আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
হাদীস নং: ৭৮
৪১- যে ব্যক্তি এক বা একাধিক কণ্যা সন্তান প্রতিপালন কর
৭৮। হযরত জাবির ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ফরমাইয়াছেন ও যাহার তিনটি কন্যা আছে, সে তাহাদিগকে আশ্রয় দান করে, তাহাদের সমস্ত ব্যয়নির্বাহ করে এবং তাহাদের সহিত দয়ার্দ্র ব্যবহার করে, তাহার জন্য বেহেশত অবধারিত। উপস্থিত জনতার মধ্য হইতে একজন প্রশ্ন করিল ঃ যদি কাহারও দুইটি কন্যা সন্তান হয়, ইয়া রাসূলাল্লাহ! জবাবে তিনি ফরমাইলেন ঃ দুইটি কন্যা হইলেও।
بَابُ مَنْ عَالَ جَارِيَتَيْنِ أَوْ وَاحِدَةً
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ قَالَ: حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَهُمْ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: مَنْ كَانَ لَهُ ثَلاَثُ بَنَاتٍ، يُؤْوِيهِنَّ، وَيَكْفِيهِنَّ، وَيَرْحَمُهُنَّ، فَقَدْ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ الْبَتَّةَ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ بَعْضِ الْقَوْمِ: وَثِنْتَيْنِ، يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ: وَثِنْتَيْنِ.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এই অধ্যায়ে বর্ণিত দ্বিতীয় হাদীসখানা ইবন মাজাও সহীহ্ সনদ উদ্ধৃত করিয়া বর্ণনা করিয়াছেন। তৃতীয় হাদীসখানা আহমাদ, বাযার এবং তাবারানীও উদ্ধৃত করিয়াছেন। অবশ্য, তাবারানী তদীয় কিতাব ‘আওসাত'-এ ইহার সাথে আরও একটি কথা বেশী উদ্ধৃত করিয়াছেন। তাহা হইল-“এবং তাহার বিবাহও দিয়া দেয়।”
মুসলিম শরীফে উদ্ভূত হযরত আনাস (রা)-এর রিওয়ায়েতে এরূপ আছে রাসূলুল্লাহ (সা) ফরমাইলেন ঃ যে ব্যক্তি দুইটি কন্যা সন্তানকে তাহাদের বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়া পর্যন্ত প্রতিপালন করিল কিয়ামতের দিন সে এবং আমি এরূপ অবস্থান করিব-যেমন দুইটি অঙ্গুলির অবস্থান-এ কথা বলিয়া তিনি অঙ্গুলিসমূহকে একত্রিত করিয়া দেখাইলেন।
তিরমিযী শরীফেও অনুরূপ একটি হাদীস উদ্ধৃত করা হইয়াছে।
ইসলাম-পূর্ব জাহিলিয়াতের যুগে যখন কন্যাসন্তানকে জীবন্ত প্রােথিত করার ঘৃণ্য মানসিকতা ব্যাপকভাবে বিরাজমান ছিল, ঠিক সেই সময় ইসলাম আসিয়া ইহাদের প্রতিপালনের বিরাট পুণ্যের কথা ঘােষণা করিল। শুধু তাহাই নহে, যুগপৎভাবে স্বামী ও পিতার সম্পত্তিতে তাহাদের উত্তরাধিকার সত্বের কথাও ইসলাম ঘােষণা করিল। সেবিকা হইতে তাহারা উন্নীত হইলেন সহধর্মিনীতে। ঘােষিত হইল ঃ
هُنَّ لِبَاسٌ لَكُمْ وَأَنْتُمْ لِبَاسٌ لَهُنَّ
“তাহারা তােমাদের পরিচ্ছদ স্বরূপ আর তােমরা তাহাদের পরিচ্ছদস্বরূপ।” কুরআন নারী জাতির মানােন্নয়ন ও মর্যাদা বিধানের যে সুদূর প্রসারী কর্মসূচী ইসলামের দ্বারা বাস্তবায়িত হয়, উহার প্রথম পর্যায়ে বলা যাইতে পারে এই কন্যাসন্তান প্রতিপালনের উৎসাহ প্রদানকে। ইদানীং বিজাতীয় পণপ্রথা তথা যৌতুক প্রথার ব্যাপক প্রাদুর্ভাব। মুসলমান সমাজেও ঘটার কারণে কন্যা সন্তান জাহিলিয়াতের যুগের মতই অবাঞ্ছিত ও অপাংক্তেয় বিবেচিত হইতেছে। ফলে নবী করীম (সা)-এর বর্ণিত কন্যাসন্তান প্রতিপালনের বিরাট পুণ্যও আজ আর আকর্ষণীয় বােধ হইতেছে না। এই অবাঞ্ছিত অবস্থার অবসান হওয়া উচিত।
মুসলিম শরীফে উদ্ভূত হযরত আনাস (রা)-এর রিওয়ায়েতে এরূপ আছে রাসূলুল্লাহ (সা) ফরমাইলেন ঃ যে ব্যক্তি দুইটি কন্যা সন্তানকে তাহাদের বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়া পর্যন্ত প্রতিপালন করিল কিয়ামতের দিন সে এবং আমি এরূপ অবস্থান করিব-যেমন দুইটি অঙ্গুলির অবস্থান-এ কথা বলিয়া তিনি অঙ্গুলিসমূহকে একত্রিত করিয়া দেখাইলেন।
তিরমিযী শরীফেও অনুরূপ একটি হাদীস উদ্ধৃত করা হইয়াছে।
ইসলাম-পূর্ব জাহিলিয়াতের যুগে যখন কন্যাসন্তানকে জীবন্ত প্রােথিত করার ঘৃণ্য মানসিকতা ব্যাপকভাবে বিরাজমান ছিল, ঠিক সেই সময় ইসলাম আসিয়া ইহাদের প্রতিপালনের বিরাট পুণ্যের কথা ঘােষণা করিল। শুধু তাহাই নহে, যুগপৎভাবে স্বামী ও পিতার সম্পত্তিতে তাহাদের উত্তরাধিকার সত্বের কথাও ইসলাম ঘােষণা করিল। সেবিকা হইতে তাহারা উন্নীত হইলেন সহধর্মিনীতে। ঘােষিত হইল ঃ
هُنَّ لِبَاسٌ لَكُمْ وَأَنْتُمْ لِبَاسٌ لَهُنَّ
“তাহারা তােমাদের পরিচ্ছদ স্বরূপ আর তােমরা তাহাদের পরিচ্ছদস্বরূপ।” কুরআন নারী জাতির মানােন্নয়ন ও মর্যাদা বিধানের যে সুদূর প্রসারী কর্মসূচী ইসলামের দ্বারা বাস্তবায়িত হয়, উহার প্রথম পর্যায়ে বলা যাইতে পারে এই কন্যাসন্তান প্রতিপালনের উৎসাহ প্রদানকে। ইদানীং বিজাতীয় পণপ্রথা তথা যৌতুক প্রথার ব্যাপক প্রাদুর্ভাব। মুসলমান সমাজেও ঘটার কারণে কন্যা সন্তান জাহিলিয়াতের যুগের মতই অবাঞ্ছিত ও অপাংক্তেয় বিবেচিত হইতেছে। ফলে নবী করীম (সা)-এর বর্ণিত কন্যাসন্তান প্রতিপালনের বিরাট পুণ্যও আজ আর আকর্ষণীয় বােধ হইতেছে না। এই অবাঞ্ছিত অবস্থার অবসান হওয়া উচিত।
