মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

৬. রোযার অধ্যায়

হাদীস নং: ২১৪
সফর বা ভ্রমণে রোযা না রাখার অনুমতি
২১৪। হযরত আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) পবিত্র রমযান মাসের তিন তারিখে মদীনা থেকে মক্কার দিকে রওয়ানা করেন এবং তিনি রোযা রাখেন। চলতে চলতে তিনি কুদাইদ (قديد) নামক স্থানে পৌঁছেন। তখন লোকজন তাঁকে সফরের কষ্টের কথা বলেন। তখন হুযুর (ﷺ) ইফতার করে রোযা ভঙ্গ করেন। অতঃপর মক্কা পৌঁছা পর্যন্ত তিনি রোযা রাখেন নি।
عَنِ الْهَيْثَمِ بْنِ حَبِيبٍ الصَّيْرَفِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلَيْلَتَيْنِ خَلَتَا مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ، فَصَامَ حَتَّى أَتَى قُدَيْدَ، فَشَكَا النَّاسُ الْجَهْدَ، فَأَفْطَرَ، فَلَمْ يَزَلْ يُفْطِرُ حَتَّى أَتَى مَكَّةَ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

অধিকাংশ (جمهور) উলামায়ে কিরামের এ বিষয়ে ঐকমত্য রয়েছে যে, মুসাফির সফর অবস্থায় রোযা রাখা বা না রাখা এটা তার ইচ্ছা। যদি রোযা না রাখে, তাহলে পরে এই রোযার কাযা করতে হবে। তবে কোনটি উত্তম এটা নিয়ে কিছু মতানৈক্য রয়েছে। রোযা রাখা উত্তম, না রোযা না রাখা উত্তম? কেউ কেউ উভয়ের মধ্যে পার্থক্য করেন। কেননা হাদীসে বর্ণিত আছে إن شئت فصم، وإن شئت فأفطر "যদি চাও রোযা রাখ, যদি চাও না রাখ”। কেউ রোযা রাখাকে না রাখার উপর অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আবার কেউ না রাখাকে রোযার উপর প্রাধান্য দিয়েছেন। ইমাম আবূ হানীফা (র) এবং ইমাম শাফিঈ (র) রোযা রাখা উত্তম মনে করতেন। তবে শর্ত হলো মুসাফির রোযা রাখায় সক্ষম হতে হবে। কেননা হাদীসে বর্ণিত বাক্য এটাই প্রমাণ করে فمنا الصائم ومنا المفطر فإن من قدر عليه يرجحه و اختاره فصام ومن لا فلا অর্থাৎ “আমাদের মধ্যে কেউ কেউ রোযা রাখে, আবার কেউ রোযা রাখে নি। যারা সক্ষম তারা রোযা রাখে, যারা সক্ষম ছিল না তারা রোযা রাখেনি।”
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মুসনাদে আবু হানীফা রহঃ - হাদীস নং ২১৪ | মুসলিম বাংলা