ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
২৭. ভাড়া ও মজুরি বিষয়ক অধ্যায়
হাদীস নং: ২২০৩
আযানের বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ
(২২০৩) উসমান ইবন আবিল আস রা. বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি আমাকে আমার গোত্রের ইমাম বানিয়ে দিন। তিনি বললেন, তুমি তাদের ইমাম। তুমি তাদের মধ্যে যে সবচেয়ে দুর্বল তাকে তোমার নেতা হিসাবে গণ্য করবে এবং তুমি এমন একজন মুয়াযযিন নিয়োগ করবে যে তার আযানের জন্য কোনো পারিশ্রমিক গ্রহণ করবে না।**
عن عثمان بن أبي العاص رضي الله عنه قال: قلت يا رسول الله اجعلني إمام قومي فقال: أنت إمامهم واقتد بأضعفهم واتخذ مؤذنا لا يأخذ على أذانه أجرا.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
** ['তুমি তাদের মধ্যে যে সবচেয়ে দুর্বল তাকে তোমার নেতা হিসাবে গণ্য করবে' অর্থাৎ সালাতের সময় মুকতাদিদের ভেতরের দুর্বলতম ব্যক্তির সুবিধা-অসুবিধার দিকে খেয়াল রাখবে। 'তুমি এমন একজন মুআযযিন নিয়োগ করবে...' আদেশটি মুস্তাহাব পর্যায়ের, অর্থাৎ মুআযযিনের জন্য পারিশ্রমিক গ্রহণ না করা উত্তম। ইমাম শাফিয়ির মতে পারিশ্রমিক গ্রহণ কারাহাতের সাথে বৈধ, ইমাম মালিকের মতে পারিশ্রমিক গ্রহণ করায় কোনো অসুবিধা নেই । কেউ যদি নির্দিষ্ট কোনো মসজিদে নিয়মিত আযানের দায়িত্বে নিয়োজিত হন- যে কাজে তার আলাদা ব্যস্ততা ও সময় ব্যয় জড়িত, তার জন্য পারিশ্রমিক গ্রহণ বৈধ। দেখুন: আইনি, আল বিনায়াহ ১০/২৮২; আমীর সানআনি, সুবুলুস সালাম ১/১৯১; শাওকানি, নাইলুল আওতার ২/৭০; ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, জিজ্ঞাসা ও জবাব ২/১৪০-১৪৪। -সম্পাদক]
