আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ

হাদীস নং: ৩৯৮৫
আন্তর্জতিক নং: ৪৩২০

পরিচ্ছেদঃ ২২১৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং হুনায়নের যুদ্ধের দিন যখন তোমাদেরকে (মুসলমানদিগকে) উৎফুল্ল করেছিল তোমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা, কিন্তু তা তোমাদের কোন কাজে আসেনি এবং বিস্তৃত হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবী তোমাদের জন্য সংকুচিত হয়ে গিয়েছিল শেষে তোমরা পৃষ্ঠ-প্রদর্শন করে পলায়ন করেছিলে। এরপর আল্লাহ তার কাছ থেকে তার রাসুল ও মু’মিনের উপর প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং (তাদের সাহায্যার্থে) এমন এক সৈন্যবেহিনী নাযিল করেন যাদেরকে তোমরা দেখতে পাওনি এবং তিনি তাদের দ্বারা কাফেরদিগকে শাস্তি প্রদান করেছেন। এটাই কাফিরদের কর্মফল। এরপরও (মু’মিনদের মধ্যে) যার প্রতি তিনি ইচ্ছা করবেন তার ক্ষেত্রে তিনি ক্ষমাপরায়ণও হতে পারেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (৯ঃ ২৫-২৭)

৩৯৮৫। আবু নু‘মান (রাহঃ) .... নাফি (সাখতিয়ানী) (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উমর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! .... হাদসিটি অন্য সনদে মুহাম্মাদ ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা হুনায়নের যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন করার কালে উমর (রাযিঃ) নবী কারীম (ﷺ)- কে জাহিলীয়্যাতের যুগে মান্নত করা তাঁর একটি ই’তিকাফ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। নবী কারীম (ﷺ) তাঁকে সেটি পূরণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কেউ কেউ বলেছেন হাদীসটি হাম্মাদ-আইয়ুব-নাফে (রাহঃ) ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। তাছাড়া জারীর ইবনে হাযিম এবং হাম্মাদ ইবনে সালাম (রাহঃ)-ও এ হাদীসটি আইয়ুব, নাফে (রাহঃ) ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে নবী কারীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন।


tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক নিষ্প্রয়োজন