম (ﷺ) বের হলেন, আমি যেন দেখতে পাচ্ছি তিনি হাতের ইশারায় (লোকদের) বসিয়ে দিচ্ছেন। এরপর তাদের কাতার ফাঁক করে অগ্রসর হয়ে মহিলাদের কাছে এলেন। বিলাল (রাযিঃ) তার সঙ্গে ছিলেন। তখন নবী (ﷺ) কুরআনের এ আয়াত পাঠ করলেনঃ يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا جَاءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ অর্থঃ হে নবী! যখন ঈমানদার মহিলাগণ আপনার নিকট এ শর্তে বায়’আত করতে আসেন......... (সূরা মুমতাহিনাঃ ১২)। এ আয়াত শেষ করে নবী (ﷺ) তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা এ বায়’আতের উপর আছ? তদের মধ্যে একজন মহিলা বলল, হ্যাঁ, সে ছাড়া আর কেউ এর জবাব দিল না। হাসান (রাহঃ) জানেন না, সে মহিলা কে? এরপর নবী (ﷺ) বললেনঃ তোমরা সাদ্‌কা কর। সে সময় বিলাল (রাযিঃ) তার কাপড় প্রসারিত করে বললেন, আমার মা-বাপ আপনাদের জন্য কুরবান হোক, আসুন, আপনারা দান করুন। তখন মহিলাগণ তাদের ছোট-বড় আংটিগুলো বিলাল (রাযিঃ) এর কাপড়ের মধ্যে ফেলতে লাগলেন।
আব্দুর রাযযাক (রাহঃ) বলেন, الفَتَخُ হল বড় আংটি যা জাহিলী যুগে ব্যবহৃত হত।


tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক নিষ্প্রয়োজন