আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

১১- যুদ্ধাবস্থায় নামাযের বর্ণনা

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৯৪৬
৬০০. শত্রুর পশ্চাদ্ধাবনকারী ও শত্রুতাড়িত ব্যক্তির আরোহী অবস্থায় ও ইশারায় নামায আদায় করা। ওয়ালীদ (রাহঃ) বলেছেন, আমি ইমাম আওযায়ী (রাহঃ)-এর কাছে শুরাহবীল ইবনে সিমত (রাহঃ) ও তাঁর সঙ্গীগণের সওয়ার অবস্থায় তাঁদের নামাযের উল্লেখ করলাম। তখন তিনি বললেন, নামায ফাওত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে আমাদের কাছে এটাই প্রচলিত নিয়ম। এর দলীল হিসেবে ওয়ালীদ (রাহঃ) নবী (ﷺ) এর নির্দেশ পেশ করেনঃ “তোমাদের কেউ যেন বনু কুরায়যায় (এলাকায়) পৌঁছার আগে আসরের নামায আদায় না করে”।
৮৯৯। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) আহযাব যুদ্ধ থেকে ফিরে আসার পথে আমাদেরকে বললেন, বনু কুরাইযা এলাকায় পৌছার আগে কেউ যেন আসরের নামায আদায় না করে। কিন্তু অনেকের পথিমধ্যেই আসরের সময় হয়ে গেল, তখন তাদের কেউ কেউ বললেন, আমরা নামায আদায় করে নেব, আমাদের নিষেধ করার এ উদ্দেশ্য ছিল না (বরং উদ্দেশ্য ছিল তাড়াতাড়ি যাওয়া)। নবী (ﷺ) এর নিকট এ কথা উল্লেখ করা হলে, তিনি তাঁদের কারোর সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেননি।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন