আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
হাদীস নং: ২২
১১- পিতামাতার সহিত সদ্ব্যবহারে আয়ু বৃদ্ধি।
২২। সাহল ইবন মু'আয তদীয় পিতার বরাত দিয়া বলেন যে, নবী করীম (ﷺ) ফরমাইয়াছেনঃ যে ব্যক্তি পিতামাতার সহিত সদ্ব্যবহার করিল, তাহার জন্য শুভ সংবাদ। আল্লাহ্ তা'আলা তাহার আয়ু বৃদ্ধি করেন।
بَابُ مَنْ بَرَّ وَالِدَيْهِ زَادَ اللَّهُ فِي عُمْرِهِ
حَدَّثَنَا أَصْبَغُ بْنُ الْفَرَجِ قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ زَبَّانَ بْنِ فَائِدٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: مَنْ بَرَّ وَالِدَيْهِ طُوبَى لَهُ، زَادَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي عُمْرِهِ.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
বৃদ্ধাবস্থায় পিতামাতার উপযুক্ত সেবা-শুশ্রুষার দ্বারা নিশ্চিতভাবে বেহেশত লাভ করা যায় বলিয়া হাদীস পাঠে জানা যায়। ধুল ধূসরিত হওয়া দ্বারা আরবী বাকধারায় কাহারাে সর্বনাশ হওয়া বুঝানাে হইয়া থাকে। উহা কতেকটা আমাদের ‘তাহার মুখে ছাই পড়ুক' জাতীয় কথা ।
জাবির ইবন সামুরা (রা) কর্তৃক বর্ণিত অন্য একটি হাদীসে আছে রাসূলুল্লাহ্ (সা) ফরমান ঃ
***
“একদা জিব্রীল (আ) আমার নিকট আসিলেন এবং বলিলেন ঃ হে মুহাম্মদ! যে ব্যক্তি পিতামাতার মধ্যকার কোন একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পাইল এবং মৃত্যুর পর দোযখে গেল, আল্লাহ তাঁহার রহমত হইতে তাহাকে দূর করুন! আপনি 'আমীন' বলুন, তখন আমি বলিলাম ‘আমীন।
হযরত আবু হুরায়রা (রা) বর্ণিত এই মর্মে হাদীসে এই কথাটুকু বেশী আছে ***
“আর তাঁহাদের সহিত সদ্ব্যবহার করিল না” -ইবন হিব্বান
নিম্নলিখিত মারফু হাদীসগুলিতেও উক্ত কথার সমর্থন মিলেঃ
হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর বরাতে বর্ণনা করিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি ইহা ভালবাসে যে তাহার আয়ু বৃদ্ধি হউক এবং জীবিকা বর্ধিত হউক, তাহার উচিত তাহার পিতামাতার প্রতি সদাচারী হওয়া। -আহমাদ
হযরত সাওবান (রা) বর্ণিত মারফু হাদীসে আছে যে, কোন ব্যক্তি রিযিক হইতে বঞ্চিত হয় না, তবে তাহার কৃত গােনাহের দরুন, ভাগ্যলিপি পরিবর্তিত হয় না, তবে দু'আ ও সদাচরণ দ্বারা।
-ইবন মাজা, ইবন হিব্বান, হাকিম
হযরত সালমান (রা) হইতেও এই মর্মে একটি মারফু রিওয়ায়েতে আছে যে, ভাগ্যলিপি কিছুই খাইতে পারে না তবে দু'আ (তাহা পারে) আর আয়ু বৃদ্ধি করে না, তবে সদাচরণ। -তিরমিযী
শেষােক্ত হাদীসে ‘সদাচরণ' শব্দটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হইলেও সদাচরণের সর্বাধিক হার যে পিতামাতা, তাহার পূর্বেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিরােনামের অধীনে বর্ণিত হাদীসসমূহে ব্যক্ত হইয়াছে। এছাড়া সাধারণভাবে সদাচরণ দ্বারা যদি আয়ু বৃদ্ধি ঘটিতে পারে, তবে সদাচরণের সর্বাধিক হকদারগণের সহিত সদাচরণ যে এ ব্যাপারে সমধিক কার্যকরী হইবে, তাহা বলাই বাহুল্য।
ইবন উমর (রা) বর্ণিত হাদীসে আছে ও তােমরা তােমাদের পিতাদের সহিত সদ্ব্যবহার করিবে, তাহা হইলে তােমাদের পুত্ররাও তােমাদের সহিত সদ্ব্যবহার করিবে আর তােমরা শ্লীলতা রক্ষা করিয়া চলিবে তাহা হইলে তােমাদের স্ত্রীরাও শ্লীলতা রক্ষা করিয়া চলিবে। -তাবারানী
জাবির ইবন সামুরা (রা) কর্তৃক বর্ণিত অন্য একটি হাদীসে আছে রাসূলুল্লাহ্ (সা) ফরমান ঃ
***
“একদা জিব্রীল (আ) আমার নিকট আসিলেন এবং বলিলেন ঃ হে মুহাম্মদ! যে ব্যক্তি পিতামাতার মধ্যকার কোন একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পাইল এবং মৃত্যুর পর দোযখে গেল, আল্লাহ তাঁহার রহমত হইতে তাহাকে দূর করুন! আপনি 'আমীন' বলুন, তখন আমি বলিলাম ‘আমীন।
হযরত আবু হুরায়রা (রা) বর্ণিত এই মর্মে হাদীসে এই কথাটুকু বেশী আছে ***
“আর তাঁহাদের সহিত সদ্ব্যবহার করিল না” -ইবন হিব্বান
নিম্নলিখিত মারফু হাদীসগুলিতেও উক্ত কথার সমর্থন মিলেঃ
হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর বরাতে বর্ণনা করিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি ইহা ভালবাসে যে তাহার আয়ু বৃদ্ধি হউক এবং জীবিকা বর্ধিত হউক, তাহার উচিত তাহার পিতামাতার প্রতি সদাচারী হওয়া। -আহমাদ
হযরত সাওবান (রা) বর্ণিত মারফু হাদীসে আছে যে, কোন ব্যক্তি রিযিক হইতে বঞ্চিত হয় না, তবে তাহার কৃত গােনাহের দরুন, ভাগ্যলিপি পরিবর্তিত হয় না, তবে দু'আ ও সদাচরণ দ্বারা।
-ইবন মাজা, ইবন হিব্বান, হাকিম
হযরত সালমান (রা) হইতেও এই মর্মে একটি মারফু রিওয়ায়েতে আছে যে, ভাগ্যলিপি কিছুই খাইতে পারে না তবে দু'আ (তাহা পারে) আর আয়ু বৃদ্ধি করে না, তবে সদাচরণ। -তিরমিযী
শেষােক্ত হাদীসে ‘সদাচরণ' শব্দটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হইলেও সদাচরণের সর্বাধিক হার যে পিতামাতা, তাহার পূর্বেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিরােনামের অধীনে বর্ণিত হাদীসসমূহে ব্যক্ত হইয়াছে। এছাড়া সাধারণভাবে সদাচরণ দ্বারা যদি আয়ু বৃদ্ধি ঘটিতে পারে, তবে সদাচরণের সর্বাধিক হকদারগণের সহিত সদাচরণ যে এ ব্যাপারে সমধিক কার্যকরী হইবে, তাহা বলাই বাহুল্য।
ইবন উমর (রা) বর্ণিত হাদীসে আছে ও তােমরা তােমাদের পিতাদের সহিত সদ্ব্যবহার করিবে, তাহা হইলে তােমাদের পুত্ররাও তােমাদের সহিত সদ্ব্যবহার করিবে আর তােমরা শ্লীলতা রক্ষা করিয়া চলিবে তাহা হইলে তােমাদের স্ত্রীরাও শ্লীলতা রক্ষা করিয়া চলিবে। -তাবারানী
