মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৫- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৪৬৫
৪৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৬৫। হযরত বারা ইবনে আযেব (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইল, কোরবানীতে কোন্ রকমের পশু হইতে বাঁচা উচিত? হুযূর (ﷺ) আপন হাত দ্বারা ইশারা করিয়া বলিলেন, চারি রকমের পশু হইতে— খোঁড়া—যাহার খোঁড়ামি সুস্পষ্ট, কানা—যাহার কানামি সুস্পষ্ট, রুগ্ন—যাহার রোগ সুস্পষ্ট এবং দুর্বল—যাহার হাড়ের মজ্জা নাই। (অর্থাৎ, শুকাইয়া গিয়াছে।) — মালেক, আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী
وَعَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ: مَاذَا يُتَّقَى مِنَ الضَّحَايَا؟ فَأَشَارَ بِيَدِهِ فَقَالَ: «أَرْبَعًا الْعَرْجَاءُ والبين ظلعها والعرواء الْبَيِّنُ عَوَرُهَا وَالْمَرِيضَةُ الْبَيِّنُ مَرَضُهَا وَالْعَجْفَاءُ الَّتِي لَا تَنْقَى» . رَوَاهُ مَالِكٌ وَأَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এই হাদীস তিনটির ব্যাখ্যায় হানাফী ফকীহগণ বলিয়াছেন যে, কান ও লেজ খাদ্যবস্তু। অতএব, ইহার বেশির ভাগ কাটা গেলে অর্থাৎ, না থাকিলে কোরবানী হইবে না। শিং খাদ্যবস্তু নহে। সুতরাং শিং সম্পূর্ণ ভাঙ্গিয়া গেলেও উহা দ্বারা কোরবানী জায়েয। আর হুযূরের ‘নেহী' (নিষেধ) এখানে 'নেহী তানযিহী'। অর্থাৎ, এইরূপ পশু দ্বারা কোরবানী করা উত্তম নহে। 'দুর্বল ও খোঁড়া' অর্থে তাঁহারা এইরূপ দুর্বল ও খোঁড়াকেই বুঝেন যাহা কোরবানীর স্থান পর্যন্ত হাঁটিয়া যাইতে পারে না। 'কানা' অর্থে যাহার এক চোখের অধিকাংশ জ্যোতি নষ্ট হইয়া গিয়াছে। ইহা পরীক্ষার নিয়ম ফেকাহর কিতাবে বিবৃত হইয়াছে। মোটকথা, জায়েয হইলেও এইরূপ বিকলাঙ্গ পশু আল্লাহর নামে না দেওয়াই বাঞ্ছনীয়।
