আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৯- আযান-ইকামতের অধ্যায়

হাদীস নং: ৬৭০
আন্তর্জতিক নং: ৭০৫

পরিচ্ছেদঃ ৪৫৫. ইমাম নামায দীর্ঘায়িত করলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা।

৬৭০। আদম ইবনে আবু ইয়াস (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সাহাবী দু’টি পানি বহনকারী উট নিয়ে আসছিলেন। রাতের অন্ধকার তখন ঘনীভূত হয়ে এসেছে। এ সময় তিনি মুআয (রাযিঃ)-কে নামায আদায়রত পান, তিনি তার উট দুটি বসিয়ে দিয়ে মু’আয (রাযিঃ) এর দিকে (নামায আদায় করতে) এগিয়ে এলেন, মু’আয (রাযিঃ) সূরা বাকারা বা সূরা নিসা পড়তে শুরু করেন। এতে সাহাবী (জামাআত ছেড়ে) চলে যান। পরে তিনি জানতে পারেন যে, মু’আয (রাযিঃ) এর জন্য তার সমালোচনা করেছেন। তিনি নবী (ﷺ) এর নিকট এসে মু’আয (রাযিঃ) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এতে নবী (ﷺ) বললেন, হে মু’আয! তুমি কি লোকদের ফিতনায় ফেলতে চাও? বা তিনি বলেছিলেন তুমি কি ফিতনা সৃষ্টিকারী? তিনি একথা তিনবার বলেন।
তারপর তিনি বললেন, তুমি سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ, وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا এবং وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى (সূরা) দ্বারা নামায আদায় করলে না কেন? কারণ তোমার পিছনে দুর্বল, বৃদ্ধ ও হাজতমন্দ লোক নামায আদায় করে।
[শু’বা (রাহঃ) বলেন] আমার ধারণা শেষোক্ত বাক্যটিও হাদীসের অংশ। সাঈদ ইবনে মাসরুক, মিসআর এবং শাইবানী (রাহঃ)-ও অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। আমর, উবাইদুল্লাহ ইবনে মিকসাম, আবু যুবাইর (রাহঃ) জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, মু’আয (রাযিঃ) ইশার নামাযে সূরা বাকারা পাঠ করেছিলেন। আ’মাশ (রাহঃ)-ও মুহারিব (রাহঃ) সূত্রে অনুরূপ রিওয়ায়ত করেন।


tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক নিষ্প্রয়োজন