ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
৫. রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ১২৭৭
অন্যদেশে চাঁদ দেখা গেছে মর্মে একব্যক্তির সংবাদের মূল্য নেই
(১২৭৭) তাবিয়ি কুরাইব বলেন, উম্মুল ফাদল বিনতুল হারিস তাকে সিরিয়ায় খলীফা মুআবিয়া রা.র নিকট প্রেরণ করেন। তিনি বলেন, আমি সিরিয়ায় আগমন করে উম্মুল ফাদলের অর্পিত দায়িত্ব পালন করি। আমি সিরিয়ায় থাকতেই রামাদান মাসের চাঁদ উঠে। আমি শুক্রবারের রাত্রিতে চাঁদ দেখি । এরপর আমি মাসের শেষে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করি। তখন আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রা. আমাকে (সফরের বিষয়ে) জিজ্ঞাসা করেন। এরপর তিনি চাঁদের কথা উল্লেখ করেন । তিনি বলেন, তোমরা চাঁদ দেখেছিলে কখন? তখন আমি বললাম, আমরা শুক্রবারের রাত্রিতে চাঁদ দেখেছিলাম। তিনি বলেন, তুমি দেখেছিলে? আমি বললাম, হ্যাঁ। এবং সকল মানুষ দেখেছে এবং তারা সিয়াম পালন করেছে এবং (খলীফা) মুআবিয়া রা. নিজেও সিয়াম পালন করেছেন। তখন ইবন আব্বাস রা. বলেন, কিন্তু আমরা চাঁদ দেখেছি শনিবার রাতে । কাজেই আমার সিয়াম পালন করতেই থাকব ত্রিশদিন পূর্ণ করা পর্যন্ত অথবা চাঁদ দেখা পর্যন্ত । আমি বললাম, (রাষ্ট্রপ্রধান খলীফা) মুআবিয়ার দেখা এবং তার সিয়াম পালনের উপর নির্ভর করবেন না? তিনি বলেন, না, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে এভাবেই নির্দেশ দিয়েছেন।
عن كريب أن أم الفضل بنت الحارث بعثته إلى معاوية رضي الله عنه بالشام قال فقدمت الشام فقضيت حاجتها واستهل علي رمضان وأنا بالشام فرأيت الهلال ليلة الجمعة ثم قدمت المدينة في آخر الشهر فسألني عبد الله بن عباس رضي الله عنهما ثم ذكر الهلال فقال متى رأيتم الهلال؟ فقلت رأيناه ليلة الجمعة فقال أنت رأيته؟ فقلت نعم ورآه الناس وصاموا وصام معاوية رضي الله عنه فقال لكنا رأيناه ليلة السبت فلا نزال نصوم حتى نكمل ثلاثين أو نراه فقلت أو لا تكتفي برؤية معاوية رضي الله عنه وصيامه؟ فقال لا هكذا أمرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم
হাদীসের ব্যাখ্যা:
গ্রন্থকার বলেন, এই হাদীসের ভিত্তিতে জানা যায় যে, অন্য কোনো দেশে রামাদানের চাঁদ দেখা গিয়েছে বলে একজন মানুষ সংবাদ দিলে সেই সংবাদের উপর নির্ভর করা যাবে না। তবে যদি অন্য কোনো দেশে চাঁদ দেখা গিয়েছে বলে বহু মানুষের মাধ্যমে বা নিশ্চিত সাক্ষ্যর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় তাহলে সিয়াম শুরু করা আবশ্যক হবে। আল্লাহই ভালো জানেন।
