আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫১৩
২২৮৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে যাবত ফিতনা দূরিভুত না হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না হয়। যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তবে যালিমদের ব্যতীত আর কাউকেও আক্রমণ করা চলবে না। (২ঃ ১৯৩)
৪১৬১। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তাঁর কাছে দুই ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইরকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ফিতনার সময় আগমন করল এবং বলল, লোকেরা সব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আর আপনি উমর (রাযিঃ) এর পুত্র এবং নবী (ﷺ) এর সাহাবী! কি কারণে আপনি বের হন না? তিনি উত্তর দিলেন আমাকে নিষেধ করেছে এ কথা- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা আমার ভাইয়ের রক্ত হারাম করেছেন। তারা দু’জন বললেন, আল্লাহ কি এ কথা বলেননি যে, তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ কর যাবত না ফিতনার অবসান ঘটে। তখন ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি যাবত না ফিতনার অবসান ঘটেছে এবং দ্বীনও আল্লাহর জন্য হয়ে গেছে। আর তোমরা ফিতনা প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করার ইচ্ছা করছ আর যেন আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য দ্বীন হয়ে যায়।
উসমান ইবনে সালিহ ইবনে ওয়াহব (রাহঃ) সূত্রে নাফে (রাহঃ) থেকে কিছু বাড়িয়ে বলেন যে, এক ব্যক্তি ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর নিকট এসে বলল, হে আবু আব্দুর রহমান! কি করণে আপনি এক বছর হজ্জ করেন এবং একবছর উমরা করেন অথচ আপনি আল্লাহর পথে জিহাদ পরিত্যাগ করেছেন? আপনি পরিজ্ঞাত আছেন যে, আল্লাহ এ বিষয়ে জিহাদ সম্পর্কে কিভাবে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, হে ভাতিজা; ইসলামের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে পাঁচটি বস্তুর উপরঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনা, পাঁচ ওয়াক্ত নামায প্রতিষ্ঠা, রমযানের রোযা পালন, যাকাত প্রদান এবং বায়তুল্লাহর হজ্জ উদযাপন। তখন সে ব্যক্তি বলল, হে আবু আব্দুর রহমান! আল্লাহ তাআলা তাঁর কিতাবে কি বর্ণনা করেছেন তা কি আপনি শুনেননি?وَإِنْ طَائِفَتَانِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ اقْتَتَلُوا فَأَصْلِحُوا بَيْنَهُمَا) (إِلَى أَمْرِ اللَّهِ) (قَاتِلُوهُمْ حَتَّى لاَ تَكُونَ فِتْنَةٌ অর্থাৎ মু’মিনদের দু’দল দ্বন্ধে লিপ্ত হলে তোমরা তাদের মধ্যে মীমাংশা করে দিবে। এরপর তাদের একদল অপর দলকে আক্রমণ করলে তোমরা আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে যতক্ষণ না তারা আল্লাহর নির্দেশের দিকে ফিরে আসে। যদি তারা ফিরে আসে-তবে তাদের মধ্যে ন্যায়ের সাথে ফায়সালা করবে এবং সুবিচার করবে। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালবাসেন। (৪৯: ৯)
قَاتِلُوهُمْ حَتَّى لاَ تَكُونَ فِتْنَةٌ الاية (এ আয়াতগুলো শ্রবণ করার পর) ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, আমরা এ কাজ রাসূল (ﷺ) এর যুগে করেছি এবং তখন ইসলামের অনুসারীর দল স্বল্পসংখ্যক ছিল। যদি কোন লোক দ্বীন সম্পর্কে ফিতনায় নিপতিত হতো তখন হয় তাকে হত্যা করা হত অথবা শাস্তি প্রদান করা হত। এভাবে ইসলামের অনুসারীর সংখ্যা বেড়ে গেল। তখন আর কোন ফিতনা রইল না। সে ব্যক্তি বলল, আলী ও উসমান (রাযিঃ) সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? তিনি বললেন, উসমান (রাযিঃ)-কে তো আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করেছেন অথচ তোমরা তাঁকে ক্ষমা করা পছন্দ করো না। আর আলী (রাযিঃ)-তিনি তো রাসূল (ﷺ) এর চাচাতো ভাই এবং তাঁর জামাতা। তিনি নিজ হাত দ্বারা ইশারা করে বলেন, এই তো তাঁর ঘর [রাসূল (ﷺ) এর ঘরের কাছে] যেমন তোমরা দেখতে পাচ্ছ।
উসমান ইবনে সালিহ ইবনে ওয়াহব (রাহঃ) সূত্রে নাফে (রাহঃ) থেকে কিছু বাড়িয়ে বলেন যে, এক ব্যক্তি ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর নিকট এসে বলল, হে আবু আব্দুর রহমান! কি করণে আপনি এক বছর হজ্জ করেন এবং একবছর উমরা করেন অথচ আপনি আল্লাহর পথে জিহাদ পরিত্যাগ করেছেন? আপনি পরিজ্ঞাত আছেন যে, আল্লাহ এ বিষয়ে জিহাদ সম্পর্কে কিভাবে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, হে ভাতিজা; ইসলামের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে পাঁচটি বস্তুর উপরঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনা, পাঁচ ওয়াক্ত নামায প্রতিষ্ঠা, রমযানের রোযা পালন, যাকাত প্রদান এবং বায়তুল্লাহর হজ্জ উদযাপন। তখন সে ব্যক্তি বলল, হে আবু আব্দুর রহমান! আল্লাহ তাআলা তাঁর কিতাবে কি বর্ণনা করেছেন তা কি আপনি শুনেননি?وَإِنْ طَائِفَتَانِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ اقْتَتَلُوا فَأَصْلِحُوا بَيْنَهُمَا) (إِلَى أَمْرِ اللَّهِ) (قَاتِلُوهُمْ حَتَّى لاَ تَكُونَ فِتْنَةٌ অর্থাৎ মু’মিনদের দু’দল দ্বন্ধে লিপ্ত হলে তোমরা তাদের মধ্যে মীমাংশা করে দিবে। এরপর তাদের একদল অপর দলকে আক্রমণ করলে তোমরা আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে যতক্ষণ না তারা আল্লাহর নির্দেশের দিকে ফিরে আসে। যদি তারা ফিরে আসে-তবে তাদের মধ্যে ন্যায়ের সাথে ফায়সালা করবে এবং সুবিচার করবে। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালবাসেন। (৪৯: ৯)
قَاتِلُوهُمْ حَتَّى لاَ تَكُونَ فِتْنَةٌ الاية (এ আয়াতগুলো শ্রবণ করার পর) ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, আমরা এ কাজ রাসূল (ﷺ) এর যুগে করেছি এবং তখন ইসলামের অনুসারীর দল স্বল্পসংখ্যক ছিল। যদি কোন লোক দ্বীন সম্পর্কে ফিতনায় নিপতিত হতো তখন হয় তাকে হত্যা করা হত অথবা শাস্তি প্রদান করা হত। এভাবে ইসলামের অনুসারীর সংখ্যা বেড়ে গেল। তখন আর কোন ফিতনা রইল না। সে ব্যক্তি বলল, আলী ও উসমান (রাযিঃ) সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? তিনি বললেন, উসমান (রাযিঃ)-কে তো আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করেছেন অথচ তোমরা তাঁকে ক্ষমা করা পছন্দ করো না। আর আলী (রাযিঃ)-তিনি তো রাসূল (ﷺ) এর চাচাতো ভাই এবং তাঁর জামাতা। তিনি নিজ হাত দ্বারা ইশারা করে বলেন, এই তো তাঁর ঘর [রাসূল (ﷺ) এর ঘরের কাছে] যেমন তোমরা দেখতে পাচ্ছ।
