আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৭২
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৬৩। আহমাদ ইবনে ইসহাক (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে দিয়েছি সুস্পষ্ট বিজয়”। তিনি বলেনঃ এ আয়াতটিতে فَتْحًا مُبِينًا (সুস্পষ্ট বিজয়)* বলে হুদায়বিয়ার সন্ধিকেই বোঝানো হয়েছে। (আয়াতটি নাযিল হওয়ার পর) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাহাবীগণ বললেন, (আপনার জন্য তো) এটা খুশী ও আনন্দের ব্যাপার। কিন্তু আমাদের জন্য কিছু আছে কি? তখন আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেন, لِيُدْخِلَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ جَنَّاتٍ “এটা এ জন্য যে, তিনি মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারীগণকে দাখিল করবেন জান্নাতে।” শু’বা (রাহঃ) বলেন, এরপর আমি কুফায় পৌছলাম এবং কাতাদা থেকে বর্ণিত হাদীসটির সবটুকু বর্ণনা করলাম, এরপর কুফা থেকে ফিরে সে কাতাদাকে সবকিছু জানালে তিনি বললেন, إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ (এর অর্থ হুদায়বিয়ায় অনুষ্ঠিত বায়আতে রিদওয়ান) আয়াতখানা আনাস থেকে বর্ণিত। আর هَنِيئًا مَرِيئًا কথাটি ইকরিমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।
*৬ হিজরী মোতাবেক ৬২৮ খ্রীস্টাব্দে ১৪০০ সাহাবীকে সঙ্গে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উমরা করার উদ্দেশ্যে মক্কাভিমুখে রওয়ানা হন। মক্কার মুশরিকরা তাঁদেরকে উমরা করতে বাঁধা দিবে, এ আশঙ্কায় তাঁরা মক্কার তিন মাইল উত্তরে হুদায়বিয়ায় শিবির স্থাপন করেন। এরপর আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মক্কাবাসীদের সাথে সন্ধি হয়। সন্ধির শর্তগুলো আপাতদৃষ্টিতে মুসলিমদের জন্য অবমাননাকর মনে হলেও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শাস্তির খাতিরে তা মেনে নিয়েছিলেন। সন্ধির শর্তানুযায়ী উমরা না করেই তাঁরা মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন। পথিমধ্যে সূরাটি অবতীর্ণ হয়। অধিকাংশ তাফসীরকারের মতে এ সন্ধিকে আল্লাহ স্পষ্ট বিজয় বলে ঘোষণা করেছেন। এতে বোঝা যাচ্ছে যে, কেবল জাহিরী বিজয়ই প্রকৃত বিজয় নয়। বরং জাহিরের বিপরীত অবস্থাতেও বিজয় নিহিত থাকে কখনো।
*৬ হিজরী মোতাবেক ৬২৮ খ্রীস্টাব্দে ১৪০০ সাহাবীকে সঙ্গে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উমরা করার উদ্দেশ্যে মক্কাভিমুখে রওয়ানা হন। মক্কার মুশরিকরা তাঁদেরকে উমরা করতে বাঁধা দিবে, এ আশঙ্কায় তাঁরা মক্কার তিন মাইল উত্তরে হুদায়বিয়ায় শিবির স্থাপন করেন। এরপর আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মক্কাবাসীদের সাথে সন্ধি হয়। সন্ধির শর্তগুলো আপাতদৃষ্টিতে মুসলিমদের জন্য অবমাননাকর মনে হলেও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শাস্তির খাতিরে তা মেনে নিয়েছিলেন। সন্ধির শর্তানুযায়ী উমরা না করেই তাঁরা মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন। পথিমধ্যে সূরাটি অবতীর্ণ হয়। অধিকাংশ তাফসীরকারের মতে এ সন্ধিকে আল্লাহ স্পষ্ট বিজয় বলে ঘোষণা করেছেন। এতে বোঝা যাচ্ছে যে, কেবল জাহিরী বিজয়ই প্রকৃত বিজয় নয়। বরং জাহিরের বিপরীত অবস্থাতেও বিজয় নিহিত থাকে কখনো।
