আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫৮- যবাহ করা ও শিকারের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪৯৮
২৯১১. যবাহের বস্তুর উপর বিসমিল্লাহ বলা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে যে বিসমিল্লাহ তরক করে।
ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেনঃ কেউ বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে তাতে কোন দোষ নেই।
আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেনঃ “যে সব প্রাণীর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়নি, তা থেকে আহার করো না। তা অবশ্যই গুনাহের কাজ।” আর যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যায়, তাতে গুনাহগার বলা যায় না।
আল্লাহ আরো ইরশাদ করেনঃ শয়তানরা তাদের বন্ধুদের প্ররোচনা দেয় ...... (শেষ পর্যন্ত)
ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেনঃ কেউ বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে তাতে কোন দোষ নেই।
আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেনঃ “যে সব প্রাণীর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়নি, তা থেকে আহার করো না। তা অবশ্যই গুনাহের কাজ।” আর যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যায়, তাতে গুনাহগার বলা যায় না।
আল্লাহ আরো ইরশাদ করেনঃ শয়তানরা তাদের বন্ধুদের প্ররোচনা দেয় ...... (শেষ পর্যন্ত)
৫১০২। মুসা ইবনে ইসমা‘ঈল (রাহঃ) ......... রাফি‘ ইবনে খাদীজ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা নবী করীম (ﷺ) -এর সঙ্গে যুল হুলাইফা নামক স্থানে ছিলাম। লোকজন ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ে। তখন আমরা কিছু সংখ্যক উট ও বকরি (গনীমত স্বরূপ) লাভ করি। নবী করীম (ﷺ) ছিলেন সকলের পেছনে। সবাই তাড়াতাড়ি করল এবং পাতিল চড়িয়ে দিল।
নবী করীম (ﷺ) তাদের কাছে এসে পৌছলেন। তখন তিনি পাতিলগুলো ঢেলে দিতে নির্দেশ দিলেন। পাতিলগুলো ঢেলে দেওয়া হল। তারপর তিনি (প্রাপ্ত গনিমত) বণ্টন করলেন। দশটি বকরি একটি উটের সমান গণ্য করলেন। এ সময়ে একটি উট পালিয়ে গেল। দলে অশ্বারোহীর সংখ্যা ছিল খুব কম। তারা উটটির পেছনে ছুটল কিন্তু তারা সেটি কাবু করতে ব্যর্থ হল। অবশেষে একজন উটটির প্রতি তীর নিক্ষেপ করলে আল্লাহ উটটিকে থামিয়ে দিলেন।
তখন নবী করীম (ﷺ) বললেনঃ এ সকল চতুষ্পদ প্রাণীর মধ্যে বন্য জানোয়ারের ন্যায় পালিয়ে যাওয়ার স্বভাব আছে। কাজেই যখন কোন প্রাণী তোমাদের থেকে পালিয়ে যায়, তখন তার সাথে তোমরা অনুরূপ ব্যবহার করবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমার দাদা বলেছেন, আমরা আশা করছিলাম কিংবা তিনি বলেছেন, আমরা আশঙ্কা করছিলাম যে আগামীকাল আমরা শত্রুদের সম্মুখীন হতে পারি। অথচ আমাদের নিকট কোন ছুরি নেই। তাহলে আমরা কি বাঁশের (বাখারী) দিয়ে যবেহ কববো? নবী করীম (ﷺ) বললেনঃ যে জিনিস রক্ত প্রবাহিত করে দেয় এবং তাতে বিসমিল্লাহ বলা হয়, তা খাও। তবে দাঁত ও নখ দিয়ে নয়। এ সম্পর্কে আমি তোমাদের অবহিত করছি যে, দাঁত হল হাড় বিশেষ, আর নখ হল হাবশী সম্প্রদায়ের ছুরি।
নবী করীম (ﷺ) তাদের কাছে এসে পৌছলেন। তখন তিনি পাতিলগুলো ঢেলে দিতে নির্দেশ দিলেন। পাতিলগুলো ঢেলে দেওয়া হল। তারপর তিনি (প্রাপ্ত গনিমত) বণ্টন করলেন। দশটি বকরি একটি উটের সমান গণ্য করলেন। এ সময়ে একটি উট পালিয়ে গেল। দলে অশ্বারোহীর সংখ্যা ছিল খুব কম। তারা উটটির পেছনে ছুটল কিন্তু তারা সেটি কাবু করতে ব্যর্থ হল। অবশেষে একজন উটটির প্রতি তীর নিক্ষেপ করলে আল্লাহ উটটিকে থামিয়ে দিলেন।
তখন নবী করীম (ﷺ) বললেনঃ এ সকল চতুষ্পদ প্রাণীর মধ্যে বন্য জানোয়ারের ন্যায় পালিয়ে যাওয়ার স্বভাব আছে। কাজেই যখন কোন প্রাণী তোমাদের থেকে পালিয়ে যায়, তখন তার সাথে তোমরা অনুরূপ ব্যবহার করবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমার দাদা বলেছেন, আমরা আশা করছিলাম কিংবা তিনি বলেছেন, আমরা আশঙ্কা করছিলাম যে আগামীকাল আমরা শত্রুদের সম্মুখীন হতে পারি। অথচ আমাদের নিকট কোন ছুরি নেই। তাহলে আমরা কি বাঁশের (বাখারী) দিয়ে যবেহ কববো? নবী করীম (ﷺ) বললেনঃ যে জিনিস রক্ত প্রবাহিত করে দেয় এবং তাতে বিসমিল্লাহ বলা হয়, তা খাও। তবে দাঁত ও নখ দিয়ে নয়। এ সম্পর্কে আমি তোমাদের অবহিত করছি যে, দাঁত হল হাড় বিশেষ, আর নখ হল হাবশী সম্প্রদায়ের ছুরি।


বর্ণনাকারী: