আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
১২- দুই ঈদের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৯৫৮
৬০৮. পায়ে হেঁটে বা সওয়ারীতে আরোহণ করে ঈদের জামাআতে যাওয়া এবং আযান ও ইকামত ছাড়া খুতবার পূর্বে ঈদের নামায আদায় করা।
৯১০। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) ঈদুল ফিতরের দিন বের হতেন। এরপর খুতবার আগে নামায শুরু করেন। রাবী বলেন, আমাকে আতা (রাহঃ) বলেছেন যে, ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) এর বায়’আত গ্রহণের প্রথম দিকে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এ বলে লোক পাঠালেন যে, ঈদুল ফিতরের নামাযে আযান দেওয়া হত না এবং খুতবা দেওয়া হতো নামাযের পরে।
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে এ-ও বর্ণিত আছে যে নবী (ﷺ) দাঁড়িয়ে প্রথমে নামায আদায় করলেন এবং পরে লোকদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিলেন। যখন নবী (ﷺ) খুতবা শেষ করলেন, তিনি (মিম্বর থেকে) নেমে মহিলাগণের (কাতারে) আসলেন এবং তাদের নসীহত করলেন। তখন তিনি বিলাল (রাযিঃ) এর হাতে ভর করেছিলেন এবং বিলাল (রাযিঃ) তার কাপড় প্রসারিত করলে, মহিলাগণ এতে সাদ্কার বস্তু দিতে লাগলেন। আমি আতা (রাহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি এখনো জরুরী মনে করেন যে, ইমাম খুতবা শেষ করে মহিলাগণের নিকট এসে তাদের নসীহত করবেন? তিনি বললেন, নিশ্চয় তা তাদের জন্য অবশ্যই জরুরী। তাদের কি হয়েছে যে, তারা (উক্ত সুন্নত পালন) করবে না?
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে এ-ও বর্ণিত আছে যে নবী (ﷺ) দাঁড়িয়ে প্রথমে নামায আদায় করলেন এবং পরে লোকদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিলেন। যখন নবী (ﷺ) খুতবা শেষ করলেন, তিনি (মিম্বর থেকে) নেমে মহিলাগণের (কাতারে) আসলেন এবং তাদের নসীহত করলেন। তখন তিনি বিলাল (রাযিঃ) এর হাতে ভর করেছিলেন এবং বিলাল (রাযিঃ) তার কাপড় প্রসারিত করলে, মহিলাগণ এতে সাদ্কার বস্তু দিতে লাগলেন। আমি আতা (রাহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি এখনো জরুরী মনে করেন যে, ইমাম খুতবা শেষ করে মহিলাগণের নিকট এসে তাদের নসীহত করবেন? তিনি বললেন, নিশ্চয় তা তাদের জন্য অবশ্যই জরুরী। তাদের কি হয়েছে যে, তারা (উক্ত সুন্নত পালন) করবে না?
