আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ

হাদীস নং: ৩৯৬৫
আন্তর্জতিক নং: ৪২৯৫

পরিচ্ছেদঃ ২২১৪. মক্কা বিজয়ের দিন নবী কারীম (ﷺ)- এর অবস্থানস্থল

৩৯৬৫। সাঈদ ইবনে শুরাহবীল (রাহঃ) .... আবু শুরায়হিল আদাবী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, (মদীনার শাসনকর্তা) আমর ইবনে সাঈদ যে সময় মক্কা অভিমুখে সৈন্যবেহিনী প্রেরণ করছিলেন তখন আবু শুরায়হিল আদাবী (রাযিঃ) তাকে বলেছিলেন, হে আমাদের আমীর! আপনি আমাকে একটু অনুমতি দিন, আমি আপনাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর একটি বাণী শোনাবো, যেটি তিনি মক্কা বিজয়ের পরের দিন বলেছিলেন। সেই বাণীটি আমার দু’কান শুনেছে। আমার হৃদয় তা হিফাজত করে রেখেছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন সে কথাটি বলছিলেন তখন আমার দু’চোখ তাঁকে অবলোকন করেছে। প্রথমে তিনি [নবী কারীম (ﷺ)] আল্লাহর প্রশংসা করেন এবং সানা পাঠ করেন। এরপর তিনি বলেন, আল্লাহ্ নিজে মক্কাকে হারাম ঘোষণা দিয়েছেন। কোন মানুষ এ ঘোষণা দেয়নি। কাজেই যে ব্যক্তি আল্লাহ্ এবং কিয়ামত দিবসের উপর ঈমান এনেছে তার পক্ষে (অন্যায়ভাবে) সেখানে রক্তপাত করা কিংবা এখানকার গাছপালা কর্তন করা কিছুতেই হালাল নয়।
আর আল্লাহর রাসূলের সে স্থানে লড়াইয়ের কথা বলে যদি কেউ নিজের জন্যও সুযোগ করে নিতে চায় তবে তোমরা তাকে বলে দিও, আল্লাহ্ তাঁর রাসূলের ক্ষেত্রে (বিশেষভাবে) অনুমতি দিয়েছিলেন, তোমাদের জন্য কোন অনুমতি দেননি। আর আমার ক্ষেত্রেও তা একদিনের কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্যই কেবল অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এরপর সেদিনই তা পুনরায় সেরূপ হারাম হয়ে গেছে যেরূপে তা একদিন পূর্বে হারাম ছিল। উপস্থিত লোকজন (এ কথাটি) অনুপস্থিত লোকদের কাছে পৌঁছিয়ে দেবে।
(বর্ণনাকারী বলেন) পরবর্তী সময়ে আবু শুরায়হ (রাযিঃ)- কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, (হাদীসটি শোনার পর) আমর ইবনে সাঈদ আপনাকে কি উত্তর করেছিলেন? তিনি বললেন, আমর আমাকে বললেন, হে আবু শুরায়হ! হাদীসটির বিষয়ে আমি তোমার চেয়ে অধিক অবগত আছি। (কথা ঠিক) কিন্তু, হারামে মক্কা কোন অপরাধী বা খুন থেকে পলায়নকারী কিংবা কোন চোর বা বিপর্যয় সৃষ্টিকারীকে আশ্রয় দেয় না।


tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক নিষ্প্রয়োজন