আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

১১- যুদ্ধাবস্থায় নামাযের বর্ণনা

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৯৪৫
৫৯৯. দুর্গ অবরোধ ও শত্রুর মুখোমুখী অবস্থায় নামায।
ইমাম আওযায়ী (রাহঃ) বলেন, যদি অবস্থা এমন হয় যে, বিজয় আসন্ন কিন্তু শত্রুদের ভয়ে সৈন্যদের (জামাআতে) নামায আদায় করা সম্ভব নয়, তা হলে সবাই একাকী ইশারায় নামায আদায় করবে। আর যদি ইশারায় আদায় করতে না পারে তবে নামায বিলম্বিত করবে। যে পর্যন্ত না যুদ্ধ শেষ হয় বা তারা নিরাপদ হয়। তারপর দু’ রাকাআত নামায আদায় করবে। যদি (দু’রাকাআত) আদায় করতে সক্ষম না হয় তা হলে একটি রুকু ও দু’টি সিজদা (এক রাকাআত) আদায় করবে। তাও সম্ভব না হলে শুধু তাকবীর বলে নামায শেষ করা জায়েয হবে না বরং নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত নামায বিলম্ব করবে। মাকহুল (রাহঃ)-ও এ মত পোষণ করতেন।
আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন, (একটি যুদ্ধে) ভোরবেলা তুসতার দুর্গের উপর আক্রমণ চলছিলো এবং যুদ্ধ প্রচন্ডরূপ ধারণ করে, ফলে সৈন্যদের নামায আদায় করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। সূর্য উঠার বেশ পরে আমরা নামায আদায় করেছিলাম। আর আমরা তখন আবু মুসা (রাযিঃ)-এর সাথে ছিলাম, পরে সে দুর্গ আমরা জয় করেছিলাম । আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেন সে নামাযের বিনিময়ে দুনিয়া ও তার মধ্যস্থিত সব কিছুতেও আমাকে খুশী করতে পারবে না।
৮৯৮। ইয়াহয়া (ইবনে জাফর) (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, খন্দক যুদ্ধের দিন উমর (রাযিঃ) কুরাইশ গোত্রের কাফিরদের মন্দ বলতে বলতে আসলেন এবং বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সূর্য প্রায় ডুবে যাচ্ছে, অথচ আসরের নামায আদায় করতে পারিনি। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমিও তা এখনও আদায় করতে পারিনি। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তিনি মদীনার বুতহান উপত্যকায় নেমে উযু করলেন এবং সূর্য ডুবে যাওয়ার পর আসরের নামায আদায় করলেন, এরপর মাগরিবের নামায আদায় করলেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন